ঢাকা ২২ জুন, ২০২৫

বর্ষার প্রকৃতি জুড়ে হাসছে বর্ষাদূত কদম

#
news image

'বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান, আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান.....।' বর্ষার শুরুতে চিরচেনা মিষ্টি একটা গন্ধে মেতে উঠেছে গ্রামীণ সবুজ শ্যামল প্রকৃতি। ঋতুচক্রে বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষা এলেই প্রকৃতির পরতে পরতে যে ফুলটি নীরবে জানান দেয় তার আগমন, সেটি হলো বর্ষাদূত কদম ফুল।

গাছের ডালে ডালে ফুটে থাকা কদম ফুল মনে করিয়ে দিচ্ছে ঋতুর আবর্তে বাংলার প্রকৃতিতে চলছে বর্ষাকাল। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস হচ্ছে বর্ষাকাল। বর্ষাকালের আরেক সৌন্দর্যের নাম হলুদ আর সাদার আভায় বের হওয়া কদম ফুল। বাংলা কবিতা আর গানেও সমভাবে সমাদৃত হয়েছে বর্ষাকাল ও কদম। বর্ষার সঙ্গে কদম ফুলের যেন এক নিবিড় সম্পর্ক প্রাকৃতিকভাবেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। তাইতো পল্লীকবি জসিম উদ্দিন বর্ষা ও কদমের সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন- 'প্রাণ সখিরে...ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে।'

সরেজমিনে জেলা সদরসহ কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখাগেছে, গ্রীষ্মের শেষে বর্ষার শুরুতে সড়কের পাশে, মেঠোপথের ধারে, বসতবাড়ির আশপাশে, পুকুর ও দিঘির পাড়ের কদম গাছ ছেয়ে আছে মিষ্টি গন্ধেভরা হলুদ আর সাদার আভায় তুলতুলে কদম ফুলে। এসব ফুলের মন ভোলানো সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হচ্ছেন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ। শিশুরা এসব ফুল তাদের খেলার অনুষঙ্গ হিসেবেও ব্যবহার করছে। আবার কিশোরীদের চুলের খোপা ও বেনিতেও শোভা পাচ্ছে বর্ষাদূত কদম ফুল। উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের হাতেও শোভা পাচ্ছে এই ফুল। প্রতিটি সড়ক দিয়ে যেতে যেতে কদম ফুলের গন্ধ ও সৌন্দর্য উপভোগ করছেন সবাই। কদম ফুলের গন্ধে যেনো গ্রাম বাংলার চিরচেনা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। চকচকে উজ্জ্বল সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা কদম ফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। কদম ফুলের সতেজ নির্মল সৌন্দর্য আর মোহনীয় ঘ্রাণ প্রকৃতিপ্রেমীসহ সকলের মনে সৃষ্টি করেছে ভিন্ন এক সম্মোহনী অনুভূতি।

বারহাট্টা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক লুৎফুন্নাহার লায়লা জানান, কদম ফুল সাধারণত আষাঢ় মাসে দেখা যাওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতিতে জৈষ্ঠ্য মাস থেকেই প্রকৃতিতে শোভা পায় কদম ফুল। 'কদম' এসেছে সংস্কৃত নাম 'কদম্ব' থেকে। এই ফুলের আরেক নাম নীপ। এছাড়াও এ ফুলের আরও কতগুলো নাম রয়েছে যেমন- সর্ষপ, সুরভি, পুলকি, মেঘাগমপ্রিয়, বৃত্তপুষ্প, সিন্ধুপুষ্প, ললনাপ্রিয়, মঞ্জুকেশিনী ইত্যাদি। এ দেশের ফুলগুলোর নামের মধ্যে কদম ফুল অন্যতম।

তিনি বলেন, যা বিরহীকে ব্যথিত করে, তা-ই কদম্ব। 'নির্জন যমুনার কূলে, বসিয়া কদম্ব ডালে...বাজায় বাঁশি বন্ধু শ্যামরায়।' সেই বাঁশির সুরে রাধার মন ব্যাকুল। বৈষ্ণব সাহিত্য রাধা-কৃষ্ণের বিরহ-বেদনায় একাকার হয়ে আছে কদমের সুরভি। এ কারণেই বুঝি কদমের আরেক নাম সুরভি। বর্ষার প্রকৃতি বাংলা সাহিত্যে এনে দিয়েছে স্নিগ্ধতা। বর্ষার উপহার সোনা রঙের কদম ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে নানা গল্প, উপন্যাস, কবিতা আর গান।

নেত্রকোনা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জায়েদা মেহের নিগারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কদম গাছের বৈজ্ঞানিক নাম- Anthocephalus indicus এবং ইংরেজি নাম -  Burflower tree। কদম Rubiaceae পরিবারের Neolamarckia গণের একটি বৃক্ষ। কদমগাছ সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ ফুট লম্বা হয়। প্রস্থ ঊর্ধ্বে ৫ থেকে ৭ ফুট হয়। এর আদি নিবাস ভারতের উষ্ণ অঞ্চল, মালয় ও চীনে। এই গাছের পাতা লম্বা, চকচকে উজ্জ্বল সবুজ। শীতকালে এই গাছের পাতা ঝরে গেলেও বসন্ত এলেই এই গাছে পাতা নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। কদম ফুল গোলাকার। ফুলটিকে একটি ফুল মনে হলেও আসলে এটি অসংখ্য ফুলের একটি গুচ্ছ। এর ভেতরে মাংসল পুষ্পাধার রয়েছে, যাতে হলুদ রংয়ের ফানেলের মতো নরম সাদা পাপড়িগুলো আটকে থাকে। কদম গাছের ফল বাদুড় ও কাঠবিড়ালির প্রিয় খাদ্য। এরাই ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় এই গাছের বংশবিস্তারে সাহায্য করে থাকে।

তিনি বলেন, ভেষজ ঔষধিগুণে ভরা কদম পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এর ব্যবহারে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি ব্যথানাশক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কদমের ছাল জ্বরের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। পায়ের তালু জ্বলা, ব্রণসৃষ্ট ক্ষত ও গ্রন্থিস্ফীতি রোগে এর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। এ ছাড়া কদম ফুল সেদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল বলেন, ছোট বেলায় কদমফুল নিয়ে অনেক খেলাধুলা করেছি, সে-সময় যত গাছ দেখেছি বর্তমানে এতো গাছ আর চোখে পড়ে না। মূলত বর্ষাকালে প্রকৃতিতে কদম ফুল ফোটে। এই ফুলের সঙ্গে গ্রামবাংলার এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন অসময়েও কদম ফুল ফুটতে দেখা যায়। শিমুল ফুলসহ অনেক ফুলেরই এখন বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে কিন্তু কদমফুলের গাছ রোপনে এখন পর্যন্ত সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগও গ্রহণ করা হয় না। অবহেলিত ভাবে এখানে-সেখানে প্রাকৃতিক ভাবে যা হয়। কদম ফুল অন্যরকম একটা ফুল যেটি দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। আমাদের গাছটিকে রক্ষা করতে বেশি বেশি রোপন করা উচিৎ। গাছের বৃদ্ধি অত্যন্ত দ্রুত বলে জ্বালানি কাঠের জন্য রোপণ করা যেতে পারে। নরম কাঠ বলে সহজেই নানা কাজে ব্যবহার করা হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, কদম ফুল শুভ্রতার প্রতীক। বাংলাদেশে কদমফুল বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিস্নাতক দিনে বাঙালীদের মনে অন্য রকম অনূভূতি এনে দেয়। কদম ফুল ও বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষা মৌসুমের সৌন্দর্য ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কদম গাছের কাঠ জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয়। কদমের অনেক ঔষধিগুণ রয়েছে। সরকারী ভাবে এই গাছ রোপনের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

১৯ জুন, ২০২৫,  7:11 PM

news image

'বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান, আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান.....।' বর্ষার শুরুতে চিরচেনা মিষ্টি একটা গন্ধে মেতে উঠেছে গ্রামীণ সবুজ শ্যামল প্রকৃতি। ঋতুচক্রে বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষা এলেই প্রকৃতির পরতে পরতে যে ফুলটি নীরবে জানান দেয় তার আগমন, সেটি হলো বর্ষাদূত কদম ফুল।

গাছের ডালে ডালে ফুটে থাকা কদম ফুল মনে করিয়ে দিচ্ছে ঋতুর আবর্তে বাংলার প্রকৃতিতে চলছে বর্ষাকাল। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস হচ্ছে বর্ষাকাল। বর্ষাকালের আরেক সৌন্দর্যের নাম হলুদ আর সাদার আভায় বের হওয়া কদম ফুল। বাংলা কবিতা আর গানেও সমভাবে সমাদৃত হয়েছে বর্ষাকাল ও কদম। বর্ষার সঙ্গে কদম ফুলের যেন এক নিবিড় সম্পর্ক প্রাকৃতিকভাবেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। তাইতো পল্লীকবি জসিম উদ্দিন বর্ষা ও কদমের সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন- 'প্রাণ সখিরে...ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে।'

সরেজমিনে জেলা সদরসহ কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখাগেছে, গ্রীষ্মের শেষে বর্ষার শুরুতে সড়কের পাশে, মেঠোপথের ধারে, বসতবাড়ির আশপাশে, পুকুর ও দিঘির পাড়ের কদম গাছ ছেয়ে আছে মিষ্টি গন্ধেভরা হলুদ আর সাদার আভায় তুলতুলে কদম ফুলে। এসব ফুলের মন ভোলানো সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হচ্ছেন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ। শিশুরা এসব ফুল তাদের খেলার অনুষঙ্গ হিসেবেও ব্যবহার করছে। আবার কিশোরীদের চুলের খোপা ও বেনিতেও শোভা পাচ্ছে বর্ষাদূত কদম ফুল। উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের হাতেও শোভা পাচ্ছে এই ফুল। প্রতিটি সড়ক দিয়ে যেতে যেতে কদম ফুলের গন্ধ ও সৌন্দর্য উপভোগ করছেন সবাই। কদম ফুলের গন্ধে যেনো গ্রাম বাংলার চিরচেনা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। চকচকে উজ্জ্বল সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা কদম ফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। কদম ফুলের সতেজ নির্মল সৌন্দর্য আর মোহনীয় ঘ্রাণ প্রকৃতিপ্রেমীসহ সকলের মনে সৃষ্টি করেছে ভিন্ন এক সম্মোহনী অনুভূতি।

বারহাট্টা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক লুৎফুন্নাহার লায়লা জানান, কদম ফুল সাধারণত আষাঢ় মাসে দেখা যাওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতিতে জৈষ্ঠ্য মাস থেকেই প্রকৃতিতে শোভা পায় কদম ফুল। 'কদম' এসেছে সংস্কৃত নাম 'কদম্ব' থেকে। এই ফুলের আরেক নাম নীপ। এছাড়াও এ ফুলের আরও কতগুলো নাম রয়েছে যেমন- সর্ষপ, সুরভি, পুলকি, মেঘাগমপ্রিয়, বৃত্তপুষ্প, সিন্ধুপুষ্প, ললনাপ্রিয়, মঞ্জুকেশিনী ইত্যাদি। এ দেশের ফুলগুলোর নামের মধ্যে কদম ফুল অন্যতম।

তিনি বলেন, যা বিরহীকে ব্যথিত করে, তা-ই কদম্ব। 'নির্জন যমুনার কূলে, বসিয়া কদম্ব ডালে...বাজায় বাঁশি বন্ধু শ্যামরায়।' সেই বাঁশির সুরে রাধার মন ব্যাকুল। বৈষ্ণব সাহিত্য রাধা-কৃষ্ণের বিরহ-বেদনায় একাকার হয়ে আছে কদমের সুরভি। এ কারণেই বুঝি কদমের আরেক নাম সুরভি। বর্ষার প্রকৃতি বাংলা সাহিত্যে এনে দিয়েছে স্নিগ্ধতা। বর্ষার উপহার সোনা রঙের কদম ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে নানা গল্প, উপন্যাস, কবিতা আর গান।

নেত্রকোনা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জায়েদা মেহের নিগারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কদম গাছের বৈজ্ঞানিক নাম- Anthocephalus indicus এবং ইংরেজি নাম -  Burflower tree। কদম Rubiaceae পরিবারের Neolamarckia গণের একটি বৃক্ষ। কদমগাছ সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ ফুট লম্বা হয়। প্রস্থ ঊর্ধ্বে ৫ থেকে ৭ ফুট হয়। এর আদি নিবাস ভারতের উষ্ণ অঞ্চল, মালয় ও চীনে। এই গাছের পাতা লম্বা, চকচকে উজ্জ্বল সবুজ। শীতকালে এই গাছের পাতা ঝরে গেলেও বসন্ত এলেই এই গাছে পাতা নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। কদম ফুল গোলাকার। ফুলটিকে একটি ফুল মনে হলেও আসলে এটি অসংখ্য ফুলের একটি গুচ্ছ। এর ভেতরে মাংসল পুষ্পাধার রয়েছে, যাতে হলুদ রংয়ের ফানেলের মতো নরম সাদা পাপড়িগুলো আটকে থাকে। কদম গাছের ফল বাদুড় ও কাঠবিড়ালির প্রিয় খাদ্য। এরাই ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় এই গাছের বংশবিস্তারে সাহায্য করে থাকে।

তিনি বলেন, ভেষজ ঔষধিগুণে ভরা কদম পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এর ব্যবহারে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি ব্যথানাশক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কদমের ছাল জ্বরের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। পায়ের তালু জ্বলা, ব্রণসৃষ্ট ক্ষত ও গ্রন্থিস্ফীতি রোগে এর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। এ ছাড়া কদম ফুল সেদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল বলেন, ছোট বেলায় কদমফুল নিয়ে অনেক খেলাধুলা করেছি, সে-সময় যত গাছ দেখেছি বর্তমানে এতো গাছ আর চোখে পড়ে না। মূলত বর্ষাকালে প্রকৃতিতে কদম ফুল ফোটে। এই ফুলের সঙ্গে গ্রামবাংলার এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন অসময়েও কদম ফুল ফুটতে দেখা যায়। শিমুল ফুলসহ অনেক ফুলেরই এখন বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে কিন্তু কদমফুলের গাছ রোপনে এখন পর্যন্ত সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগও গ্রহণ করা হয় না। অবহেলিত ভাবে এখানে-সেখানে প্রাকৃতিক ভাবে যা হয়। কদম ফুল অন্যরকম একটা ফুল যেটি দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। আমাদের গাছটিকে রক্ষা করতে বেশি বেশি রোপন করা উচিৎ। গাছের বৃদ্ধি অত্যন্ত দ্রুত বলে জ্বালানি কাঠের জন্য রোপণ করা যেতে পারে। নরম কাঠ বলে সহজেই নানা কাজে ব্যবহার করা হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, কদম ফুল শুভ্রতার প্রতীক। বাংলাদেশে কদমফুল বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিস্নাতক দিনে বাঙালীদের মনে অন্য রকম অনূভূতি এনে দেয়। কদম ফুল ও বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষা মৌসুমের সৌন্দর্য ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কদম গাছের কাঠ জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয়। কদমের অনেক ঔষধিগুণ রয়েছে। সরকারী ভাবে এই গাছ রোপনের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।