ঢাকা ১৫ নভেম্বর, ২০২৫
শিরোনামঃ
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত নাসিরনগরে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৯০ বছরের বৃদ্ধ নিহত ফ্যাসিবাদবিরোধী যোদ্ধা ফারুক খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই গাছাবাসী পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া জাতীয় মহাসড়ক থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার বিরল রোগে আক্রান্ত মা-ছেলে, সাহায্যের আবেদন গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমদ কে বিদায় সংবর্ধনা নরসিংদীতে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিকের প্রতিবাদ বদরগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী একজনের কারাদণ্ড 'ঢাকা লকডাউন'-এর প্রতিবাদে ফরিদপুরে জামায়াতের অবস্থান ও বাইক শোডাউন শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে শিশিরস্নাত ভোর

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্টা

#
news image

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বর্তমান লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং একটি সুসংগঠিত অর্থনৈতিক সংস্কার কাঠামো নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হওয়া কাজগুলো মূল্যায়ন করবো। অবশ্যই আমরা সবকিছু শেষ করে যেতে পারব না। কর কাঠামো পুনর্গঠন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমিশন পর্যালোচনা এবং ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করার মতো বড় সংস্কারগুলো চলমান থাকবে এবং পরবর্তী সরকার এগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির তিনটি পৃথক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার হাতে নিয়েছে এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে অগ্রগতি মূল্যায়ন করছে।

তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের কর পরিশোধে এখনও দুর্বলতা রয়েছে এবং বিভিন্ন কারণে রাজস্ব সংগ্রহেও প্রভাব পড়েছে। আমরা এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করছি।’

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে প্রত্যাশিত কিস্তি পাওয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্জনে আইএমএফ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, আইএমএফ সামাজিক খাতে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছি।

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে আইএমএফ তহবিল পাওয়া যাবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং আগামী বছরের শুরুতে তাদের একটি পর্যালোচনা দল বাংলাদেশ সফর করবে। 

উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় আইএমএফ পুনরায় পর্যালোচনা করবে এবং তারপর কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেবে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। টেকসই সংস্কারের জন্য একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশের চলমান ঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা করছে এবং পরবর্তী কিস্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচনের পর গঠিত সরকার গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, ‘আইএমএফ স্বীকার করেছে যে, সরকার সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। তাদের কিছু সুপারিশ রয়েছে, বিশেষ করে রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে। আমরা একমত যে, কর রাজস্ব এখনো কম এবং এর জন্য কাঠামোগত কারণ রয়েছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাম্প্রতিক কিছু নীতিগত প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি বলেন, কোন বড় সিদ্ধান্ত সরকার সম্মিলিতভাবে নেবে। এটি বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে অনুমোদিত ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের আইএমএফ ঋণ কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, রাজস্ব সংস্কার জোরদার করা এবং বৈশ্বিক চাপ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি। ইতোমধ্যে কয়েকটি কিস্তি ছাড় হয়েছে, তবে পরবর্তী কিস্তিগুলো নীতিগত অগ্রগতি ও কাঠামোগত সংস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

গত ২৩ জুন আইএমএফ চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি হিসেবে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড় অনুমোদন করে, যার ফলে মোট ছাড়কৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

০৯ নভেম্বর, ২০২৫,  7:53 PM

news image

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বর্তমান লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং একটি সুসংগঠিত অর্থনৈতিক সংস্কার কাঠামো নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হওয়া কাজগুলো মূল্যায়ন করবো। অবশ্যই আমরা সবকিছু শেষ করে যেতে পারব না। কর কাঠামো পুনর্গঠন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমিশন পর্যালোচনা এবং ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করার মতো বড় সংস্কারগুলো চলমান থাকবে এবং পরবর্তী সরকার এগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির তিনটি পৃথক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার হাতে নিয়েছে এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে অগ্রগতি মূল্যায়ন করছে।

তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের কর পরিশোধে এখনও দুর্বলতা রয়েছে এবং বিভিন্ন কারণে রাজস্ব সংগ্রহেও প্রভাব পড়েছে। আমরা এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করছি।’

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে প্রত্যাশিত কিস্তি পাওয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্জনে আইএমএফ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, আইএমএফ সামাজিক খাতে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছি।

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে আইএমএফ তহবিল পাওয়া যাবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং আগামী বছরের শুরুতে তাদের একটি পর্যালোচনা দল বাংলাদেশ সফর করবে। 

উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় আইএমএফ পুনরায় পর্যালোচনা করবে এবং তারপর কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেবে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। টেকসই সংস্কারের জন্য একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশের চলমান ঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা করছে এবং পরবর্তী কিস্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচনের পর গঠিত সরকার গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, ‘আইএমএফ স্বীকার করেছে যে, সরকার সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। তাদের কিছু সুপারিশ রয়েছে, বিশেষ করে রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে। আমরা একমত যে, কর রাজস্ব এখনো কম এবং এর জন্য কাঠামোগত কারণ রয়েছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাম্প্রতিক কিছু নীতিগত প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি বলেন, কোন বড় সিদ্ধান্ত সরকার সম্মিলিতভাবে নেবে। এটি বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে অনুমোদিত ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের আইএমএফ ঋণ কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, রাজস্ব সংস্কার জোরদার করা এবং বৈশ্বিক চাপ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি। ইতোমধ্যে কয়েকটি কিস্তি ছাড় হয়েছে, তবে পরবর্তী কিস্তিগুলো নীতিগত অগ্রগতি ও কাঠামোগত সংস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

গত ২৩ জুন আইএমএফ চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি হিসেবে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড় অনুমোদন করে, যার ফলে মোট ছাড়কৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।