বিগত ১৫ বছরের নির্বাচন স্পষ্টত প্রহসন : ধর্ম উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, 1:55 AM
বিগত ১৫ বছরের নির্বাচন স্পষ্টত প্রহসন : ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে যত নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে দু’একটা ছাড়া অন্যগুলোর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের নির্বাচন স্পষ্টত প্রহসন।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে নির্বাচনের নামে যেটা হয়েছে, সেগুলোকে নির্বাচন বলা যায়না। এ সকল নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোন আগ্রহ ছিলো না। নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা যে লক্ষ্যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
তিনি বলেন, এদেশে আয়নাঘর তৈরি হয়েছে, মানুষকে গুম ও খুন করা হয়েছে। এদের অনেকের হদিস পর্যন্ত মেলেনি। বিরোধীমতকে বিভৎসরূপে দমন করা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন রাষ্ট্রে এটা কেবল দুঃখজনকই নয়, লজ্জাজনকও বটে।
তিনি আরো বলেন, একটি দেশের ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রকে দেউলিয়া করার মতো কাজ যারা করে, তারা দেশপ্রেমিক হওয়ার যোগ্য নন।
বিজয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে বিজয় দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্ববহ। অসংখ্য প্রাণ ও বহু মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। এর পিছনে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে।
তিনি বলেন, একটি কল্যাণমূখী, বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন এবং গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্যই এই বিজয় অর্জিত হয়। কিন্তু আপসোসের বিষয় হলো, দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পরও আমাদের কাঙ্খিত সেই স্বপ্ন অনেকাংশেই পূরণ হয়নি।
দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এতো মানুষ যে কারণে সংগ্রাম চালালো, যুদ্ধ করলো এবং প্রাণ দিলো তাদের এই আত্মত্যাগ সার্থক হবে যদি আমরা স্বাধীনতার লক্ষ্য পানে এগিয়ে যেতে পারি। একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠন ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়নের প্রয়াস সফল হলেই শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে।
তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিউল আলম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ এবং ইফার দ্বীনি দাওয়াত বিভাগের পরিচালক মো. তৌহিদুল আনোয়ারও বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক, উপপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
পরে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবে শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ-জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, 1:55 AM
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে যত নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে দু’একটা ছাড়া অন্যগুলোর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের নির্বাচন স্পষ্টত প্রহসন।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে নির্বাচনের নামে যেটা হয়েছে, সেগুলোকে নির্বাচন বলা যায়না। এ সকল নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোন আগ্রহ ছিলো না। নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা যে লক্ষ্যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
তিনি বলেন, এদেশে আয়নাঘর তৈরি হয়েছে, মানুষকে গুম ও খুন করা হয়েছে। এদের অনেকের হদিস পর্যন্ত মেলেনি। বিরোধীমতকে বিভৎসরূপে দমন করা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন রাষ্ট্রে এটা কেবল দুঃখজনকই নয়, লজ্জাজনকও বটে।
তিনি আরো বলেন, একটি দেশের ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রকে দেউলিয়া করার মতো কাজ যারা করে, তারা দেশপ্রেমিক হওয়ার যোগ্য নন।
বিজয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে বিজয় দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্ববহ। অসংখ্য প্রাণ ও বহু মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। এর পিছনে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে।
তিনি বলেন, একটি কল্যাণমূখী, বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন এবং গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্যই এই বিজয় অর্জিত হয়। কিন্তু আপসোসের বিষয় হলো, দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পরও আমাদের কাঙ্খিত সেই স্বপ্ন অনেকাংশেই পূরণ হয়নি।
দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এতো মানুষ যে কারণে সংগ্রাম চালালো, যুদ্ধ করলো এবং প্রাণ দিলো তাদের এই আত্মত্যাগ সার্থক হবে যদি আমরা স্বাধীনতার লক্ষ্য পানে এগিয়ে যেতে পারি। একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠন ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়নের প্রয়াস সফল হলেই শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে।
তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিউল আলম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ এবং ইফার দ্বীনি দাওয়াত বিভাগের পরিচালক মো. তৌহিদুল আনোয়ারও বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক, উপপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
পরে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবে শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ-জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।