হেমন্তেই প্রকৃতি জুড়ে কুয়াশার আলপনা
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
২৮ অক্টোবর, ২০২৫, 5:20 PM
হেমন্তেই প্রকৃতি জুড়ে কুয়াশার আলপনা
ঋতুর পালা বদলে শরতের পর এবার হেমন্ত এসেছে প্রকৃতি জুড়ে। সারদিনের তীব্র গরম শেষে রাত থেকে শুরু হয় হালকা হিমেল হাওয়া, সঙ্গে প্রকৃতি জুড়ে নামে হালকা কুয়াশা।
নীল আকাশ জুড়ে সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে শরতের বিদায়ে প্রকৃতিতে অভিষেক ঘটেছে ঋতু রাণী খ্যাত হেমন্তের। প্রকৃতি থেকে শরতের বিদায়ের পর হেমন্তের শুরুতে কুয়াশা ঢাকা প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে ঋতুর পালাবদল। আশ্বিনের শেষে কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রকৃতিতে দেখা মিলেছে কিছুটা ঘনকুয়াশা। এরই সাথে সাথে বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু, আগমন ঘটছে উত্তরের হিমবায়ুর। সেই সাথে পড়ন্ত বিকেল থেকে শুরু হয় মৃদু হিমেল হাওয়া, রাত ভারি হওয়ার সাথে সাথে গাছের পাতায় শিশির বিন্দু জমে টুপটাপ শব্দে ঝরে পড়ে কুয়াশা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে গ্রামাঞ্চলের পথ-ঘাট, দীগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ, সবুজ প্রকৃতি। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সবুজ ঘাসের বুকে মুক্ত দানায় ঝিকমিক করে উঠা শিশিরবিন্দু দিয়ে যায় শীতের আগমনী বার্তা।
হেমন্তের কুয়াশা ঢাকা সকালে সরেজমিনে জেলার গ্রামীণ প্রকৃতি ঘুরে দেখাগেছে, ভোরের হালকা কুয়াশা আর দিগন্ত জুড়া মাঠে কাঁচা-পাকা ধানের ঢেউ যেন পুরো প্রকৃতিকে করে তুলেছে আরও স্নিগ্ধ। বাড়ির উঠানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিউলি আর বেলি ফুলের গন্ধ নির্মল করছে গ্রামীণ পরিবেশ। পথের ধারে পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভরে উঠছে হেমন্তের সকাল।
জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা ও কয়েকটি উপজেলা ঘুরে এবং কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আবহমান বাংলার সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিতে আবারও শুরু হয়েছে ঋতুর পালাবদল। পাল্টাচ্ছে প্রকৃতি ও জীবন। ছয়ঋতুর বঙ্গাব্দ বর্ষপঞ্জিতে চলেছে কার্তিক মাস। কার্তিক-অগ্রহায়ণ দুই মাসসহেমন্তকাল। আর হেমন্তকে বলা হয় অনুপম ও অপরূপ রূপের ঋতু। যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্না। এ ঋতুতেই স্বপ্ন দেখেন বাংলার কৃষক-কৃষাণী। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রকৃতিতে বেজে ওঠে শীতের আগমনী বার্তা।
তারা আরও বলেন, হেমন্তের শুরুতে দিনের বেলায় তীব্র গরম অনুভব হলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই আবহাওয়ার রূপ পাল্টাতে শুরু করে। কুয়াশার সাথে সাথে কিছুটা শীত অনুভুত হয়। সকালে ঘাসের ওপর শিশির কণা রৌদ্রে ঝলমল করে, গ্রামীণ প্রকৃতিতে শিশির ভেঁজা ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটাচলা করলে শিশির কণার স্পর্শে পা ভিজে যায়। তখনই অনুভব হয় শীতের আমেজ।
সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পালের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমি প্রায়ই সকালে হাঁটতে বের হই। কয়েকদিন ধরে ভোর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কুয়াশা দেখছি। প্রকৃতির পরিবর্তন দেখে বোঝা যাচ্ছে শীত দরজায় কড়া নাড়ছে।
জেলা সদরের রেলগেট এলাকার অটোরিকশা চালক রিন্টু মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রাতে গ্রামের রাস্তায় অনেক কুয়াশা পড়ে আর ভোর বেলায় চারিদিকের কোন কিছুই ঠিকমতো দেখা যায় না। তাই যাত্রী নিয়ে ধীরে ধীরে অটোরিকশা চালিয়ে চালিয়ে যেতে হয়।
আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে চিকিৎসকরা সতর্ক করেন সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে। তাদের মতে, এই সময়ে ঠান্ডা-গরমের ওঠানামার কারণে সর্দি-কাশি ও শীতজনিত রোগ বাড়তে পারে। তাই শিশুসহ সব বয়সি মানুষের সচেতন থাকতে হবে।
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
২৮ অক্টোবর, ২০২৫, 5:20 PM
ঋতুর পালা বদলে শরতের পর এবার হেমন্ত এসেছে প্রকৃতি জুড়ে। সারদিনের তীব্র গরম শেষে রাত থেকে শুরু হয় হালকা হিমেল হাওয়া, সঙ্গে প্রকৃতি জুড়ে নামে হালকা কুয়াশা।
নীল আকাশ জুড়ে সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে শরতের বিদায়ে প্রকৃতিতে অভিষেক ঘটেছে ঋতু রাণী খ্যাত হেমন্তের। প্রকৃতি থেকে শরতের বিদায়ের পর হেমন্তের শুরুতে কুয়াশা ঢাকা প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে ঋতুর পালাবদল। আশ্বিনের শেষে কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রকৃতিতে দেখা মিলেছে কিছুটা ঘনকুয়াশা। এরই সাথে সাথে বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু, আগমন ঘটছে উত্তরের হিমবায়ুর। সেই সাথে পড়ন্ত বিকেল থেকে শুরু হয় মৃদু হিমেল হাওয়া, রাত ভারি হওয়ার সাথে সাথে গাছের পাতায় শিশির বিন্দু জমে টুপটাপ শব্দে ঝরে পড়ে কুয়াশা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে গ্রামাঞ্চলের পথ-ঘাট, দীগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ, সবুজ প্রকৃতি। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সবুজ ঘাসের বুকে মুক্ত দানায় ঝিকমিক করে উঠা শিশিরবিন্দু দিয়ে যায় শীতের আগমনী বার্তা।
হেমন্তের কুয়াশা ঢাকা সকালে সরেজমিনে জেলার গ্রামীণ প্রকৃতি ঘুরে দেখাগেছে, ভোরের হালকা কুয়াশা আর দিগন্ত জুড়া মাঠে কাঁচা-পাকা ধানের ঢেউ যেন পুরো প্রকৃতিকে করে তুলেছে আরও স্নিগ্ধ। বাড়ির উঠানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিউলি আর বেলি ফুলের গন্ধ নির্মল করছে গ্রামীণ পরিবেশ। পথের ধারে পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভরে উঠছে হেমন্তের সকাল।
জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা ও কয়েকটি উপজেলা ঘুরে এবং কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আবহমান বাংলার সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিতে আবারও শুরু হয়েছে ঋতুর পালাবদল। পাল্টাচ্ছে প্রকৃতি ও জীবন। ছয়ঋতুর বঙ্গাব্দ বর্ষপঞ্জিতে চলেছে কার্তিক মাস। কার্তিক-অগ্রহায়ণ দুই মাসসহেমন্তকাল। আর হেমন্তকে বলা হয় অনুপম ও অপরূপ রূপের ঋতু। যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্না। এ ঋতুতেই স্বপ্ন দেখেন বাংলার কৃষক-কৃষাণী। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রকৃতিতে বেজে ওঠে শীতের আগমনী বার্তা।
তারা আরও বলেন, হেমন্তের শুরুতে দিনের বেলায় তীব্র গরম অনুভব হলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই আবহাওয়ার রূপ পাল্টাতে শুরু করে। কুয়াশার সাথে সাথে কিছুটা শীত অনুভুত হয়। সকালে ঘাসের ওপর শিশির কণা রৌদ্রে ঝলমল করে, গ্রামীণ প্রকৃতিতে শিশির ভেঁজা ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটাচলা করলে শিশির কণার স্পর্শে পা ভিজে যায়। তখনই অনুভব হয় শীতের আমেজ।
সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পালের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমি প্রায়ই সকালে হাঁটতে বের হই। কয়েকদিন ধরে ভোর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কুয়াশা দেখছি। প্রকৃতির পরিবর্তন দেখে বোঝা যাচ্ছে শীত দরজায় কড়া নাড়ছে।
জেলা সদরের রেলগেট এলাকার অটোরিকশা চালক রিন্টু মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রাতে গ্রামের রাস্তায় অনেক কুয়াশা পড়ে আর ভোর বেলায় চারিদিকের কোন কিছুই ঠিকমতো দেখা যায় না। তাই যাত্রী নিয়ে ধীরে ধীরে অটোরিকশা চালিয়ে চালিয়ে যেতে হয়।
আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে চিকিৎসকরা সতর্ক করেন সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে। তাদের মতে, এই সময়ে ঠান্ডা-গরমের ওঠানামার কারণে সর্দি-কাশি ও শীতজনিত রোগ বাড়তে পারে। তাই শিশুসহ সব বয়সি মানুষের সচেতন থাকতে হবে।