ঢাকা ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বেতাগীতে প্রধান শিক্ষকের ছাত্রীকে বেত্রাঘাত  বিচারের দাবিতে মানববন্দন

#
news image

বেতাগীতে প্রধান শিক্ষকের ছাত্রীকে বেত্রাঘাত 
বিচারের দাবিতে মানববন্দন
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগী উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করায় শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ঐ এলাকায় মানববন্দন অনুিষ্ঠত হয়েছে। 
সোমবার (৫ ফ্রেরুয়ারি) সকাল ১১ টায় অভিযুক্ত উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের বাসন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান সুজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলেরহাট বাজারে এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্দন কর্মসূচির পালন করে। 
এ সময় পুলের হাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব ফরাজি, শিক্ষার্থীর বাবা মো. ইলিয়াস হাওলাদারসহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অভিভাকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
 রোববার আড়াইটার এ ঘটনায় এর আগে ঐ দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছে। ভুক্তভোগী ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমা আক্তার। সে হোসনাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াস হাওলাদারের মেয়ে। 
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়াকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পড়া জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় সে ধীর গতিতে পড়া দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাকে বেতের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর ও গালিগালাজ করেন। মারধরের এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। 
এরপর স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে শিক্ষার্থী ইমার জ্ঞান ফিরলে স্কুলের অফিস সহায়কের মাধ্যমে তাকে বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থী বাসায় এসে বমি করে। তার মা বমির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী সব ঘটনা খুলে বলে। এরপর সন্ধ্যায় তাকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।
শিক্ষার্থীর মা শিরিনা বেগম বলেন, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শাসন করতেই পারেন। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতের লাঠি নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও একজন শিক্ষক কিভাবে বেত দিয়ে আঘাত করে। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমার মেয়েকে শাসনের নামে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। মেয়েটির পশ্চাৎদেশে লাঠির আঘাত ও জখম রয়েছে। সে দাঁড়াতে পারছে না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে বাসন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান সুজন বলেন, তাকে পেটানো হয়নি। শুধু তিরস্কার করা হয়েছে। এরবেশি কিছু নয়।
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: নাহিদা ফারজাহানা শান্তা জানান,‘মেয়েটি এখনো শারীরিকভাবে দুর্বল ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।’ 
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমশিনার (ভূমি) বিপুল সিকদার বলেন, শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আব্দুল হাই
বেতাগী,বরগুনা।
০১৭২১১৯০৪৯০

 

 

 

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪,  6:45 PM

news image

বেতাগীতে প্রধান শিক্ষকের ছাত্রীকে বেত্রাঘাত 
বিচারের দাবিতে মানববন্দন
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগী উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করায় শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ঐ এলাকায় মানববন্দন অনুিষ্ঠত হয়েছে। 
সোমবার (৫ ফ্রেরুয়ারি) সকাল ১১ টায় অভিযুক্ত উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের বাসন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান সুজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলেরহাট বাজারে এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্দন কর্মসূচির পালন করে। 
এ সময় পুলের হাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব ফরাজি, শিক্ষার্থীর বাবা মো. ইলিয়াস হাওলাদারসহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অভিভাকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
 রোববার আড়াইটার এ ঘটনায় এর আগে ঐ দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছে। ভুক্তভোগী ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমা আক্তার। সে হোসনাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াস হাওলাদারের মেয়ে। 
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়াকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পড়া জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় সে ধীর গতিতে পড়া দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাকে বেতের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর ও গালিগালাজ করেন। মারধরের এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। 
এরপর স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে শিক্ষার্থী ইমার জ্ঞান ফিরলে স্কুলের অফিস সহায়কের মাধ্যমে তাকে বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থী বাসায় এসে বমি করে। তার মা বমির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী সব ঘটনা খুলে বলে। এরপর সন্ধ্যায় তাকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।
শিক্ষার্থীর মা শিরিনা বেগম বলেন, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শাসন করতেই পারেন। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতের লাঠি নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও একজন শিক্ষক কিভাবে বেত দিয়ে আঘাত করে। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমার মেয়েকে শাসনের নামে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। মেয়েটির পশ্চাৎদেশে লাঠির আঘাত ও জখম রয়েছে। সে দাঁড়াতে পারছে না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে বাসন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান সুজন বলেন, তাকে পেটানো হয়নি। শুধু তিরস্কার করা হয়েছে। এরবেশি কিছু নয়।
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: নাহিদা ফারজাহানা শান্তা জানান,‘মেয়েটি এখনো শারীরিকভাবে দুর্বল ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।’ 
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমশিনার (ভূমি) বিপুল সিকদার বলেন, শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আব্দুল হাই
বেতাগী,বরগুনা।
০১৭২১১৯০৪৯০