ছোট ভাইয়ের বসত বাড়ি লিখে নিল বড় ভাই
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
০৬ নভেম্বর, ২০২৫, 5:30 PM
ছোট ভাইয়ের বসত বাড়ি লিখে নিল বড় ভাই
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা সদরের গড়মা গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা জোবেদা খাতুন। পার্শ্ববর্তী উপজেলা মোহনগঞ্জের বিরামপুর গ্রামে তার বিয়ে হয়। ওয়ারিশ সূত্রে ভূক্তভোগী জোবেদা খাতুনের পাওয়া ৭ শতক জমি তার সহোদর ভাই রেহান মিয়ার কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিন্তু রেহান মিয়া কৌশলে তার অন্য আরেক সহোদর ভাই শান্তু মিয়ার ২৩ শতক জমি বাড়িসহ মোট ৩০ শতক জমি দলিল করে নেন এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগী জোবেদা খাতুন ও শান্তু মিয়ার।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বৃদ্ধা জোবেদা খাতুনের গ্রামের বাড়ি (শ্বশুরালয়) মোহনগঞ্জের বিরামপুর গ্রামে গেলে তিনি জানান, আমি চোখে দেখিনা। পরাশোনাও জানিনা। আমার ভাই রেহান গত ২০২০ সালে আমারে হঠাৎ করে রিক্সা করে বারহাট্টা নিয়ে যায়। এবং বলে তার কাছে কান্দার যে ৭ শতক জমি বিক্রি করেছি সেটা দলিল করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তখন আমার সাথে এবং আমার আরেক সহোদর ভাইয়ের সাথে প্রতারণা করেছে আমার ভাই রেহান। সে ৩০ শতক জমির দাম ৮৬ লক্ষ টাকা মূল্য লিখে দলিল করিয়ে নিয়েছে। আমি কি পাগল? আমি কেন আমার আরেক ভাইয়ের বাড়ি দলিল করে দিয়ে দিব? আমি এর বিচার চাই।
জোবেদা খাতুনের সহোদর বোন মালেকা জানান, আমরা জানি আমার বোন মাত্র ৭ শতাংশ জমি বিক্রি করেছে রেহানের কাছে। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারি রেহান মোট ৩০ শতক জমি লিখে নিয়ে গেছে। এটা শুনে আমি হতবাক হয়ে গেছি আমরা।
ভুক্তভোগী শান্তু মিয়া জানান, আমার সর্বনাশ করেছে আমার সহোদর ভাই। সে আমার বড় বোনকে দিয়ে আমার বাড়ি লিখে নিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আদালতে গিয়েছি। কিন্তু আমার সহোদর ভাই আমাকে অনবরত হুমকি দিচ্ছে। আমি এটার সঠিক বিচার চাই।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত রেহান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাকে আমার বোন সব জেনে শুনেই দলিল করে দিয়েছে। দলিল কি কেউ না জেনে করে দেয়? এরা লোভে পরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
০৬ নভেম্বর, ২০২৫, 5:30 PM
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা সদরের গড়মা গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা জোবেদা খাতুন। পার্শ্ববর্তী উপজেলা মোহনগঞ্জের বিরামপুর গ্রামে তার বিয়ে হয়। ওয়ারিশ সূত্রে ভূক্তভোগী জোবেদা খাতুনের পাওয়া ৭ শতক জমি তার সহোদর ভাই রেহান মিয়ার কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিন্তু রেহান মিয়া কৌশলে তার অন্য আরেক সহোদর ভাই শান্তু মিয়ার ২৩ শতক জমি বাড়িসহ মোট ৩০ শতক জমি দলিল করে নেন এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগী জোবেদা খাতুন ও শান্তু মিয়ার।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বৃদ্ধা জোবেদা খাতুনের গ্রামের বাড়ি (শ্বশুরালয়) মোহনগঞ্জের বিরামপুর গ্রামে গেলে তিনি জানান, আমি চোখে দেখিনা। পরাশোনাও জানিনা। আমার ভাই রেহান গত ২০২০ সালে আমারে হঠাৎ করে রিক্সা করে বারহাট্টা নিয়ে যায়। এবং বলে তার কাছে কান্দার যে ৭ শতক জমি বিক্রি করেছি সেটা দলিল করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তখন আমার সাথে এবং আমার আরেক সহোদর ভাইয়ের সাথে প্রতারণা করেছে আমার ভাই রেহান। সে ৩০ শতক জমির দাম ৮৬ লক্ষ টাকা মূল্য লিখে দলিল করিয়ে নিয়েছে। আমি কি পাগল? আমি কেন আমার আরেক ভাইয়ের বাড়ি দলিল করে দিয়ে দিব? আমি এর বিচার চাই।
জোবেদা খাতুনের সহোদর বোন মালেকা জানান, আমরা জানি আমার বোন মাত্র ৭ শতাংশ জমি বিক্রি করেছে রেহানের কাছে। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারি রেহান মোট ৩০ শতক জমি লিখে নিয়ে গেছে। এটা শুনে আমি হতবাক হয়ে গেছি আমরা।
ভুক্তভোগী শান্তু মিয়া জানান, আমার সর্বনাশ করেছে আমার সহোদর ভাই। সে আমার বড় বোনকে দিয়ে আমার বাড়ি লিখে নিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আদালতে গিয়েছি। কিন্তু আমার সহোদর ভাই আমাকে অনবরত হুমকি দিচ্ছে। আমি এটার সঠিক বিচার চাই।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত রেহান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাকে আমার বোন সব জেনে শুনেই দলিল করে দিয়েছে। দলিল কি কেউ না জেনে করে দেয়? এরা লোভে পরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।