সরিষাবাড়ী বন্ধ পাটকলগুলো চালুর দাবী

মো:আবুল হোসেন, সরিষাবাড়ী ( জামালপুর) প্রতিনিধি :
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 12:18 AM

সরিষাবাড়ী বন্ধ পাটকলগুলো চালুর দাবী
জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌর সভার প্রান কেন্দ্রে আবস্থিত ঐতিয্যবাহী আলহাজ জুট মিল লিমিটেড কতৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বিনষ্টের মুখে পতিত হয়েছে। যা দেখার কেউ নেই। যেন বে-ওয়ারিশ লাশের মত পড়ে আছে। যার ফলে অনায়াশে দিবা-রাত্রী চুরি হচ্ছে মুল্যবান যন্ত্রপাতি সহ কাগজ পত্র। এক সময় দেশের সর্ববৃহৎ¡ শিল্প হিসেবে আলহাজ্ব জুট মিল লিঃ ১৯৬৭ ইং সালে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়। এটি একটি বিরাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল ছিল। এ উপজেলার আলহাজ জুট মিল সহ বন্ধ পাটকলের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারী পরিবার পাটকলগুলো বন্ধ হওয়ায় দূর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন । বন্ধু পাটকল গুলোর চালুর গণ দাবী তুলেছেন সরিষাবাড়ীর পাট শিল্পের উপর নির্ভর শ্রমিক কর্মচারী, পাট ব্যাবসায়ী ও সর্বস্তরের জনগন।
স্থানীয় ও পাটকল সমুহের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সুত্রে জানা গেছে, জামালপুরের সরিষাবাড়ী’র আলহাজ্ব জুট মিল লি: এক সময় ব্যাক্তি মালিকানাধীন পাটকল ছিল।সম্প্রতি সরকারের এক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন ( বিজেএমসি’র ) অধীনে নেওয়া হয়। সে সময় পাটকলটির সরকারী - ৫১% শেয়ার হোল্ডার এবং পাটকল মালিক পক্ষ ৪৯% শেয়ার হোল্ডার হিসেবে পরিচালিত হতো। ১৯৮২-১৯৮৫ ইং সালে সরকার কর্তৃক সুনির্দিষ্ট চুক্তির আওতায় এ পাটকলের সরকার ৪৯% শেয়ার হোল্ডার হয়ে সাবেক পাটকল মালিকদের ৫১% শেয়ার হোল্ডার এর মাধ্যমে এ পাটকলটি ফিরিয়ে দেয়া হয়। পাটকল গুলোতে এলাকার শ্রমজিবী মানুষের জীবন জিবীকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন হিসেবে স্থান পায় । চালু আলহাজ্ব জুট মিলটি মালিক কতৃপক্ষ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় লে-অফ এর মাধ্যমে ২০১৮ইং সালের ২১ শে জুলাই থেকে পাটকলটি বন্ধ দেয় মালিক পক্ষ। মিলটি’র স্থায়ী জনবল ছিল ২ হাজার ৫শত। পাশাপাশি আরোও দ্বিগুন শ্রমিক অস্থায়ী শ্রমিক সহ প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। পাটকল কে ঘিরে পাট ব্যাবসায়ী, পাট কলের বিভিন্ন কাচামাল সরবরাহকারী, দোকানপাটের মাধ্যমে হাজারোও মানূষ উর্পাজনের মুখ দেখে। এ পাটকলটিতে কাচামাল হিসেবে বাৎসরীক ২ লাখ মন পাটের প্রয়োজন হতো। এ পাটকলটি প্রথমে ১ ইউনিট থেকে পরবতীতে পাটের পন্য চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আরোও একটি ইউনিটে উন্নিত করে দুটি ইউনিট করা হয়। পাটকলটির পাট হতে সুতা, সুতলী, চট, চটের বস্তা, পাক্কা বেলের মাধ্যমে ইরাক ও ইরান দেশে রপ্তাানী করা হতো।
সরিষাবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী আলহাজ জুট মিল লি: পাটকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের ছেলে- মেয়েদের পড়া শুনার জন্য আলহাজ্ব বিদ্যা নিকেতন নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। পাটকলটি বন্ধ হওয়ায় শ্রমিক-কর্মচারী সন্তান ও শিক্ষকতার সাথে জডিত শিক্ষক পরিবার দূর্ভোগের শিকার হয়েছেন তারা। চালু পাটকল বন্ধ হওয়ায় পাটকল মালিকদের নিকট ব্যাবসায়ী , শ্রমিকদের প্রভিডেন্টফান্ড ও গ্যাচুইটির টাকা , যান্ত্রপাতি সরবরাহকারীদের পাওনা সহ প্রায় ১৫ কোটি টাকা জুটমিল কতৃপক্ষের নিকট পাওনা রয়েছে।
এ পাটকলটিতে ২০০১ ইং সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রানালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেজর জেনারেল(অব:) প্রয়াত আনোয়ারুল কবীর তালুকদার শাহজাদার এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গ্যাস সংযোগে জেনারেটরের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে জুট মিলটি হতে পাটপণ্য চট ও ব্যাগ এবং বস্তা তেšরী হত। উৎপাদিত পাট পণ্য হল্যান্ডে ও অষ্টেলিয়ায় রপ্তানি হতো।বর্তমানে এ পাট কলটি অরক্ষিত অবস্থায় মাহফুজুর রহমান নামে মাত্র ১ জন কর্মচারী মিলটি পাহারা দিচ্ছে। যার ফলে পাটকলের মুল্যবান যন্ত্রপাতি দিবা-রাত্রী চুরি হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পাটকল কর্তৃপক্ষ ও সরকারের শেয়ার অংশ। মিলের প্রবেশ পথ ও শ্রমিকদের যাতায়াতের রাস্তাগুলো জঙ্গলে ছেলে গেছে। এ মিলটির হুইশেলের অপেক্ষায় থাকতো এলাকার লোকজন। সেগুলো যেন শুধুই স্মৃতি হয়ে আছে এলাকার মানুষের মাঝে।
পাটশিল্প সমৃদ্ধ সরিষাবাড়ীতে ২২টি পাটের কুঠি ছিল। প্রায় ২২’হাজার শ্রমিক পাটের কুঠিগুলোতে কর্মরত ছিল। দেশের পাট ব্যবসায়ীদের কেন্দ্র হিসেবে নারায়নগঞ্জের পরই সরিষাবাড়ীর স্থান অর্জিত হলেও তা বিলুপ্তির পথে। ধীরে ধীরে আলহাজ জুট মিল,বাউসী পপুলার জুট মিল, পোগলদিঘা মিমকো জুট মিল লি:, আরামনগর বাজার দি গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার লি: সহ সর্বশেষ ৪ টি পাটকল। এর মধ্যে সরিষাবাড়ী পৌর শহরের আরামনগর বাজার এলাকায় দি গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার লি: এর জনবল স্থায়ী শ্রমিক সহ প্রায় ১ হাজার মানুষ জীবন জিবীকা নির্বাহ করছেন। এটিতে বাৎসরীক কেনাম জাতের পাটের প্রয়োজন হয় ৫০ হাজার মন। পোগলদিঘা ইউনিয়নে বয়ড়া মিমকো জুট মিলটি ২০১৪ইং সালের ৩০ শে নভেম্বর লে-অফ এর নামে বন্ধ রয়েছে। এর জনবল ছিল স্থায়ী শ্রমিক ৬০০ জন-শ্রমিক কর্মচারী, এ পাটকলের বাৎসরিক পাটের প্রয়োজন হতো ৮০ হাজার মন। এ মিলটির মালিক মোস্তাক আহমেদ তালুকদার ও ইউনুছ মোল্লা’র কাছে ৭ কোটি টাকা ৪৬ জন পাট ব্যাবসায়ীর পাওনা রয়েছে। তৎকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এর প্রভাবে ২০২২ইং সালে ২৫ মার্চ রাতে এ.আর.এ জুট মিলস লিঃ, এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রীন ভিলেজ নামে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের নিকট ১৬.০৬ একর ভুমি ও মিলের যন্ত্রপাতি বিক্রি করেন । ফলে এ আর এ জুট মিলটি স্থায়ী ভাবে বিলুপ্ত হওয়ায় বুক ফাটা কান্নার রোল পড়ে দেড় হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের।
সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসী পপুলার জুট মিলস লি: টু-ওয়াইন (সুতা) পাটকল। এটিতে প্রতিদিন প্রয়োজন সর্বনিম্ন ১৫ মে: টন পাট থেকে সুতা তৈরী করা হয়।এর উৎপাদিত শতভাগ পণ্য ইউরোপীয় দেশ রাশিয়া,চীন,ভারতে এ পাট রপ্তানি করে।এর পাটকলের কাচা মাল স্থানীয় ভাবে-৮০% এবং উন্নত সুতার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাট ব্যাবসায়ীদের মাধ্যমে ২০% পাট সরবরাহ করা হয়। বাৎসরীক পাটের প্রয়োজন ৮০ হাজার মন। জনবল প্রায় ৮’শত জন।এ মিলটি ২০২০ইং সালের ১৭ জুন তারিখে লে-অফ ঘোষনা করেন মিল কর্তপক্ষ। এর পরেও বর্তমানে পাটকলটির প্রায় শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্যে ৭৭ জন স্থায়ী শ্রমিককে পাটকলের লে-অফ বেনিফিট নিয়মানুযায়ী ৪০% মুজুরী পরিধোধ অব্যাহত রেখেছেন বলে পাটকলটির মহা ব্যাবস্থাপক এ জেড এম আব্দুল্লাহ নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান এ পাট কলটি চালুর জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অপর দিকে পাট পণ্য’র স্থানীয় চাহিদা পুরণে থেমে নেই ক্ষুদ্র পাট শিল্পের উদ্যেক্তারা। তারা সরিষাবাড়ী পৌর সভার কামরাবাদ এলাকায় “এ .এস. আর. ই শাপলা চট মিল” নামে মিলটি বিভিন্ন জুট মিল থেকে সুতা সরবরাহ করে ৮টি তাতের মাধ্যমে চট তৈরী করে বিভিন্ন সাইজের বস্তা স্থানীয়ভাবে সরবরাহ দিয়ে আসছে। এ মিলটিতে প্রতি মাসে ১০ মে: টন সুতার প্রয়োজন হয় বলে মিলটির মালিক এনামুল হক নিশ্চিত করেন। এ ছাড়াও পৌর সভার বাউসী বাঙ্গালী এলাকায় “এফ জেড টুয়িষ্টিং মিল ” নামে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন জুট মিল থেকে চিকন সুতা সরবরাহ করে মোটা সুতা তৌরী করে স্থানীয় ভাবে সরবরাহ দিয়ে আসছেন বলে মালিক জমসেদুল ইসলাম সনি জানান। এ মিলে প্রতি মাসে ৬০ মে: টন সুতা সরবরাহ করে ১০ টি মেশিনের মাধ্যমে চিকন সুতা কে মোটা সুতায় রুপান্তরিত করে স্থানীয়ভাবে সরবরাহ দিচ্ছেন। এ ক্ষুদ্র দুটি পাট মিলে ৫০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বাউসী পপুলার মোড এলাকায় পাট ব্যাবসায়ী ও পাট রপ্তানী কারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স কামাল এন্টার প্রাইজ এর প্রেপাইটার আব্দুল বাক্কী জানান, আমরা পাক্কা বেলিং করে পাট অধিদপ্তর হতে এলসির মাধ্যমে বিদেশীদের চাহিদামত দেশের পাট সরবরাহ করে তা বিদেশে রপ্তানি করে করছেন বলে জানান তিনি।
এ পাট শিল্প কে ঘিরে পাট ও পাট শিল্পের উন্নয়নে উপজেলা পরির্দশক (পাট) মো: আওরংগযেব জানান, উপজেলার পাট কলগুলোতে ভিজা পাট আমদানি প্রতিরোধ,লাইসেন্সবিহীন পাট ব্যাবসা রোধে, পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যাবহার আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার দায়িত্ব পালন করছেন। পাট শিল্পের সাথে শ্রমজিবীদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য সরিষাবাড়ী শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের গড়ে তোলা হয়। এ ব্যাপারে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলে পাট শিল্পের জন্য বিখ্যাত কল-কারখানা স্থাপন হওয়ার কারেণে ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে সরিষাবাড়ীতে শ্রম কল্যান কেন্দ্র থেকে ৬০ দশকে পাটকলের শ্রমিক কর্মচারীদের বিনোদন, বইপড়া,প্রশিক্ষন, বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করা হতো। পাটকল গুলো বন্ধ হওয়ায় ও এ কেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় সেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। পাট নিয়ে সরকার আন্তরিকতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাট বীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্প পাট অধীদপ্তর কর্তৃক বস্তাবায়নাধীন উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রিফাত হোসেন এ প্রকল্পে প্রকৃত পাট চাষিদের বিণামুল্যে বীজ, ইউরিয়া , ফসপেট,ও পাটাশ বিতরণ সহ কৃষকদের প্রশিক্ষন,মাঠ পর্যায়ে চাষীদের বিভিন্ন সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা বলে তিনি নিশ্চিত করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনুপ সিংহ বলেন, আমরা পাট চাষীদের পাট মৌসুমে পাট চাষ বৃদ্ধিতে ও পাট উন্নয়নে নানামুখী সেবা দিয়ে থাকি।
জানতে চাইলে তৎকালীন পাট খাতের ৫০ হাজার পাট শ্রমিকদের নেতৃত্বদানকারী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ লতিফ ও আলহাজ জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সহ বিভিন্ন পাটকলের সিবিএ নেতারা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও সরকারের কিছু অসাধূ কর্মকর্তা পাটজাত পন্য বাধ্যতামুলক ও পাট শিল্পকে সম্প্রসারন না করে পলিথিনের ব্যাবহার চালু রাখায় পাটকল গুলোর বেহাল দশা হয়েছে। পাট শিল্প বন্ধ করে পলিথিনের ব্যাবহার যা দেখার কেউ নেই। এমনটিই ভাবছেন বিশিষ্ট জন ও শ্রমিক ও নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে আলহাজ্ব জুট মিলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হারুন অর রশীদ এবং পরিচালক মিজানুর রহমান টিপু যৌথভাবে বলেন,মিলটি চালুর জন্য আমাদের স্বদিচ্ছার অভাব নেই। কিন্ত আগ্রনী ব্যাংক ঢাকা প্রিন্সিপাল শাখা হতে আমাদের ৩০ কোটি টাকা সিসি লোন দিত। ওই লোনের টাকায় আমরা পাট ক্রয় করে সুতা,বস্তা তৈরী করে বিদেশে রপ্তানি করে ব্যাংকের সাথে লেনদেন চলতো।কিন্ত ব্যাংক থেকে আমাদের আর্থিক সহায়তা না দেওয়ার কারনে জুট মিলটি চালু করা যাচ্ছে না। তারা আরও বলেন, আমরা ব্যাংককিংখাত হতে সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় পাটকলটি চালু করতে পারছি না।
ছবির ক্যাপশন: জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌর শহরের প্রান কেন্দ্রে ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিরাষ্ট্রায়ত্ব আলহাজ্ব জুট মিল লিঃ পাটকলটি অযতেœ অবহেলায় পড়ে আছে।
মো:আবুল হোসেন, সরিষাবাড়ী ( জামালপুর) প্রতিনিধি :
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 12:18 AM

জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌর সভার প্রান কেন্দ্রে আবস্থিত ঐতিয্যবাহী আলহাজ জুট মিল লিমিটেড কতৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বিনষ্টের মুখে পতিত হয়েছে। যা দেখার কেউ নেই। যেন বে-ওয়ারিশ লাশের মত পড়ে আছে। যার ফলে অনায়াশে দিবা-রাত্রী চুরি হচ্ছে মুল্যবান যন্ত্রপাতি সহ কাগজ পত্র। এক সময় দেশের সর্ববৃহৎ¡ শিল্প হিসেবে আলহাজ্ব জুট মিল লিঃ ১৯৬৭ ইং সালে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়। এটি একটি বিরাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল ছিল। এ উপজেলার আলহাজ জুট মিল সহ বন্ধ পাটকলের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারী পরিবার পাটকলগুলো বন্ধ হওয়ায় দূর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন । বন্ধু পাটকল গুলোর চালুর গণ দাবী তুলেছেন সরিষাবাড়ীর পাট শিল্পের উপর নির্ভর শ্রমিক কর্মচারী, পাট ব্যাবসায়ী ও সর্বস্তরের জনগন।
স্থানীয় ও পাটকল সমুহের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সুত্রে জানা গেছে, জামালপুরের সরিষাবাড়ী’র আলহাজ্ব জুট মিল লি: এক সময় ব্যাক্তি মালিকানাধীন পাটকল ছিল।সম্প্রতি সরকারের এক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন ( বিজেএমসি’র ) অধীনে নেওয়া হয়। সে সময় পাটকলটির সরকারী - ৫১% শেয়ার হোল্ডার এবং পাটকল মালিক পক্ষ ৪৯% শেয়ার হোল্ডার হিসেবে পরিচালিত হতো। ১৯৮২-১৯৮৫ ইং সালে সরকার কর্তৃক সুনির্দিষ্ট চুক্তির আওতায় এ পাটকলের সরকার ৪৯% শেয়ার হোল্ডার হয়ে সাবেক পাটকল মালিকদের ৫১% শেয়ার হোল্ডার এর মাধ্যমে এ পাটকলটি ফিরিয়ে দেয়া হয়। পাটকল গুলোতে এলাকার শ্রমজিবী মানুষের জীবন জিবীকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন হিসেবে স্থান পায় । চালু আলহাজ্ব জুট মিলটি মালিক কতৃপক্ষ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় লে-অফ এর মাধ্যমে ২০১৮ইং সালের ২১ শে জুলাই থেকে পাটকলটি বন্ধ দেয় মালিক পক্ষ। মিলটি’র স্থায়ী জনবল ছিল ২ হাজার ৫শত। পাশাপাশি আরোও দ্বিগুন শ্রমিক অস্থায়ী শ্রমিক সহ প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। পাটকল কে ঘিরে পাট ব্যাবসায়ী, পাট কলের বিভিন্ন কাচামাল সরবরাহকারী, দোকানপাটের মাধ্যমে হাজারোও মানূষ উর্পাজনের মুখ দেখে। এ পাটকলটিতে কাচামাল হিসেবে বাৎসরীক ২ লাখ মন পাটের প্রয়োজন হতো। এ পাটকলটি প্রথমে ১ ইউনিট থেকে পরবতীতে পাটের পন্য চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আরোও একটি ইউনিটে উন্নিত করে দুটি ইউনিট করা হয়। পাটকলটির পাট হতে সুতা, সুতলী, চট, চটের বস্তা, পাক্কা বেলের মাধ্যমে ইরাক ও ইরান দেশে রপ্তাানী করা হতো।
সরিষাবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী আলহাজ জুট মিল লি: পাটকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের ছেলে- মেয়েদের পড়া শুনার জন্য আলহাজ্ব বিদ্যা নিকেতন নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। পাটকলটি বন্ধ হওয়ায় শ্রমিক-কর্মচারী সন্তান ও শিক্ষকতার সাথে জডিত শিক্ষক পরিবার দূর্ভোগের শিকার হয়েছেন তারা। চালু পাটকল বন্ধ হওয়ায় পাটকল মালিকদের নিকট ব্যাবসায়ী , শ্রমিকদের প্রভিডেন্টফান্ড ও গ্যাচুইটির টাকা , যান্ত্রপাতি সরবরাহকারীদের পাওনা সহ প্রায় ১৫ কোটি টাকা জুটমিল কতৃপক্ষের নিকট পাওনা রয়েছে।
এ পাটকলটিতে ২০০১ ইং সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রানালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেজর জেনারেল(অব:) প্রয়াত আনোয়ারুল কবীর তালুকদার শাহজাদার এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গ্যাস সংযোগে জেনারেটরের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে জুট মিলটি হতে পাটপণ্য চট ও ব্যাগ এবং বস্তা তেšরী হত। উৎপাদিত পাট পণ্য হল্যান্ডে ও অষ্টেলিয়ায় রপ্তানি হতো।বর্তমানে এ পাট কলটি অরক্ষিত অবস্থায় মাহফুজুর রহমান নামে মাত্র ১ জন কর্মচারী মিলটি পাহারা দিচ্ছে। যার ফলে পাটকলের মুল্যবান যন্ত্রপাতি দিবা-রাত্রী চুরি হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পাটকল কর্তৃপক্ষ ও সরকারের শেয়ার অংশ। মিলের প্রবেশ পথ ও শ্রমিকদের যাতায়াতের রাস্তাগুলো জঙ্গলে ছেলে গেছে। এ মিলটির হুইশেলের অপেক্ষায় থাকতো এলাকার লোকজন। সেগুলো যেন শুধুই স্মৃতি হয়ে আছে এলাকার মানুষের মাঝে।
পাটশিল্প সমৃদ্ধ সরিষাবাড়ীতে ২২টি পাটের কুঠি ছিল। প্রায় ২২’হাজার শ্রমিক পাটের কুঠিগুলোতে কর্মরত ছিল। দেশের পাট ব্যবসায়ীদের কেন্দ্র হিসেবে নারায়নগঞ্জের পরই সরিষাবাড়ীর স্থান অর্জিত হলেও তা বিলুপ্তির পথে। ধীরে ধীরে আলহাজ জুট মিল,বাউসী পপুলার জুট মিল, পোগলদিঘা মিমকো জুট মিল লি:, আরামনগর বাজার দি গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার লি: সহ সর্বশেষ ৪ টি পাটকল। এর মধ্যে সরিষাবাড়ী পৌর শহরের আরামনগর বাজার এলাকায় দি গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার লি: এর জনবল স্থায়ী শ্রমিক সহ প্রায় ১ হাজার মানুষ জীবন জিবীকা নির্বাহ করছেন। এটিতে বাৎসরীক কেনাম জাতের পাটের প্রয়োজন হয় ৫০ হাজার মন। পোগলদিঘা ইউনিয়নে বয়ড়া মিমকো জুট মিলটি ২০১৪ইং সালের ৩০ শে নভেম্বর লে-অফ এর নামে বন্ধ রয়েছে। এর জনবল ছিল স্থায়ী শ্রমিক ৬০০ জন-শ্রমিক কর্মচারী, এ পাটকলের বাৎসরিক পাটের প্রয়োজন হতো ৮০ হাজার মন। এ মিলটির মালিক মোস্তাক আহমেদ তালুকদার ও ইউনুছ মোল্লা’র কাছে ৭ কোটি টাকা ৪৬ জন পাট ব্যাবসায়ীর পাওনা রয়েছে। তৎকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এর প্রভাবে ২০২২ইং সালে ২৫ মার্চ রাতে এ.আর.এ জুট মিলস লিঃ, এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রীন ভিলেজ নামে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের নিকট ১৬.০৬ একর ভুমি ও মিলের যন্ত্রপাতি বিক্রি করেন । ফলে এ আর এ জুট মিলটি স্থায়ী ভাবে বিলুপ্ত হওয়ায় বুক ফাটা কান্নার রোল পড়ে দেড় হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের।
সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসী পপুলার জুট মিলস লি: টু-ওয়াইন (সুতা) পাটকল। এটিতে প্রতিদিন প্রয়োজন সর্বনিম্ন ১৫ মে: টন পাট থেকে সুতা তৈরী করা হয়।এর উৎপাদিত শতভাগ পণ্য ইউরোপীয় দেশ রাশিয়া,চীন,ভারতে এ পাট রপ্তানি করে।এর পাটকলের কাচা মাল স্থানীয় ভাবে-৮০% এবং উন্নত সুতার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাট ব্যাবসায়ীদের মাধ্যমে ২০% পাট সরবরাহ করা হয়। বাৎসরীক পাটের প্রয়োজন ৮০ হাজার মন। জনবল প্রায় ৮’শত জন।এ মিলটি ২০২০ইং সালের ১৭ জুন তারিখে লে-অফ ঘোষনা করেন মিল কর্তপক্ষ। এর পরেও বর্তমানে পাটকলটির প্রায় শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্যে ৭৭ জন স্থায়ী শ্রমিককে পাটকলের লে-অফ বেনিফিট নিয়মানুযায়ী ৪০% মুজুরী পরিধোধ অব্যাহত রেখেছেন বলে পাটকলটির মহা ব্যাবস্থাপক এ জেড এম আব্দুল্লাহ নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান এ পাট কলটি চালুর জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অপর দিকে পাট পণ্য’র স্থানীয় চাহিদা পুরণে থেমে নেই ক্ষুদ্র পাট শিল্পের উদ্যেক্তারা। তারা সরিষাবাড়ী পৌর সভার কামরাবাদ এলাকায় “এ .এস. আর. ই শাপলা চট মিল” নামে মিলটি বিভিন্ন জুট মিল থেকে সুতা সরবরাহ করে ৮টি তাতের মাধ্যমে চট তৈরী করে বিভিন্ন সাইজের বস্তা স্থানীয়ভাবে সরবরাহ দিয়ে আসছে। এ মিলটিতে প্রতি মাসে ১০ মে: টন সুতার প্রয়োজন হয় বলে মিলটির মালিক এনামুল হক নিশ্চিত করেন। এ ছাড়াও পৌর সভার বাউসী বাঙ্গালী এলাকায় “এফ জেড টুয়িষ্টিং মিল ” নামে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন জুট মিল থেকে চিকন সুতা সরবরাহ করে মোটা সুতা তৌরী করে স্থানীয় ভাবে সরবরাহ দিয়ে আসছেন বলে মালিক জমসেদুল ইসলাম সনি জানান। এ মিলে প্রতি মাসে ৬০ মে: টন সুতা সরবরাহ করে ১০ টি মেশিনের মাধ্যমে চিকন সুতা কে মোটা সুতায় রুপান্তরিত করে স্থানীয়ভাবে সরবরাহ দিচ্ছেন। এ ক্ষুদ্র দুটি পাট মিলে ৫০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বাউসী পপুলার মোড এলাকায় পাট ব্যাবসায়ী ও পাট রপ্তানী কারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স কামাল এন্টার প্রাইজ এর প্রেপাইটার আব্দুল বাক্কী জানান, আমরা পাক্কা বেলিং করে পাট অধিদপ্তর হতে এলসির মাধ্যমে বিদেশীদের চাহিদামত দেশের পাট সরবরাহ করে তা বিদেশে রপ্তানি করে করছেন বলে জানান তিনি।
এ পাট শিল্প কে ঘিরে পাট ও পাট শিল্পের উন্নয়নে উপজেলা পরির্দশক (পাট) মো: আওরংগযেব জানান, উপজেলার পাট কলগুলোতে ভিজা পাট আমদানি প্রতিরোধ,লাইসেন্সবিহীন পাট ব্যাবসা রোধে, পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যাবহার আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার দায়িত্ব পালন করছেন। পাট শিল্পের সাথে শ্রমজিবীদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য সরিষাবাড়ী শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের গড়ে তোলা হয়। এ ব্যাপারে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলে পাট শিল্পের জন্য বিখ্যাত কল-কারখানা স্থাপন হওয়ার কারেণে ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে সরিষাবাড়ীতে শ্রম কল্যান কেন্দ্র থেকে ৬০ দশকে পাটকলের শ্রমিক কর্মচারীদের বিনোদন, বইপড়া,প্রশিক্ষন, বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করা হতো। পাটকল গুলো বন্ধ হওয়ায় ও এ কেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় সেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। পাট নিয়ে সরকার আন্তরিকতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাট বীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্প পাট অধীদপ্তর কর্তৃক বস্তাবায়নাধীন উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রিফাত হোসেন এ প্রকল্পে প্রকৃত পাট চাষিদের বিণামুল্যে বীজ, ইউরিয়া , ফসপেট,ও পাটাশ বিতরণ সহ কৃষকদের প্রশিক্ষন,মাঠ পর্যায়ে চাষীদের বিভিন্ন সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা বলে তিনি নিশ্চিত করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনুপ সিংহ বলেন, আমরা পাট চাষীদের পাট মৌসুমে পাট চাষ বৃদ্ধিতে ও পাট উন্নয়নে নানামুখী সেবা দিয়ে থাকি।
জানতে চাইলে তৎকালীন পাট খাতের ৫০ হাজার পাট শ্রমিকদের নেতৃত্বদানকারী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ লতিফ ও আলহাজ জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সহ বিভিন্ন পাটকলের সিবিএ নেতারা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও সরকারের কিছু অসাধূ কর্মকর্তা পাটজাত পন্য বাধ্যতামুলক ও পাট শিল্পকে সম্প্রসারন না করে পলিথিনের ব্যাবহার চালু রাখায় পাটকল গুলোর বেহাল দশা হয়েছে। পাট শিল্প বন্ধ করে পলিথিনের ব্যাবহার যা দেখার কেউ নেই। এমনটিই ভাবছেন বিশিষ্ট জন ও শ্রমিক ও নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে আলহাজ্ব জুট মিলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হারুন অর রশীদ এবং পরিচালক মিজানুর রহমান টিপু যৌথভাবে বলেন,মিলটি চালুর জন্য আমাদের স্বদিচ্ছার অভাব নেই। কিন্ত আগ্রনী ব্যাংক ঢাকা প্রিন্সিপাল শাখা হতে আমাদের ৩০ কোটি টাকা সিসি লোন দিত। ওই লোনের টাকায় আমরা পাট ক্রয় করে সুতা,বস্তা তৈরী করে বিদেশে রপ্তানি করে ব্যাংকের সাথে লেনদেন চলতো।কিন্ত ব্যাংক থেকে আমাদের আর্থিক সহায়তা না দেওয়ার কারনে জুট মিলটি চালু করা যাচ্ছে না। তারা আরও বলেন, আমরা ব্যাংককিংখাত হতে সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় পাটকলটি চালু করতে পারছি না।
ছবির ক্যাপশন: জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌর শহরের প্রান কেন্দ্রে ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিরাষ্ট্রায়ত্ব আলহাজ্ব জুট মিল লিঃ পাটকলটি অযতেœ অবহেলায় পড়ে আছে।