ঢাকা ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
শিরোনামঃ
দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুদকের অভিযান জিঞ্জিরায় রূপালী ব্যাংকে তিন ডাকাতের আত্মসমর্পণ গোমস্তাপুরের পার্বতীপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেট খেলোয়াড়দের প্রাথমিক বাছাই ও অনুশিলন নোয়াখালীতে ভুয়া সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আটক ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণে সরকার, সবাইকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ ছয় বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ বিতর্কিত হিজাব আইন স্থগিত করলো ইরান প্রধান উপদেষ্টার রোডম্যাপ ৩০ জুন, ২০২৬ এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচন : শফিকুল ষড়যন্ত্রকারীরা বিএনপির ভেতরও এজেন্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে : তারেক রহমান

বিতর্কিত হিজাব আইন স্থগিত করলো ইরান

#
news image

ইরানের হিজাব সংক্রান্ত বিতর্কিত একটি আইন স্থগিত করেছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল। শুক্রবার থেকে দেশটিতে আইনটি কার্যকর করার কথা ছিল। তবে আইনটি সম্পর্কে ‘অস্পষ্ট এবং সংস্কারের প্রয়োজন'’ বলে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের মন্তব্যের পর এটি স্থগিত করা হলো।

প্রস্তাবিত আইনে নারীদের চুল, হাতের বাহু ও পায়ের নিচের অংশ প্রদর্শনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়। এই আইনে অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে এবং নিয়ম নিয়ে উপহাস করলে তাকে বড় ধরনের জরিমানা এমনকি  ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডেরও বিধান রাখা হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ আইন নিয়ে গোড়া থেকেই তাদের শঙ্কা ব্যক্ত করে আসছিল। অধিকার কর্মীরা আইনটির তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে।

নারীদের জন্য কঠোর পোশাক আইন কয়েক দশক ধরে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।  একে কেন্দ্র করে অতীতে অনেক বিক্ষোভেরও জন্ম হয়েছে।

আইনটি নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘দমন পীড়নের দম বন্ধ করা প্রক্রিয়াকে আরও সুরক্ষিত করতে চাইছে। দেশটির নারী ও পরিবার বিষয়ক সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আইনটির সমালোচনা করে বলেন, ‘নতুন আইন হলো ইরানের জনসংখ্যার অর্ধেকের জন্য একটি অভিযোগপত্র।’

জুলাইয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী থাকাকালীন পেজেশকিয়ান প্রকাশ্যেই হিজাব ইস্যুতে ইরানের নারীদের সঙ্গে আচরণের কঠোর সমালোচনা করেন।  কারও ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ না করারও অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণে হতাশ তরুণ প্রজন্মসহ বিপুল সংখ্যক ইরানি জনগোষ্ঠির প্রত্যাশা তখন তার বক্তব্যে প্রতিধ্বনিত হয়।

গত দুই বছর ধরে অনেক ইরানি তরুণী প্রকাশ্যেই হিজাব পরিধান না করে সরকারের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। গত সপ্তাহেও ৩০০ ইরানি অধিকারকর্মী, লেখক এবং সাংবাদিক প্রকাশ্যে নতুন হিজাব আইনের প্রতিবাদ করেছেন। তারা এটিকে 'অবৈধ ও অপ্রয়োগযোগ্য' আখ্যায়িত করে প্রেসিডেন্টের প্রতি তার নির্বাচনী অঙ্গীকারকে সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান।

দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ কট্টরপন্থী অংশের চাপ সত্ত্বেও ইরানের অনেক তরুণ সরকারের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ভীতিহীনভাবে প্রকাশ্য সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে।

নতুন হিজাব আইন নারীদের আইন ভঙ্গ ঠেকাতে ব্যর্থ হতে পারে। এমনকি পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে ভাবছেন পেজেশকিয়ানের সমর্থকরা।

আন্তর্জাতিক ডেক্স :

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪,  2:08 AM

news image

ইরানের হিজাব সংক্রান্ত বিতর্কিত একটি আইন স্থগিত করেছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল। শুক্রবার থেকে দেশটিতে আইনটি কার্যকর করার কথা ছিল। তবে আইনটি সম্পর্কে ‘অস্পষ্ট এবং সংস্কারের প্রয়োজন'’ বলে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের মন্তব্যের পর এটি স্থগিত করা হলো।

প্রস্তাবিত আইনে নারীদের চুল, হাতের বাহু ও পায়ের নিচের অংশ প্রদর্শনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়। এই আইনে অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে এবং নিয়ম নিয়ে উপহাস করলে তাকে বড় ধরনের জরিমানা এমনকি  ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডেরও বিধান রাখা হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ আইন নিয়ে গোড়া থেকেই তাদের শঙ্কা ব্যক্ত করে আসছিল। অধিকার কর্মীরা আইনটির তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে।

নারীদের জন্য কঠোর পোশাক আইন কয়েক দশক ধরে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।  একে কেন্দ্র করে অতীতে অনেক বিক্ষোভেরও জন্ম হয়েছে।

আইনটি নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘দমন পীড়নের দম বন্ধ করা প্রক্রিয়াকে আরও সুরক্ষিত করতে চাইছে। দেশটির নারী ও পরিবার বিষয়ক সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আইনটির সমালোচনা করে বলেন, ‘নতুন আইন হলো ইরানের জনসংখ্যার অর্ধেকের জন্য একটি অভিযোগপত্র।’

জুলাইয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী থাকাকালীন পেজেশকিয়ান প্রকাশ্যেই হিজাব ইস্যুতে ইরানের নারীদের সঙ্গে আচরণের কঠোর সমালোচনা করেন।  কারও ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ না করারও অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণে হতাশ তরুণ প্রজন্মসহ বিপুল সংখ্যক ইরানি জনগোষ্ঠির প্রত্যাশা তখন তার বক্তব্যে প্রতিধ্বনিত হয়।

গত দুই বছর ধরে অনেক ইরানি তরুণী প্রকাশ্যেই হিজাব পরিধান না করে সরকারের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। গত সপ্তাহেও ৩০০ ইরানি অধিকারকর্মী, লেখক এবং সাংবাদিক প্রকাশ্যে নতুন হিজাব আইনের প্রতিবাদ করেছেন। তারা এটিকে 'অবৈধ ও অপ্রয়োগযোগ্য' আখ্যায়িত করে প্রেসিডেন্টের প্রতি তার নির্বাচনী অঙ্গীকারকে সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান।

দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ কট্টরপন্থী অংশের চাপ সত্ত্বেও ইরানের অনেক তরুণ সরকারের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ভীতিহীনভাবে প্রকাশ্য সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে।

নতুন হিজাব আইন নারীদের আইন ভঙ্গ ঠেকাতে ব্যর্থ হতে পারে। এমনকি পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে ভাবছেন পেজেশকিয়ানের সমর্থকরা।