রংপুরে জি এম কাদেরের বাসায় হামলার ঘটনায় যৌথবাহিনীর জিজ্ঞসাবাদ : হঠাৎ সারজিস আলম উপস্থিত

শাকিল আহমেদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি :
০২ জুন, ২০২৫, 1:53 PM

রংপুরে জি এম কাদেরের বাসায় হামলার ঘটনায় যৌথবাহিনীর জিজ্ঞসাবাদ : হঠাৎ সারজিস আলম উপস্থিত
রংপুরে জার্তীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যৌথ বাহিনী। এসময় হঠাৎ ঘটনাস্থলে হাজির হয় সারজিস আলম। গত শনিবার রাতে রংপুর নগরীর পায়রা চত্বরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপরাধী সনাক্তে সহযোগিতা কামনা করে যৌথবাহিনী। জানা যায়, রাত ১২টার পর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ তাদের নেতাকর্মীদের ওপর জাতীয় পার্টির হামলার অভিযোগ তুলে মহানগর কোতয়ালি থানায় মামলার অভিযোগপত্র দিয়ে ফিরছিলেন। ফেরার সময় পায়রা চত্বরে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে যৌথবাহিনী। তাদের ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে ডাকা হয় রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন ও জেলা সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুকে। তাদের কাছেও জানতে চাওয়া হয়, ওই হামলার ঘটনায় তাদের দলের কোনো নেতাকর্মী জড়িত কি না। এ সময় হামলার সময়কার ভিডিও ফুটেজ এবং স্থিরচিত্র দেখিয়ে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে তাদের সহযোগিতাও চায় সেনাবাহিনী।
ঘটনাস্থলে মহানগর বৈষম্যবিরোধীর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি সাংবাদিকদের বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ তাদেরকে ফোন দিয়ে কোথায় আছেন জানতে চাওয়া হয়। তারা পায়রা চত্বরে আছেন জানালে সেনাবাহিনী সদস্যরা সেখানে চলে আসেন। হামলার ঘটনায় জড়িতদের পরিচয় শনাক্তে তাদেরকে ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয় কারা কারা জড়িত আছে। হামলাকারীদের শনাক্তে তাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। এসময় বিএনপির মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমাদেরকে এখানে ডাকা হয়েছে। আমাদের কাছেও একই ধরনের সহযোগিতা চেয়েছেন। তাদের দেখানো ভিডিও ফুটেজ থেকে আমরা একজনকে শনাক্ত করেছি। এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে দলের কেউ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টির মধ্যেই ঘটনাস্থল পায়রা চত্বরে এসে উপস্থিত হন এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সেখানে তিনি সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সারজিস বলেন, জাতীয় পার্টি বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগকে স্বৈরাচারী সরকারে পরিণত হতে সমর্থন দিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগের বি টিম জাতীয় পার্টি। তারা শান্তিপূর্ণ রংপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের মিটিং-মিছিলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছে। জি এম কাদের রংপুরে এসে গোপন বৈঠক করে জাতীয় পার্টির আঁড়ালে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ষড়যন্ত্র করছিল। বৈষম্যবিরোধীরা এর প্রতিবাদ করে মিছিল করলে সেখানে তাদের ওপর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব। জাতীয় পার্টির নেতা অবৈধ ভোটে নির্বাচিত মেয়র এখন পুনর্বহাল চেয়ে আন্দোলন করছে, এটা ভালো লক্ষণ নয়। তারা কীভাবে মিটিং-মিছিল করে, আল্টিমেটাম দেয়, তাদের সঙ্গে কারা আছে আগে এসব খুঁজে বের করতে হবে। এসময় রংপুরের শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে, এজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বার্থে সবকিছু করতে প্রস্তুত, দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যেটা যাবে, সেটা দলমত নির্বিশেষে যে খারাপ কাজ করবে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান খুবই কঠোর। এটাই আমাদের বার্তা। ওনারা দু’জন আমাদের সহায়তা করতে চেয়েছেন। ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি দেখে শনাক্ত করতে পেরেছেন কে কে আছে তাদের দলে, অনেকের হাতে লাঠি এবং অন্যান্য জিনিস ছিল-যা থাকার কথা ছিল না। এজন্য তারা বিব্রতবোধ করেছেন। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর মহানগর কোতয়ালি থানায় গিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ জাতীয় পার্টি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ১৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির রংপুর জেলা সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন। এছাড়াও গত শুক্রবার রাতে জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ আলী বাদী হয়ে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
শাকিল আহমেদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি :
০২ জুন, ২০২৫, 1:53 PM

রংপুরে জার্তীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যৌথ বাহিনী। এসময় হঠাৎ ঘটনাস্থলে হাজির হয় সারজিস আলম। গত শনিবার রাতে রংপুর নগরীর পায়রা চত্বরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপরাধী সনাক্তে সহযোগিতা কামনা করে যৌথবাহিনী। জানা যায়, রাত ১২টার পর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ তাদের নেতাকর্মীদের ওপর জাতীয় পার্টির হামলার অভিযোগ তুলে মহানগর কোতয়ালি থানায় মামলার অভিযোগপত্র দিয়ে ফিরছিলেন। ফেরার সময় পায়রা চত্বরে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে যৌথবাহিনী। তাদের ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে ডাকা হয় রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন ও জেলা সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুকে। তাদের কাছেও জানতে চাওয়া হয়, ওই হামলার ঘটনায় তাদের দলের কোনো নেতাকর্মী জড়িত কি না। এ সময় হামলার সময়কার ভিডিও ফুটেজ এবং স্থিরচিত্র দেখিয়ে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে তাদের সহযোগিতাও চায় সেনাবাহিনী।
ঘটনাস্থলে মহানগর বৈষম্যবিরোধীর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি সাংবাদিকদের বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ তাদেরকে ফোন দিয়ে কোথায় আছেন জানতে চাওয়া হয়। তারা পায়রা চত্বরে আছেন জানালে সেনাবাহিনী সদস্যরা সেখানে চলে আসেন। হামলার ঘটনায় জড়িতদের পরিচয় শনাক্তে তাদেরকে ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয় কারা কারা জড়িত আছে। হামলাকারীদের শনাক্তে তাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। এসময় বিএনপির মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমাদেরকে এখানে ডাকা হয়েছে। আমাদের কাছেও একই ধরনের সহযোগিতা চেয়েছেন। তাদের দেখানো ভিডিও ফুটেজ থেকে আমরা একজনকে শনাক্ত করেছি। এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে দলের কেউ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টির মধ্যেই ঘটনাস্থল পায়রা চত্বরে এসে উপস্থিত হন এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সেখানে তিনি সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সারজিস বলেন, জাতীয় পার্টি বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগকে স্বৈরাচারী সরকারে পরিণত হতে সমর্থন দিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগের বি টিম জাতীয় পার্টি। তারা শান্তিপূর্ণ রংপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের মিটিং-মিছিলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছে। জি এম কাদের রংপুরে এসে গোপন বৈঠক করে জাতীয় পার্টির আঁড়ালে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ষড়যন্ত্র করছিল। বৈষম্যবিরোধীরা এর প্রতিবাদ করে মিছিল করলে সেখানে তাদের ওপর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব। জাতীয় পার্টির নেতা অবৈধ ভোটে নির্বাচিত মেয়র এখন পুনর্বহাল চেয়ে আন্দোলন করছে, এটা ভালো লক্ষণ নয়। তারা কীভাবে মিটিং-মিছিল করে, আল্টিমেটাম দেয়, তাদের সঙ্গে কারা আছে আগে এসব খুঁজে বের করতে হবে। এসময় রংপুরের শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে, এজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বার্থে সবকিছু করতে প্রস্তুত, দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যেটা যাবে, সেটা দলমত নির্বিশেষে যে খারাপ কাজ করবে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান খুবই কঠোর। এটাই আমাদের বার্তা। ওনারা দু’জন আমাদের সহায়তা করতে চেয়েছেন। ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি দেখে শনাক্ত করতে পেরেছেন কে কে আছে তাদের দলে, অনেকের হাতে লাঠি এবং অন্যান্য জিনিস ছিল-যা থাকার কথা ছিল না। এজন্য তারা বিব্রতবোধ করেছেন। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর মহানগর কোতয়ালি থানায় গিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ জাতীয় পার্টি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ১৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির রংপুর জেলা সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন। এছাড়াও গত শুক্রবার রাতে জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ আলী বাদী হয়ে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।