গলাচিপায় ভুয়া ডেন্টিস্টের অপচিকিৎসায় রোগীর দাঁত উঠল, তদন্ত দাবি স্থানীয়দের
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
০৭ নভেম্বর, ২০২৫, 10:19 PM
গলাচিপায় ভুয়া ডেন্টিস্টের অপচিকিৎসায় রোগীর দাঁত উঠল, তদন্ত দাবি স্থানীয়দের
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সদরের বটতলা এলাকায় ভুয়া ডেন্টিস্টের অপচিকিৎসায় রোগীর দাঁত তুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. সেরাজুল সরদার (পিতা: হানিফ সরদার) এ ঘটনায় পটুয়াখালী সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, পথিক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি “ডেন্টিস্ট” পরিচয়ে দাঁতের চিকিৎসা, দাঁত তোলা এবং প্রেসক্রিপশন প্রদান করে আসছেন। তার পরিচয়পত্রে “ডি.এম.টি.ডি (ঢাকা)” ও “ডেন্টাল টেকনোলজি” ডিগ্রি উল্লেখ থাকলেও তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (BMDC) নিবন্ধিত চিকিৎসক নন। ফলে BMDC আইন ১৯৮০ (সংশোধিত) অনুযায়ী তার এই চিকিৎসা কার্যক্রম অবৈধ বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী সেরাজুল সরদার জানান, “আমি দাঁতের গর্ত ফিলিং করাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ফিলিং না করে আমার দাঁত তুলে ফেলেছেন। তার কোনো BMDC রেজিস্ট্রেশন নেই, তবুও ডেন্টিস্ট পরিচয়ে প্রেসক্রিপশন দেন।”
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কথিত ডেন্টিস্ট পথিক মণ্ডলের চেম্বারে চারটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা রয়েছে এবং তিনি চিকিৎসার সময় মনিটর পর্যবেক্ষণে বেশি সময় ব্যয় করেন, যার কারণে রোগীদের প্রতি মনোযোগের ঘাটতি দেখা দেয়।
অভিযোগের সঙ্গে চেম্বার ও প্রেসক্রিপশন প্যাডের ছবি সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে ওই ভুয়া চিকিৎসকের কার্যক্রম বন্ধ করা হোক, যাতে সাধারণ মানুষ অপচিকিৎসা থেকে রক্ষা পায়।
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
০৭ নভেম্বর, ২০২৫, 10:19 PM
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সদরের বটতলা এলাকায় ভুয়া ডেন্টিস্টের অপচিকিৎসায় রোগীর দাঁত তুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. সেরাজুল সরদার (পিতা: হানিফ সরদার) এ ঘটনায় পটুয়াখালী সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, পথিক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি “ডেন্টিস্ট” পরিচয়ে দাঁতের চিকিৎসা, দাঁত তোলা এবং প্রেসক্রিপশন প্রদান করে আসছেন। তার পরিচয়পত্রে “ডি.এম.টি.ডি (ঢাকা)” ও “ডেন্টাল টেকনোলজি” ডিগ্রি উল্লেখ থাকলেও তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (BMDC) নিবন্ধিত চিকিৎসক নন। ফলে BMDC আইন ১৯৮০ (সংশোধিত) অনুযায়ী তার এই চিকিৎসা কার্যক্রম অবৈধ বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী সেরাজুল সরদার জানান, “আমি দাঁতের গর্ত ফিলিং করাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ফিলিং না করে আমার দাঁত তুলে ফেলেছেন। তার কোনো BMDC রেজিস্ট্রেশন নেই, তবুও ডেন্টিস্ট পরিচয়ে প্রেসক্রিপশন দেন।”
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কথিত ডেন্টিস্ট পথিক মণ্ডলের চেম্বারে চারটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা রয়েছে এবং তিনি চিকিৎসার সময় মনিটর পর্যবেক্ষণে বেশি সময় ব্যয় করেন, যার কারণে রোগীদের প্রতি মনোযোগের ঘাটতি দেখা দেয়।
অভিযোগের সঙ্গে চেম্বার ও প্রেসক্রিপশন প্যাডের ছবি সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে ওই ভুয়া চিকিৎসকের কার্যক্রম বন্ধ করা হোক, যাতে সাধারণ মানুষ অপচিকিৎসা থেকে রক্ষা পায়।