গাইবান্ধায় তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে আপন ৩ ভাইয়ের থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও জিডি
তানিন আফরিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫, 7:33 PM
গাইবান্ধায় তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে আপন ৩ ভাইয়ের থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও জিডি
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১১নং বিদারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র মোঃ কবির হোসেন , মোঃ আব্দুল খালেক ও সাজেদুল ইসলাম এরশাদের মধ্যে শৌচাগার ও ঘর নির্মাণ করা কে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা সদর থানায় আপন ৩ ভাইয়ের থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়েরের ঘটনা ঘটে।
ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদের অভিযোগের সূত্র ধরে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র মোঃ কবির হোসেন , মোঃ আব্দুল খালেক ও এরশাদের মধ্যে পৈত্রিক জমি ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘ যাবত মনোমালিন্য হয়ে আসিতেছে।
গত ১০/১১/২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ১১ ঘটিকার খালেকের বসতবাড়ির উঠানে থাকা একটি আধা পাকা শৌচাগার সরিয়ে ফেলেন খালেক । উক্ত ঘটনা কে কেন্দ্র করে খালেকের ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদ গত ১১/১১/২০২৫ ইং তারিখে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগে লেখেন ২ লক্ষ টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণালংকার সহ এবং বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও শারীরিক হেনস্তা করেন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম এরশাদের বড় ভাই কবির হোসেন গত ২৮/১১/২০২৫ ইং তারিখে গাইবান্ধা সদর থানায় নিজ স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তার অভিযোগে লিখেন গত ৫/১১/২০২৫ ইং তারিখে আমার বাবা শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বাবার মৃত্যুর পূর্বে সাজেদুল ইসলাম এরশাদ বাবা মায়ের কাছে থেকে ৫ বিঘা জমি নিজের নামে হেবা দলিল করিয়া নেন। আমি পারিবারিক অভাব-অনাটনের কারণে স্ত্রী সন্তানসহ অনেক বছর যাবত বাহিরে বসবাস করে আসচ্ছি। বাবার মৃত্যুর কারণে বাড়িতে আসার পর নিজের পরিবারের সদস্যদের থাকার জন্য বসতভিটা নির্মাণের উদ্যোগ নেই। বাবার থাকা অবশিষ্ট ৮ শতাংশ জমিতে গত ১৬/১১/২০২৫ ইং তারিখে ঘর নির্মাণের জন্য জায়গা বুঝিয়ে চাইলে ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদ আমাকে ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন।
বড় ভাই কবির হোসেনের ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে ১৬/১১/২০২৫ ইং তারিখে ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদ, আমি সহ বড় ভাই কবির হোসেন কে গালিগালাজহ হুমকি প্রদর্শন করেন। এই মর্মে একটি গাইবান্ধা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি যাহার নম্বর ১৪১৪ তারিখ ১৬/১১/২০২৫ ইং (জিডি) করেন।
স্থানীয়দের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল রহিম, জানান খালেকের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দখলীয় জমিতে সাজেদুল ইসলাম এরশাদ জোরপূর্বক গত কয়েক বছর আগে শৌচাগার স্থাপন করেন।
এ বিষয়ে অত্র এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গত ১৩/১০/২০১৯ ইং তারিখে উক্ত শৌচাগারটি সরানোর জন্য সাজেদুল ইসলাম এরশাদকে দুই মাসের সময় বেঁধে দিয়ে ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি সালিশনামা তৈরি করা হয় যাতে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্বাক্ষর করেন।
এ বিষয়ে আব্দুল খালেক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি হলেও সাজেদুল ইসলাম এরশাদ জোরপূর্ব বাবা-জীবিত থাকাকালীন সময়ে কিছু জমি তার নিজের নামে লিখে নেন।শৌচাগার টি সরানো কে কেন্দ্র করে আমার ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদ থানায় অভিযোগ করেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন ।গত ২০১৯ সালের অক্টোবরে ১৩ তারিখে স্থানীয় গণ্যমান ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দখলীয় জমিতে সাজেদুল ইসলাম এরশাদের নির্মাণাধীন শৌচাগারটি সরিয়ে নেয়ার জন্য দুই মাস সময় বেঁধে দিয়ে গ্রাম্য শালিসি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিগত পাঁচ বছর যাবত বলা সত্বেও শৌচাগারটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়নি ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদ। তাই আমি গত ১০/১১/২০২৫ ইং তারিখে শৌচাগারটি নিজ দায়িত্বে সরিয়ে ফেলি। পরদিন অর্থাৎ ১১/১১/২০২৫ ইং তারিখ ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদ বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেন।
বড় ভাই কবির হোসেন,খালেক ও ছোট ভাই এরশাদের বিবাদমান বিষয়ে উক্ত এলাকার স্থানীয় আব্দুল জব্বার,আলতাব হোসেন ও নাঈম বলেন গত ১০/১১/২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক সকাল ১১ ঘটিকার সময় খালেকের উঠানে থাকা এরশাদের নির্মাণাধীন আধা পাকা শৌচাগার সরিয়ে ফেলেন এছাড়া আর কোন ঘটনা ঘটেনি।
এবিষয়ে ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
তানিন আফরিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫, 7:33 PM
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১১নং বিদারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র মোঃ কবির হোসেন , মোঃ আব্দুল খালেক ও সাজেদুল ইসলাম এরশাদের মধ্যে শৌচাগার ও ঘর নির্মাণ করা কে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা সদর থানায় আপন ৩ ভাইয়ের থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়েরের ঘটনা ঘটে।
ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদের অভিযোগের সূত্র ধরে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র মোঃ কবির হোসেন , মোঃ আব্দুল খালেক ও এরশাদের মধ্যে পৈত্রিক জমি ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘ যাবত মনোমালিন্য হয়ে আসিতেছে।
গত ১০/১১/২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ১১ ঘটিকার খালেকের বসতবাড়ির উঠানে থাকা একটি আধা পাকা শৌচাগার সরিয়ে ফেলেন খালেক । উক্ত ঘটনা কে কেন্দ্র করে খালেকের ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদ গত ১১/১১/২০২৫ ইং তারিখে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগে লেখেন ২ লক্ষ টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণালংকার সহ এবং বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও শারীরিক হেনস্তা করেন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম এরশাদের বড় ভাই কবির হোসেন গত ২৮/১১/২০২৫ ইং তারিখে গাইবান্ধা সদর থানায় নিজ স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তার অভিযোগে লিখেন গত ৫/১১/২০২৫ ইং তারিখে আমার বাবা শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বাবার মৃত্যুর পূর্বে সাজেদুল ইসলাম এরশাদ বাবা মায়ের কাছে থেকে ৫ বিঘা জমি নিজের নামে হেবা দলিল করিয়া নেন। আমি পারিবারিক অভাব-অনাটনের কারণে স্ত্রী সন্তানসহ অনেক বছর যাবত বাহিরে বসবাস করে আসচ্ছি। বাবার মৃত্যুর কারণে বাড়িতে আসার পর নিজের পরিবারের সদস্যদের থাকার জন্য বসতভিটা নির্মাণের উদ্যোগ নেই। বাবার থাকা অবশিষ্ট ৮ শতাংশ জমিতে গত ১৬/১১/২০২৫ ইং তারিখে ঘর নির্মাণের জন্য জায়গা বুঝিয়ে চাইলে ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদ আমাকে ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন।
বড় ভাই কবির হোসেনের ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে ১৬/১১/২০২৫ ইং তারিখে ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদ, আমি সহ বড় ভাই কবির হোসেন কে গালিগালাজহ হুমকি প্রদর্শন করেন। এই মর্মে একটি গাইবান্ধা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি যাহার নম্বর ১৪১৪ তারিখ ১৬/১১/২০২৫ ইং (জিডি) করেন।
স্থানীয়দের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল রহিম, জানান খালেকের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দখলীয় জমিতে সাজেদুল ইসলাম এরশাদ জোরপূর্বক গত কয়েক বছর আগে শৌচাগার স্থাপন করেন।
এ বিষয়ে অত্র এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গত ১৩/১০/২০১৯ ইং তারিখে উক্ত শৌচাগারটি সরানোর জন্য সাজেদুল ইসলাম এরশাদকে দুই মাসের সময় বেঁধে দিয়ে ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি সালিশনামা তৈরি করা হয় যাতে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্বাক্ষর করেন।
এ বিষয়ে আব্দুল খালেক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি হলেও সাজেদুল ইসলাম এরশাদ জোরপূর্ব বাবা-জীবিত থাকাকালীন সময়ে কিছু জমি তার নিজের নামে লিখে নেন।শৌচাগার টি সরানো কে কেন্দ্র করে আমার ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদ থানায় অভিযোগ করেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন ।গত ২০১৯ সালের অক্টোবরে ১৩ তারিখে স্থানীয় গণ্যমান ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দখলীয় জমিতে সাজেদুল ইসলাম এরশাদের নির্মাণাধীন শৌচাগারটি সরিয়ে নেয়ার জন্য দুই মাস সময় বেঁধে দিয়ে গ্রাম্য শালিসি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিগত পাঁচ বছর যাবত বলা সত্বেও শৌচাগারটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়নি ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদ। তাই আমি গত ১০/১১/২০২৫ ইং তারিখে শৌচাগারটি নিজ দায়িত্বে সরিয়ে ফেলি। পরদিন অর্থাৎ ১১/১১/২০২৫ ইং তারিখ ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদ বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেন।
বড় ভাই কবির হোসেন,খালেক ও ছোট ভাই এরশাদের বিবাদমান বিষয়ে উক্ত এলাকার স্থানীয় আব্দুল জব্বার,আলতাব হোসেন ও নাঈম বলেন গত ১০/১১/২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক সকাল ১১ ঘটিকার সময় খালেকের উঠানে থাকা এরশাদের নির্মাণাধীন আধা পাকা শৌচাগার সরিয়ে ফেলেন এছাড়া আর কোন ঘটনা ঘটেনি।
এবিষয়ে ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এরশাদের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।