ঢাকা ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
শিরোনামঃ
জাফরুর নতুন কমিটি : অডেন সভাপতি ও আকতারুল সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার : তৌহিদ পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি ঢাবিতে বিভিন্ন ভাষার এলিমেন্টারি সার্টিফিকেট কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আগামীকাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু খনিজ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ‘উপযুক্ত টেস্ট উইকেট’ চান সিমন্স সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মানবে না : গোলাম পরওয়ার সরকারি গাড়িতে পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে ইউএনও'কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা

‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে নববর্ষের শোভাযাত্রা হবে

#
news image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রতিবার নতুন বছরকে বরণে রাজধানীতে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বের করে থাকে। এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে রাজধানীতে নববর্ষের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদ্যাপনের বিভিন্ন দিক জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেই নাম দিয়ে চারুকলায় নববর্ষে শোভাযাত্রার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।’

এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, এই শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্যে দু’টি বার্তা আছে। একটি হচ্ছে, রাজনৈতিক ও সামাজিক নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ, সেই বিষয়টি তুলে ধরা। কিছু মোটিফ সেই কাজটি করছে। আর দ্বিতীয় যে অংশটি আছে, তা হলো মূলত ঐক্যের ডাক, সম্প্রীতির ডাক।

সংবাদ সম্মেলনে একই প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ বলেছেন, এটিকে আমরা নাম পরিবর্তন বলতে চাইনা। নাম পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালে যখন আমরা শিক্ষার্থী ছিলাম, তখন এর নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। পরবর্তী সময় এটি মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে পরিবর্তন হয়। ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে, আনন্দ শোভাযাত্রা নামে ১৯৮৯ সালে যে আয়োজনটি হয়েছিল, সেটির স্বতঃস্ফূর্ততা কেমন ছিল। আর পরবর্তীকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার সময়ে তার স্বতস্ফূর্ততা কেমন ছিল।

তিনি আরও বলেন, এ কারণে আমরা পরিবর্তন বলছি না। আমরা বলছি, সেই আনন্দ শোভাযাত্রাকে আমরা পুনরুদ্ধার করেছি। 

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ১৯৮৯ সাল থেকে পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

১১ এপ্রিল, ২০২৫,  10:57 PM

news image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রতিবার নতুন বছরকে বরণে রাজধানীতে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বের করে থাকে। এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে রাজধানীতে নববর্ষের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদ্যাপনের বিভিন্ন দিক জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেই নাম দিয়ে চারুকলায় নববর্ষে শোভাযাত্রার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।’

এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, এই শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্যে দু’টি বার্তা আছে। একটি হচ্ছে, রাজনৈতিক ও সামাজিক নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ, সেই বিষয়টি তুলে ধরা। কিছু মোটিফ সেই কাজটি করছে। আর দ্বিতীয় যে অংশটি আছে, তা হলো মূলত ঐক্যের ডাক, সম্প্রীতির ডাক।

সংবাদ সম্মেলনে একই প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ বলেছেন, এটিকে আমরা নাম পরিবর্তন বলতে চাইনা। নাম পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালে যখন আমরা শিক্ষার্থী ছিলাম, তখন এর নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। পরবর্তী সময় এটি মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে পরিবর্তন হয়। ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে, আনন্দ শোভাযাত্রা নামে ১৯৮৯ সালে যে আয়োজনটি হয়েছিল, সেটির স্বতঃস্ফূর্ততা কেমন ছিল। আর পরবর্তীকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার সময়ে তার স্বতস্ফূর্ততা কেমন ছিল।

তিনি আরও বলেন, এ কারণে আমরা পরিবর্তন বলছি না। আমরা বলছি, সেই আনন্দ শোভাযাত্রাকে আমরা পুনরুদ্ধার করেছি। 

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ১৯৮৯ সাল থেকে পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।