ক্যাম্পে সেনা-এপিবিএন যৌথ অভিযান: নবী হোসেন গ্রুপের চার সন্ত্রাসী আটক

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
১৫ জুলাই, ২০২৫, 12:33 AM

ক্যাম্পে সেনা-এপিবিএন যৌথ অভিযান: নবী হোসেন গ্রুপের চার সন্ত্রাসী আটক
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলাস্থ এফডিএমএন (রোহিঙ্গা) ক্যাম্প-১১ তে সেনাবাহিনী ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-এর যৌথ অভিযানে কুখ্যাত সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি ইউজি (UZI) সাবমেশিন গান ও নগদ ১৪ লাখ টাকা।
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ক্যাম্প-১১ এর সি/৬ ব্লকের মাঝি কেফায়েত উল্লাহর বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
আটককৃত সন্ত্রাসীরা হলেন:মো. আনাস (৩০), পিতা: মো. ইউসুফ,ক্যাম্প-১১, ব্লক-ই (FCN: G798360) মনসুর আহমেদ (৩২), পিতা: নুর বসর, ক্যাম্প-৯, ব্লক C-১৪ ইয়াসের আরাফাত (৩৫), পিতা: নাজিমউদ্দিন, ক্যাম্প-৯, ব্লক C-১৬ কেফায়েত উল্লাহ (৩৫), পিতা: সৈয়দ আহমেদ,ক্যাম্প-১১, ব্লক C-৬ (FCN: 192342)
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করেছেন, তারা সবাই কুখ্যাত ডাকাত নবী হোসেনের নেতৃত্বাধীন ‘আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (ARA)’-এর সক্রিয় সদস্য। সূত্র জানায়, তারা অস্ত্র ব্যবসায়ী ইলিয়াসের কাছ থেকে একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র কেনার উদ্দেশ্যে ঐ বাড়িতে জড়ো হয়েছিল। তবে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইলিয়াস পালিয়ে গেলেও চারজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা সম্ভব হয়।
উদ্ধারকৃত ইউজি সাবমেশিন গানটি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অস্ত্রটি ক্যাম্প-৮ (ইস্ট) এ নবী হোসেনের আস্তানায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা ছিল।
নবী হোসেন: ক্যাম্পে সন্ত্রাসের আরেক নাম
নবী হোসেন বর্তমানে ARA-এর একজন কমান্ডার হিসেবে সক্রিয়। তিনি ‘রোহিঙ্গা কমিটি ফর পিস অ্যান্ড রেপ্যাট্রিয়েশন (RCPR)’ এর প্রধান দিল মোহাম্মদের অধীনে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ২০২৩ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভীতিকর প্রভাব বিস্তার করেন।
সূত্র জানায়, তিনি ক্যাম্প-৮ (ইস্ট) এলাকায় অবৈধভাবে ৬০x২০ ফুট আয়তনের একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে সেখানে অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও ইয়াবা ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অতীতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্ট অভিযোগ থাকলেও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বারবার আইনের হাত এড়িয়ে গেছেন।
ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ, সন্ত্রাসীদের নিয়মিত অস্ত্র মহড়া ও বেপরোয়া কার্যকলাপে ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারণ রোহিঙ্গারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা, সময়মতো কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
এই অভিযান প্রমাণ করে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংগঠিত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক এক গভীর নিরাপত্তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মিত ও কঠোর নজরদারি ছাড়া পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
১৫ জুলাই, ২০২৫, 12:33 AM

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলাস্থ এফডিএমএন (রোহিঙ্গা) ক্যাম্প-১১ তে সেনাবাহিনী ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-এর যৌথ অভিযানে কুখ্যাত সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি ইউজি (UZI) সাবমেশিন গান ও নগদ ১৪ লাখ টাকা।
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ক্যাম্প-১১ এর সি/৬ ব্লকের মাঝি কেফায়েত উল্লাহর বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
আটককৃত সন্ত্রাসীরা হলেন:মো. আনাস (৩০), পিতা: মো. ইউসুফ,ক্যাম্প-১১, ব্লক-ই (FCN: G798360) মনসুর আহমেদ (৩২), পিতা: নুর বসর, ক্যাম্প-৯, ব্লক C-১৪ ইয়াসের আরাফাত (৩৫), পিতা: নাজিমউদ্দিন, ক্যাম্প-৯, ব্লক C-১৬ কেফায়েত উল্লাহ (৩৫), পিতা: সৈয়দ আহমেদ,ক্যাম্প-১১, ব্লক C-৬ (FCN: 192342)
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করেছেন, তারা সবাই কুখ্যাত ডাকাত নবী হোসেনের নেতৃত্বাধীন ‘আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (ARA)’-এর সক্রিয় সদস্য। সূত্র জানায়, তারা অস্ত্র ব্যবসায়ী ইলিয়াসের কাছ থেকে একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র কেনার উদ্দেশ্যে ঐ বাড়িতে জড়ো হয়েছিল। তবে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইলিয়াস পালিয়ে গেলেও চারজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা সম্ভব হয়।
উদ্ধারকৃত ইউজি সাবমেশিন গানটি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অস্ত্রটি ক্যাম্প-৮ (ইস্ট) এ নবী হোসেনের আস্তানায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা ছিল।
নবী হোসেন: ক্যাম্পে সন্ত্রাসের আরেক নাম
নবী হোসেন বর্তমানে ARA-এর একজন কমান্ডার হিসেবে সক্রিয়। তিনি ‘রোহিঙ্গা কমিটি ফর পিস অ্যান্ড রেপ্যাট্রিয়েশন (RCPR)’ এর প্রধান দিল মোহাম্মদের অধীনে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ২০২৩ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভীতিকর প্রভাব বিস্তার করেন।
সূত্র জানায়, তিনি ক্যাম্প-৮ (ইস্ট) এলাকায় অবৈধভাবে ৬০x২০ ফুট আয়তনের একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে সেখানে অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও ইয়াবা ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অতীতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্ট অভিযোগ থাকলেও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বারবার আইনের হাত এড়িয়ে গেছেন।
ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ, সন্ত্রাসীদের নিয়মিত অস্ত্র মহড়া ও বেপরোয়া কার্যকলাপে ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারণ রোহিঙ্গারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা, সময়মতো কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
এই অভিযান প্রমাণ করে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংগঠিত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক এক গভীর নিরাপত্তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মিত ও কঠোর নজরদারি ছাড়া পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।