রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন'' ন্যায্য দাম না-পেয়ে কৃষকেরা হতাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :
১৮ নভেম্বর, ২০২৫, 8:19 PM
রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন'' ন্যায্য দাম না-পেয়ে কৃষকেরা হতাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় রোপা আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কসবা, আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলায় পুরোপুরি ধান কাটার কাজ চলছে। বাকি উপজেলা গুলোতেও এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা পুরোপুরি শুরু হবে বলে জানা গেছে। কসবা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ও উফশী ৯ হাজার ৪০০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ধান ২ হাজার ৮০০ হেক্টর ছিল।
এ বছর আবাদ হয়েছে মোট ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে, এর মধ্যে হাইব্রিড-উফশী ৯ হাজার ৩৭৬ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ধান ২ হাজার ৭৩৫ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় আবাদ বেড়েছে ২৩৬ হেক্টর। কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, “চলতি মৌসুমে উৎপাদন বিগত বছরের তুলনায় আরও বেশি হবে বলে আমরা আশাবাদী।
মাঠে ভালো ফলন, কিন্তু কৃষকের মনে দুশ্চিন্তা
সরেজমিনে উপজেলার বিনাউটি, হাজীপুর, গোপীনাথপুর, খাড়েরা, কুটি, চারগাছ, বায়েক, কায়েমপুর, মিহারি ও পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, কৃষকরা হারভেস্টার মেশিন ও শ্রমিক দিয়ে ধান কাটছেন। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা খুশি হলেও ন্যায্য মূল্য না-পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।তালতলা গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন,“এ বছর ফলন বেশ ভালো। তিন কানি জমিতে মাত্র একবার সেচ দিয়েই ভালো ফলন পেয়েছি। কিন্তু ধানের দাম স্বাভাবিক থাকায় লাভ কম হবে বলে মনে হচ্ছে।”হাজীপুরের কৃষক মহন মিয়া বলেন,
৬ কানি জমিতে ব্রি ধান-৭৫ করেছি। ফলন ভালো হলেও দাম কত পাবো..? বর্তমান কৃষি পণ্যের দাম ও খরচ বেশি সেই তুলনায় ধানের দাম কম তাই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে।
রাউৎহাট ঋষিপাড়ার কৃষক প্রদীপ ঋষি জানান, কৃষিশ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি। এক কানি ধান কাটতে ৪-৫ হাজার টাকা লাগে। মেশিন দিয়ে কাটলে লাগে ১,৮০০–২,০০০ টাকা।”কৃষক দল নেতা আবদুল বাকির মিয়া বলেন, ফলন ভালো হলেও শ্রমিক সংকট ও পারিশ্রমিক বেশি হওয়ায় কৃষকের খরচ বেড়েছে অনেক জায়গায় বিলের মধ্যে হওয়ায় হারভেস্টার মেশিনও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়শা আক্তার বলেন, এই মৌসুমে রোপা আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে কৃষকদের সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, আগামী মৌসুমে উপজেলায় যেন কোনো জমি অনাবাদি না থাকে সে দিকে আমরা কাজ করছি। কৃষকেরা বলছেন, ফলন ভালো হলেও বাজারে ধানের ন্যায্য দাম না-পেলে এ পরিশ্রমের সুফল মিলবে না, তাই সরকারের কাছে তারা ন্যায্য বাজারদর নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :
১৮ নভেম্বর, ২০২৫, 8:19 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় রোপা আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কসবা, আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলায় পুরোপুরি ধান কাটার কাজ চলছে। বাকি উপজেলা গুলোতেও এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা পুরোপুরি শুরু হবে বলে জানা গেছে। কসবা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ও উফশী ৯ হাজার ৪০০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ধান ২ হাজার ৮০০ হেক্টর ছিল।
এ বছর আবাদ হয়েছে মোট ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে, এর মধ্যে হাইব্রিড-উফশী ৯ হাজার ৩৭৬ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ধান ২ হাজার ৭৩৫ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় আবাদ বেড়েছে ২৩৬ হেক্টর। কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, “চলতি মৌসুমে উৎপাদন বিগত বছরের তুলনায় আরও বেশি হবে বলে আমরা আশাবাদী।
মাঠে ভালো ফলন, কিন্তু কৃষকের মনে দুশ্চিন্তা
সরেজমিনে উপজেলার বিনাউটি, হাজীপুর, গোপীনাথপুর, খাড়েরা, কুটি, চারগাছ, বায়েক, কায়েমপুর, মিহারি ও পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, কৃষকরা হারভেস্টার মেশিন ও শ্রমিক দিয়ে ধান কাটছেন। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা খুশি হলেও ন্যায্য মূল্য না-পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।তালতলা গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন,“এ বছর ফলন বেশ ভালো। তিন কানি জমিতে মাত্র একবার সেচ দিয়েই ভালো ফলন পেয়েছি। কিন্তু ধানের দাম স্বাভাবিক থাকায় লাভ কম হবে বলে মনে হচ্ছে।”হাজীপুরের কৃষক মহন মিয়া বলেন,
৬ কানি জমিতে ব্রি ধান-৭৫ করেছি। ফলন ভালো হলেও দাম কত পাবো..? বর্তমান কৃষি পণ্যের দাম ও খরচ বেশি সেই তুলনায় ধানের দাম কম তাই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে।
রাউৎহাট ঋষিপাড়ার কৃষক প্রদীপ ঋষি জানান, কৃষিশ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি। এক কানি ধান কাটতে ৪-৫ হাজার টাকা লাগে। মেশিন দিয়ে কাটলে লাগে ১,৮০০–২,০০০ টাকা।”কৃষক দল নেতা আবদুল বাকির মিয়া বলেন, ফলন ভালো হলেও শ্রমিক সংকট ও পারিশ্রমিক বেশি হওয়ায় কৃষকের খরচ বেড়েছে অনেক জায়গায় বিলের মধ্যে হওয়ায় হারভেস্টার মেশিনও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়শা আক্তার বলেন, এই মৌসুমে রোপা আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে কৃষকদের সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, আগামী মৌসুমে উপজেলায় যেন কোনো জমি অনাবাদি না থাকে সে দিকে আমরা কাজ করছি। কৃষকেরা বলছেন, ফলন ভালো হলেও বাজারে ধানের ন্যায্য দাম না-পেলে এ পরিশ্রমের সুফল মিলবে না, তাই সরকারের কাছে তারা ন্যায্য বাজারদর নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।