ঢাকা ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
শিরোনামঃ
সরিষাবাড়ীতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল গাজীপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  গাজীপুরে কৃষক দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  পিরোজপুরে  সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম মামুনের উপর অতর্কিত হামলা বাগেরহাট যুবদলের কোরান খতম ও দোয়া মাহফিল বাংলাদেশে কারও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে চাইলে সরকার সহায়তা করবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস: তারেক রহমান চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বেগম খালেদা জিয়া : জাহিদ হোসেন এলপিজি দাম সমন্বয় করেছে সরকার

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় একটি কওমী মাদ্রাসার শিশুর পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান

#
news image

কওমী মাদ্রাসার নাজেরা শাখার আবাসিক ছাত্র ছয় বছরের শিশু ওসমান মল্লিক। দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গিয়েছিল। এমন অভিযোগে শিশুটির পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে চলছিলো পাঠদান। শিকলে শিশুটির পায়ে ব্যাথা হয়ে যায়। তবু অবাধ্য ছাত্র হিসেবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিশু ওসমান মল্লিকের পা শিকলে বেঁধে এভাবেই  পাঠদান করছিলো। 

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার  ধাওয়া দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র ওসমান মল্লিকের পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান করা হচ্ছে। 

খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে এ সত্যতা পান। পরে ভাণ্ডারিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার খবর পেয়ে ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর পর শিশু ওসমান মল্লিক পায়ের শিকল মুক্ত হয়।

ভূক্তভোগি শিশু ওসমান  ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে। সে ওই কওমী মাদ্রাসার নাজেরা শাখায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করছে।  

সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার নাজেরা শাখার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া দাবি করেন, শিশুটি দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর ওসমান এর বড় ভাই আবুবকর মল্লিক শিকল ও তালা দিয়ে যান। তার কথামত শিশুটির এক পায়ে শিকল পড়াতে হয়েছিলো। তবে শিশুটিকে শিকল মুক্ত করা হয়েছে।

শিশু ওসমান এর বড় ভাই আবু বকর বলেন, ওসমান মনোযোগ দিয়ে পড়তে চায়না। দুই বার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে আসে। পড়তে যেতে চায়না । এ কারনে মাদ্রাসায় শিকল দিয়ে এসেছিলাম। শুনেছি মাদ্রাসার শিক্ষকরা তার শিকল খুলে দিয়েছে। এমন কাজ আর হবেনা। 

এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া থানার উপ পরিদর্শক মো. কাইয়ূম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির অভিভাবক ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে

মাইনুল ইসলাম, পিরোজপুর প্রতিনিধি :

২৯ অক্টোবর, ২০২৫,  12:07 AM

news image

কওমী মাদ্রাসার নাজেরা শাখার আবাসিক ছাত্র ছয় বছরের শিশু ওসমান মল্লিক। দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গিয়েছিল। এমন অভিযোগে শিশুটির পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে চলছিলো পাঠদান। শিকলে শিশুটির পায়ে ব্যাথা হয়ে যায়। তবু অবাধ্য ছাত্র হিসেবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিশু ওসমান মল্লিকের পা শিকলে বেঁধে এভাবেই  পাঠদান করছিলো। 

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার  ধাওয়া দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র ওসমান মল্লিকের পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান করা হচ্ছে। 

খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে এ সত্যতা পান। পরে ভাণ্ডারিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার খবর পেয়ে ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর পর শিশু ওসমান মল্লিক পায়ের শিকল মুক্ত হয়।

ভূক্তভোগি শিশু ওসমান  ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে। সে ওই কওমী মাদ্রাসার নাজেরা শাখায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করছে।  

সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার নাজেরা শাখার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া দাবি করেন, শিশুটি দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর ওসমান এর বড় ভাই আবুবকর মল্লিক শিকল ও তালা দিয়ে যান। তার কথামত শিশুটির এক পায়ে শিকল পড়াতে হয়েছিলো। তবে শিশুটিকে শিকল মুক্ত করা হয়েছে।

শিশু ওসমান এর বড় ভাই আবু বকর বলেন, ওসমান মনোযোগ দিয়ে পড়তে চায়না। দুই বার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে আসে। পড়তে যেতে চায়না । এ কারনে মাদ্রাসায় শিকল দিয়ে এসেছিলাম। শুনেছি মাদ্রাসার শিক্ষকরা তার শিকল খুলে দিয়েছে। এমন কাজ আর হবেনা। 

এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া থানার উপ পরিদর্শক মো. কাইয়ূম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির অভিভাবক ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে