যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা নেয়ার ওপর মির্জা ফখরুলের গুরুত্বারোপ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, 2:16 AM
যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা নেয়ার ওপর মির্জা ফখরুলের গুরুত্বারোপ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যত দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দেশে সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা নেয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, এই মুহুর্তে দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক চায় তারেক রহমানের নেতৃত্ব। তারা চায় তিনি (তারেক রহমান) দেশে ফিরে আসুক। আমি বার বার যে কথাটা বলছি, আবার বলতে চাই, সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনচাহিদা মেটানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। সেটা হচ্ছে, আমাদের অবশ্যই অতি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই সংস্কারের পথটা সুগম করতে হবে। সেটাই হচ্ছে একমাত্র যোগ্য কাজ, সেটাই হবে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন, জনচাহিদা পূরণ করবে। কারণ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে থাকেন।
আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
এ ছাড়াও তিনি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যুগান্তকারী ৩১ দফা কর্মসূচি সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের একটি কথা মনে রাখতে হবে, যে কথাটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বার বার বলছেন যে, আপনাদের আচার-আচরণের ওপর নির্ভর করবে যে, সামনের দিনে জনগণের ভালোবাসা কিভাবে পাবো সেই কথা চিন্তা করেই আমরা যেন এগিয়ে যাই।’
দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুব দলের এম মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী ও কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন বক্তব্য রাখেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তারা অনুতপ্ত না বরং নানা ধরনের উসকানি দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তবে দেশের মানুষ কখনোই নিশ্চুপ বসে থাকেনি। এর প্রতিকার করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চাই, ষড়যন্ত্র করে নয়; তাই বলেছে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবে বিএনপি।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বিজয়ের কথা বলতে পারতাম না যদি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা না করতেন। যতদিন ভোটের অধিকার অর্জিত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। রাজপথ ছেড়ে যাবো না।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ জাতি বৃটিশ থেকে, পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই করে যুদ্ধ করেছে, এবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এরপরে কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ? এই প্রশ্নের উত্তর কেবল ভবিষ্যতেই বলতে পারে। তবে একটা কথা বলতে চাই- অরক্ষিত স্বাধীনতা হলো পরাধীনতার চেয়ে ভয়ংকর।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি গত ১৫ বছর ধরে লড়াই সংগ্রাম করেছে। হাজার হাজার মামলা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়িয়েছেন। অথচ স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে বিএনপির অবদানকে অস্বীকার করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, 2:16 AM
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যত দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দেশে সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা নেয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, এই মুহুর্তে দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক চায় তারেক রহমানের নেতৃত্ব। তারা চায় তিনি (তারেক রহমান) দেশে ফিরে আসুক। আমি বার বার যে কথাটা বলছি, আবার বলতে চাই, সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনচাহিদা মেটানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। সেটা হচ্ছে, আমাদের অবশ্যই অতি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই সংস্কারের পথটা সুগম করতে হবে। সেটাই হচ্ছে একমাত্র যোগ্য কাজ, সেটাই হবে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন, জনচাহিদা পূরণ করবে। কারণ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে থাকেন।
আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
এ ছাড়াও তিনি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যুগান্তকারী ৩১ দফা কর্মসূচি সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের একটি কথা মনে রাখতে হবে, যে কথাটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বার বার বলছেন যে, আপনাদের আচার-আচরণের ওপর নির্ভর করবে যে, সামনের দিনে জনগণের ভালোবাসা কিভাবে পাবো সেই কথা চিন্তা করেই আমরা যেন এগিয়ে যাই।’
দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুব দলের এম মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী ও কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন বক্তব্য রাখেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তারা অনুতপ্ত না বরং নানা ধরনের উসকানি দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তবে দেশের মানুষ কখনোই নিশ্চুপ বসে থাকেনি। এর প্রতিকার করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চাই, ষড়যন্ত্র করে নয়; তাই বলেছে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবে বিএনপি।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বিজয়ের কথা বলতে পারতাম না যদি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা না করতেন। যতদিন ভোটের অধিকার অর্জিত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। রাজপথ ছেড়ে যাবো না।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ জাতি বৃটিশ থেকে, পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই করে যুদ্ধ করেছে, এবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এরপরে কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ? এই প্রশ্নের উত্তর কেবল ভবিষ্যতেই বলতে পারে। তবে একটা কথা বলতে চাই- অরক্ষিত স্বাধীনতা হলো পরাধীনতার চেয়ে ভয়ংকর।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি গত ১৫ বছর ধরে লড়াই সংগ্রাম করেছে। হাজার হাজার মামলা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়িয়েছেন। অথচ স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে বিএনপির অবদানকে অস্বীকার করা হচ্ছে।