ঢাকা ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
শিরোনামঃ
সরিষাবাড়ীতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল গাজীপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  গাজীপুরে কৃষক দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  পিরোজপুরে  সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম মামুনের উপর অতর্কিত হামলা বাগেরহাট যুবদলের কোরান খতম ও দোয়া মাহফিল বাংলাদেশে কারও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে চাইলে সরকার সহায়তা করবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস: তারেক রহমান চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বেগম খালেদা জিয়া : জাহিদ হোসেন এলপিজি দাম সমন্বয় করেছে সরকার

প্রতারণার মামলায় জেল হাজতে আবু বকর সিদ্দিক

#
news image

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় জেল হাজতে তথাকথিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আবু বকর সিদ্দিক।

গত ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আবু বকর সিদ্দিক তার ব্যবসায়িক পরিচয় ব্যবহার করে এলসি খুলে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট নিবাসী মোহাম্মদ মুস্তাকিম বিল্লাহকে ইন্দোনেশিয়া হতে উন্নত জাতের সুপারী আমদানী করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১,১০,৩৮,০৫৮.২৬/- (এক কোটি দশ লক্ষ আটত্রিশ হাজার আটান্ন দশমিক দুই ছয়) টাকা গ্রহণ করেন কিন্তু পরব‍র্তীতে ১৭/০৮/২০২৫ ইং তারিখে কাঙ্খিত সুপারি খুলনার মংলা পো‍র্টে আসলে আবু বকর সিদ্দিক প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উক্ত আমদানিকৃত সুপারি জনৈক আদনান নামক এক ব্যক্তির নিকট হতে নগদে ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে বিক্রয় করে দেন এবং মংলা পো‍র্ট থেকে সুপারি খালাস করে আদনানকে বুঝিয়ে দেয়। আবু বকর সিদ্দিক এর এমন আচরণে মুস্তাকিম হতবাক হয়ে পরব‍‍র্তীতে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে সমাধানের চেষ্ঠা করলে আবু বকর সিদ্দিক মুস্তাকিমকে সুপারি বিক্রিত মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরব‍র্তীতে কোন টাকা পরিশোধ না করে উল্টো ২৫/০৮/২০২৫ ইং তারিখে মুস্তাকিম, উল্লেখিত সুপারির ইন্দোনেশিয়ান রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী মামুন, মামুনের বাংলাদেশি প্রতিনিধি এবং তাদের আপন ভাইদের নামে ডাকাতির মামলা রুজু করেন।

মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী আবু বকর সিদ্দিক সম্পূর্ণ প্রতারণার আশ্রয় নিয়া মুস্তাকিমের ১,৬২,০০,০০০/- (এক কোটি বাষট্টি লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ করেন এবং মুস্তাকিম ও অন্যান্যদের সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন সম্প‍র্ক থাকা স্বত্ত্বেও মিথ্যা ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে মামলা দায়ের করেন এবং সিদ্দিক তার দূর-সম্প‍‍র্কের আত্মীয় মোঃ আবু মাসুদ এর প্রভাব ব্যবহার করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করেন মুস্তাকিমের পিতার মালিকানাধীন ৫ টন দেশীয় সুপারিকে ইন্দোনেশিয়ান সুপারি দেখিয়ে ডাকাতি মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করান। অত্র মামলায় আদালত স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, সিদ্দিকের কর্মকাণ্ড “প্রাথমিকভাবে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের ইঙ্গিত বহন করে।” অন্যদিকে সিদ্দিক কর্তৃক দায়ের করা সাজানো ডাকাতি মামলায় কথিত আসামীগণ জামিনে আছেন।

সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বলেন, এই ঘটনা ব্যবসায়িক আস্থার উপর আঘাত এবং প্রতারণার এক নি‍র্মম উদাহরণ।

তিনি বলেন, “সিদ্দিক পরিকল্পিতভাবে একাধিক পক্ষকে প্রতারিত করেছেন, এবং আদালতের নির্দেশে তার আটকাদেশ বিচার ব্যবস্থার একটি ন্যায়সঙ্গত ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ।”

সৈয়দ ওবায়দুল হোসেন, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :

০৩ নভেম্বর, ২০২৫,  5:54 PM

news image

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় জেল হাজতে তথাকথিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আবু বকর সিদ্দিক।

গত ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আবু বকর সিদ্দিক তার ব্যবসায়িক পরিচয় ব্যবহার করে এলসি খুলে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট নিবাসী মোহাম্মদ মুস্তাকিম বিল্লাহকে ইন্দোনেশিয়া হতে উন্নত জাতের সুপারী আমদানী করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১,১০,৩৮,০৫৮.২৬/- (এক কোটি দশ লক্ষ আটত্রিশ হাজার আটান্ন দশমিক দুই ছয়) টাকা গ্রহণ করেন কিন্তু পরব‍র্তীতে ১৭/০৮/২০২৫ ইং তারিখে কাঙ্খিত সুপারি খুলনার মংলা পো‍র্টে আসলে আবু বকর সিদ্দিক প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উক্ত আমদানিকৃত সুপারি জনৈক আদনান নামক এক ব্যক্তির নিকট হতে নগদে ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে বিক্রয় করে দেন এবং মংলা পো‍র্ট থেকে সুপারি খালাস করে আদনানকে বুঝিয়ে দেয়। আবু বকর সিদ্দিক এর এমন আচরণে মুস্তাকিম হতবাক হয়ে পরব‍‍র্তীতে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে সমাধানের চেষ্ঠা করলে আবু বকর সিদ্দিক মুস্তাকিমকে সুপারি বিক্রিত মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরব‍র্তীতে কোন টাকা পরিশোধ না করে উল্টো ২৫/০৮/২০২৫ ইং তারিখে মুস্তাকিম, উল্লেখিত সুপারির ইন্দোনেশিয়ান রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী মামুন, মামুনের বাংলাদেশি প্রতিনিধি এবং তাদের আপন ভাইদের নামে ডাকাতির মামলা রুজু করেন।

মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী আবু বকর সিদ্দিক সম্পূর্ণ প্রতারণার আশ্রয় নিয়া মুস্তাকিমের ১,৬২,০০,০০০/- (এক কোটি বাষট্টি লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ করেন এবং মুস্তাকিম ও অন্যান্যদের সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন সম্প‍র্ক থাকা স্বত্ত্বেও মিথ্যা ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে মামলা দায়ের করেন এবং সিদ্দিক তার দূর-সম্প‍‍র্কের আত্মীয় মোঃ আবু মাসুদ এর প্রভাব ব্যবহার করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করেন মুস্তাকিমের পিতার মালিকানাধীন ৫ টন দেশীয় সুপারিকে ইন্দোনেশিয়ান সুপারি দেখিয়ে ডাকাতি মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করান। অত্র মামলায় আদালত স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, সিদ্দিকের কর্মকাণ্ড “প্রাথমিকভাবে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের ইঙ্গিত বহন করে।” অন্যদিকে সিদ্দিক কর্তৃক দায়ের করা সাজানো ডাকাতি মামলায় কথিত আসামীগণ জামিনে আছেন।

সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বলেন, এই ঘটনা ব্যবসায়িক আস্থার উপর আঘাত এবং প্রতারণার এক নি‍র্মম উদাহরণ।

তিনি বলেন, “সিদ্দিক পরিকল্পিতভাবে একাধিক পক্ষকে প্রতারিত করেছেন, এবং আদালতের নির্দেশে তার আটকাদেশ বিচার ব্যবস্থার একটি ন্যায়সঙ্গত ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ।”