বসন্তের আগমনে হারিয়ে যাচ্ছে কোকিলের কুহু কুহু ডাক

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 11:56 PM

বসন্তের আগমনে হারিয়ে যাচ্ছে কোকিলের কুহু কুহু ডাক
গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠোপথ, শহর কিংবা উপশহরের আশপাশের গাছ-গাছালির নিচ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দূর থেকে ভেসে আসা কোকিলের সুমধুর সুরে প্রাণের মাঝে ঝঙ্কার তোলে। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় যান্ত্রিক জীবনে এখন কোকিলের ডাক ছাড়াই বসন্ত আসে চলে যায়। সারা দেশেই এখন আর আগেরমতো কোকিলের ডাক শোনা যায় না। বাংলার প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে সুরেলা কোকিলের ডাক।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আরিফুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘কুকুলিডি’ গোত্রের অন্তর্গত মাঝারি আকারের পাখি কোকিল মূলত গ্রীষ্ম প্রধান দেশের সৌন্দর্য হলেও এদের কিছু প্রজাতি পরিযায়ী প্রকৃতির হয়ে থাকে। এদের খাদ্য হয় সাধারণত পোকামাকড়, তাদের ডিম ও লার্ভা এবং নানা ধরনের ফল।
তিনি আরও বলেন, ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই কোকিলের কলতানে মুগ্ধ হয় গোটা জনপদ। এইক্ষেত্রে ছেলে কোকিল পাখিই কুহু কুহু সুরে গান গায়। প্রজননের সময় উপস্থিত হলে ছেলে কোকিল এক দেড় সেকেন্ডের ব্যবধানে এক উচ্চ স্বরের শব্দ প্রস্তুত করে তাদের সঙ্গিনীকে আহ্বান জানানোর জন্য।
বারহাট্টা সরকারি ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মাসুদ মোস্তফা বলেন, বসন্তকালে কোকিলের কুহুতান যতক্ষণ না শোনা যায় ততক্ষণ মনেই হয় না যে বাংলায় বসন্তকাল সত্যিই এসে গেছে। বসন্তের কোকিল বাংলার একটি পরিচিত পাখি। এদের চমৎকার গান বসন্তকালকে মুখরিত করে রাখে। বর্তমানে কোকিল আছে শুধু সাহিত্যের পাতায়, মানুষের মুখে, গানে-বাগধারায়। কোকিলকণ্ঠী, বসন্তের কোকিল-এমন কত না উপমায় কোকিল ব্যবহৃত হয়। কোকিলের কুহুতান ছাড়া বসন্ত ভাবা যায় না। তবে বসন্তের আগমনে গাছের ডালে কোকিল আর আগের মতো দেখাই যায় না। আমাদের নতুন প্রজন্ম এসব নিয়ে ভাবে না। কোকিলের বংশধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 11:56 PM

গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠোপথ, শহর কিংবা উপশহরের আশপাশের গাছ-গাছালির নিচ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দূর থেকে ভেসে আসা কোকিলের সুমধুর সুরে প্রাণের মাঝে ঝঙ্কার তোলে। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় যান্ত্রিক জীবনে এখন কোকিলের ডাক ছাড়াই বসন্ত আসে চলে যায়। সারা দেশেই এখন আর আগেরমতো কোকিলের ডাক শোনা যায় না। বাংলার প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে সুরেলা কোকিলের ডাক।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আরিফুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘কুকুলিডি’ গোত্রের অন্তর্গত মাঝারি আকারের পাখি কোকিল মূলত গ্রীষ্ম প্রধান দেশের সৌন্দর্য হলেও এদের কিছু প্রজাতি পরিযায়ী প্রকৃতির হয়ে থাকে। এদের খাদ্য হয় সাধারণত পোকামাকড়, তাদের ডিম ও লার্ভা এবং নানা ধরনের ফল।
তিনি আরও বলেন, ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই কোকিলের কলতানে মুগ্ধ হয় গোটা জনপদ। এইক্ষেত্রে ছেলে কোকিল পাখিই কুহু কুহু সুরে গান গায়। প্রজননের সময় উপস্থিত হলে ছেলে কোকিল এক দেড় সেকেন্ডের ব্যবধানে এক উচ্চ স্বরের শব্দ প্রস্তুত করে তাদের সঙ্গিনীকে আহ্বান জানানোর জন্য।
বারহাট্টা সরকারি ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মাসুদ মোস্তফা বলেন, বসন্তকালে কোকিলের কুহুতান যতক্ষণ না শোনা যায় ততক্ষণ মনেই হয় না যে বাংলায় বসন্তকাল সত্যিই এসে গেছে। বসন্তের কোকিল বাংলার একটি পরিচিত পাখি। এদের চমৎকার গান বসন্তকালকে মুখরিত করে রাখে। বর্তমানে কোকিল আছে শুধু সাহিত্যের পাতায়, মানুষের মুখে, গানে-বাগধারায়। কোকিলকণ্ঠী, বসন্তের কোকিল-এমন কত না উপমায় কোকিল ব্যবহৃত হয়। কোকিলের কুহুতান ছাড়া বসন্ত ভাবা যায় না। তবে বসন্তের আগমনে গাছের ডালে কোকিল আর আগের মতো দেখাই যায় না। আমাদের নতুন প্রজন্ম এসব নিয়ে ভাবে না। কোকিলের বংশধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।