ঢাকা ০৯ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
নেত্রকোনায় মুদি দোকানিকে গলা কেটে হত্যা শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহের আচরণবিধি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী সহ ৩ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা সাংবাদিককে আইনজীবীর হুমকি, ভূমিদস্যু-জালিয়াত চক্রের দৌরাত্ম্য শেষ কোথায় ? ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন শিবপুরে স্টার সিএনজি স্টেশনের নামে মিথ্যা অপপ্রচার এবং চাঁদা দাবি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ জ্বর হওয়ার সাথে সাথে ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সীমান্ত থেকে গাঁজা এনে রাজশাহীতে সরবরাহ: ‘বিবিজান’ চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

নওগাঁর মহাদেবপুরে আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব পালিত

#
news image

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নাটশাল মাঠে সোমবার  হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে,আদিবাসী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব। দিনব্যাপী এ উৎসবকে কেন্দ্র করে নাটশাল মাঠ পরিণত হয় মিলনমেলায়।
উৎসবে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জেলা প্রশাসক নওগাঁ এর প্রতিনিধি মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান আরিফ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়ার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি এ্যাড.আব্দুল বারী,জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এস.এম. আজাদ হোসেন মুরাদ, মহাদেবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি  প্রভাষক আজাদুল ইসলাম,কেন্দ্রীয় আদিবাসী পরিষদে কোষাধ্যক্ষ  সুধীর তির্কী, কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রুপচান লাকড়া,পত্নীতলা সভাপতি সুবোধ উরাও,রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক ছোটন সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাইন ভূইয়া,নারী নেত্রী নিতী মুন্ডাসহ স্থানীয় জন প্রতিনিধি, শিক্ষক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উৎসবে যোগ দেন।


অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোদন করেন  জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি গণেশ মার্ডি। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় আদবাসী পরিষদ নওগাঁ জেলা কমিটির আমিন কুজুর।
দিনব্যাপী আয়োজনে আদিবাসী তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন। ঢোল, মাদল, বাঁশি ও করতালের সুরে নাচ-গানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো মাঠ। উৎসবে অংশ নিতে বিভিন্ন জেলা থেকেও বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি ছিল ।

অতিথিরা বলেন, কারাম উৎসব শুধু আনন্দ-উৎসব নয় বরং এটি আদিবাসী সমাজের সংস্কৃতি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্যের প্রতীক। আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এ উৎসবের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম তাদের শেকড়ের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।”

আ‌দিকাল থেকেই কারাম উৎসবকে আদিবাসীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা হয়। ভাদ্র মাসের একাদশীতে এই উৎসব পালিত হয়। কৃষি, প্রকৃতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে স্মরণ করেই এ উৎসবের সূচনা, যা আজও ঐতিহ্য হিসেবে টিকে আছে।

উৎসব শেষে অতিথিরা আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিকাশে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

নওগাঁ প্রতিনিধি :

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  11:28 PM

news image

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নাটশাল মাঠে সোমবার  হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে,আদিবাসী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব। দিনব্যাপী এ উৎসবকে কেন্দ্র করে নাটশাল মাঠ পরিণত হয় মিলনমেলায়।
উৎসবে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জেলা প্রশাসক নওগাঁ এর প্রতিনিধি মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান আরিফ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়ার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি এ্যাড.আব্দুল বারী,জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এস.এম. আজাদ হোসেন মুরাদ, মহাদেবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি  প্রভাষক আজাদুল ইসলাম,কেন্দ্রীয় আদিবাসী পরিষদে কোষাধ্যক্ষ  সুধীর তির্কী, কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রুপচান লাকড়া,পত্নীতলা সভাপতি সুবোধ উরাও,রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক ছোটন সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাইন ভূইয়া,নারী নেত্রী নিতী মুন্ডাসহ স্থানীয় জন প্রতিনিধি, শিক্ষক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উৎসবে যোগ দেন।


অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোদন করেন  জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি গণেশ মার্ডি। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় আদবাসী পরিষদ নওগাঁ জেলা কমিটির আমিন কুজুর।
দিনব্যাপী আয়োজনে আদিবাসী তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন। ঢোল, মাদল, বাঁশি ও করতালের সুরে নাচ-গানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো মাঠ। উৎসবে অংশ নিতে বিভিন্ন জেলা থেকেও বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি ছিল ।

অতিথিরা বলেন, কারাম উৎসব শুধু আনন্দ-উৎসব নয় বরং এটি আদিবাসী সমাজের সংস্কৃতি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্যের প্রতীক। আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এ উৎসবের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম তাদের শেকড়ের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।”

আ‌দিকাল থেকেই কারাম উৎসবকে আদিবাসীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা হয়। ভাদ্র মাসের একাদশীতে এই উৎসব পালিত হয়। কৃষি, প্রকৃতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে স্মরণ করেই এ উৎসবের সূচনা, যা আজও ঐতিহ্য হিসেবে টিকে আছে।

উৎসব শেষে অতিথিরা আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিকাশে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।