মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের গুলিতে যুবক নিহত
আবুল কাশেম, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :
০৩ নভেম্বর, ২০২৫, 5:40 PM
মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের গুলিতে যুবক নিহত
মুন্সীগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন বেহেরকান্দি গ্রামের সেলিম দেওয়ানের ছেলে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর থেকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি ও মুন্সীকান্দি গ্রামের বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এতে স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার রাতে বাড়ি ফেরার সময় তুহিন দেওয়ানকে দেখতে পেয়ে মুন্সীকান্দি গ্রামের বিএনপি নেতা উজির আলীর গ্রুপের লিটন বেপারী পেছন থেকে গুলি চালায়। এতে তুহিনের গলার পেছনে গুলি লাগে। গুলির শব্দ ও তুহিনের চিৎকারে গ্রামবাসী গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তুহিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তুহিনের মা লাকী বেগম হাসপাতালে আহাজারি করে বলেন, ‘লিটন বেপারী আমার নিষ্পাপ ছেলেকে গুলি কইরা মাইরা লাইছে। আমি তার ফাঁসি চাই।
তুহিনের ভাই আক্কাস দেওয়ান বলেন, ‘তুহিন বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে ওত পেতে থাকা লিটন বেপারী পেছন থেকে গুলি করে তার ভাইকে মেরে ফেলেছে। লিটন বিএনপি নেতা উজির আলী গ্রুপের সন্ত্রাসী।
এ ঘটনার পর পর অভিযুক্ত লিটন বেপারী পালিয়ে গেছে। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিএনপি নেতা উজির আলী বলেন, ‘আমি ঢাকায় থাকি। গ্রামে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি এর সঙ্গে জড়িত নই।
সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি ও মুন্সীকান্দি গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আবুল কাশেম, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :
০৩ নভেম্বর, ২০২৫, 5:40 PM
মুন্সীগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন বেহেরকান্দি গ্রামের সেলিম দেওয়ানের ছেলে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর থেকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি ও মুন্সীকান্দি গ্রামের বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এতে স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার রাতে বাড়ি ফেরার সময় তুহিন দেওয়ানকে দেখতে পেয়ে মুন্সীকান্দি গ্রামের বিএনপি নেতা উজির আলীর গ্রুপের লিটন বেপারী পেছন থেকে গুলি চালায়। এতে তুহিনের গলার পেছনে গুলি লাগে। গুলির শব্দ ও তুহিনের চিৎকারে গ্রামবাসী গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তুহিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তুহিনের মা লাকী বেগম হাসপাতালে আহাজারি করে বলেন, ‘লিটন বেপারী আমার নিষ্পাপ ছেলেকে গুলি কইরা মাইরা লাইছে। আমি তার ফাঁসি চাই।
তুহিনের ভাই আক্কাস দেওয়ান বলেন, ‘তুহিন বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে ওত পেতে থাকা লিটন বেপারী পেছন থেকে গুলি করে তার ভাইকে মেরে ফেলেছে। লিটন বিএনপি নেতা উজির আলী গ্রুপের সন্ত্রাসী।
এ ঘটনার পর পর অভিযুক্ত লিটন বেপারী পালিয়ে গেছে। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিএনপি নেতা উজির আলী বলেন, ‘আমি ঢাকায় থাকি। গ্রামে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি এর সঙ্গে জড়িত নই।
সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি ও মুন্সীকান্দি গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।