কামারখন্দে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই গৃহবধূকে মারপিট, থানায় অভিযোগ
খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫, 7:27 PM
কামারখন্দে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই গৃহবধূকে মারপিট, থানায় অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর প্যাচড়পাড়া গ্রামের গৃহবধূ হেলাল সরকারের স্ত্রী শিল্পী খাতুন ও মৃত বেলাল হোসেনের স্ত্রী সুমাতা (সুমি) খাতুনকে তাদের নিজ বসতবাড়ির দক্ষিণ পাশে কৃষিকাজে ধান উড়ানোর সময় পূর্বশত্রুতার জেরে গত ৩০ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার চর ট্যাংরাইল গ্রামের মৃত জফের প্রামাণিকের পুত্র আনোয়ার, মৃত জাবক্সর পুত্র আলিম, আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী তহুরা খাতুন এবং চর ট্যাংরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সাহারা খাতুনসহ সবাই মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দুই গৃহবধূকে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। একই সঙ্গে তাদের গলার সোনার চেইন ও নাকফুল ছিনিয়ে নেয়। তাদের ডাক–চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগে জানা যায় ।
এ সময় গৃহবধূ শিল্পী ও সুমাতা (সুমি) খাতুনকে তাৎক্ষণিকভাবে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুমাতা খাতুন কামারখন্দ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে কামারখন্দ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান থানার সাব-ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান। তিনি ঘটনার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাদীকে থানায় যোগাযোগের কথা বলে চলে যান।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদীরা মাঝেমাঝেই হত্যা ও গুমের হুমকি দিয়ে থাকে। স্থানীয় মাতব্বরদের জানালেও কোনো সমাধান না পাওয়ায় ইতিপূর্বে কয়েকটি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে গেলে তারা বহিরাগত লোকজন দিয়ে বাদীর একমাত্র দেবর, বাড়ির বর্তমান অভিভাবক মো. হেলালকে নানাভাবে হুমকি দিত। তারা জানান, বিবাদীদের অসাধ্য কিছু নেই, যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এজন্য বাধ্য হয়ে প্রশাসনের আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়া স্থানীয়রা আরো জানান, প্যাচড়পাড়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে হেলাল ও তার বড় ভাই বেলাল সরকার একই জায়গায় বসবাস করছেন। তাদের বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি মৃত্যুর প্রায় এক বছর আগে ৭৮ শতাংশ ফসলি জমি দুই ভাইয়ের নামে বিক্রয়–কবলা দলিলমূলে রেজিস্ট্রি করে দেন। উক্ত জায়গাকে কেন্দ্র করে তাদের বোন–ভগ্নিপতি ও তাদের সহযোগী স্বার্থবাদী কিছু লোকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নিয়মিত হুমকি–ধামকি দিয়ে থাকে। এ নিয়ে বারবার হামলা ও মামলার সৃষ্টি হচ্ছে। বাবার দেওয়া সম্পত্তি জোরপূর্বক ফিরিয়ে নিতে বিবাদীরা নানান শৃঙ্খলাভঙ্গ ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত আনোয়ার, আলিম, সাহারা এবং তহুরার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। উপস্থিত না থাকায় তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করা যায়নি।
স্থানীয়ভাবে কোনো সমাধান না হওয়ায় বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে। কামারখন্দ থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বাদীকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে থানায় যোগাযোগের কথা বলে চলে যান।
খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫, 7:27 PM
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর প্যাচড়পাড়া গ্রামের গৃহবধূ হেলাল সরকারের স্ত্রী শিল্পী খাতুন ও মৃত বেলাল হোসেনের স্ত্রী সুমাতা (সুমি) খাতুনকে তাদের নিজ বসতবাড়ির দক্ষিণ পাশে কৃষিকাজে ধান উড়ানোর সময় পূর্বশত্রুতার জেরে গত ৩০ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার চর ট্যাংরাইল গ্রামের মৃত জফের প্রামাণিকের পুত্র আনোয়ার, মৃত জাবক্সর পুত্র আলিম, আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী তহুরা খাতুন এবং চর ট্যাংরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সাহারা খাতুনসহ সবাই মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দুই গৃহবধূকে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। একই সঙ্গে তাদের গলার সোনার চেইন ও নাকফুল ছিনিয়ে নেয়। তাদের ডাক–চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগে জানা যায় ।
এ সময় গৃহবধূ শিল্পী ও সুমাতা (সুমি) খাতুনকে তাৎক্ষণিকভাবে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুমাতা খাতুন কামারখন্দ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে কামারখন্দ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান থানার সাব-ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান। তিনি ঘটনার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাদীকে থানায় যোগাযোগের কথা বলে চলে যান।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদীরা মাঝেমাঝেই হত্যা ও গুমের হুমকি দিয়ে থাকে। স্থানীয় মাতব্বরদের জানালেও কোনো সমাধান না পাওয়ায় ইতিপূর্বে কয়েকটি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে গেলে তারা বহিরাগত লোকজন দিয়ে বাদীর একমাত্র দেবর, বাড়ির বর্তমান অভিভাবক মো. হেলালকে নানাভাবে হুমকি দিত। তারা জানান, বিবাদীদের অসাধ্য কিছু নেই, যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এজন্য বাধ্য হয়ে প্রশাসনের আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়া স্থানীয়রা আরো জানান, প্যাচড়পাড়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে হেলাল ও তার বড় ভাই বেলাল সরকার একই জায়গায় বসবাস করছেন। তাদের বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি মৃত্যুর প্রায় এক বছর আগে ৭৮ শতাংশ ফসলি জমি দুই ভাইয়ের নামে বিক্রয়–কবলা দলিলমূলে রেজিস্ট্রি করে দেন। উক্ত জায়গাকে কেন্দ্র করে তাদের বোন–ভগ্নিপতি ও তাদের সহযোগী স্বার্থবাদী কিছু লোকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নিয়মিত হুমকি–ধামকি দিয়ে থাকে। এ নিয়ে বারবার হামলা ও মামলার সৃষ্টি হচ্ছে। বাবার দেওয়া সম্পত্তি জোরপূর্বক ফিরিয়ে নিতে বিবাদীরা নানান শৃঙ্খলাভঙ্গ ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত আনোয়ার, আলিম, সাহারা এবং তহুরার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। উপস্থিত না থাকায় তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করা যায়নি।
স্থানীয়ভাবে কোনো সমাধান না হওয়ায় বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে। কামারখন্দ থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বাদীকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে থানায় যোগাযোগের কথা বলে চলে যান।