ঢাকা ২১ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
পদ্মায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান: ইলিশ নিধন বন্ধে ইঁদুর-বিড়াল খেলা ফটিকছড়িতে বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত গাজীপুর-১ আসনে চমক ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী কোনবাড়িতে ছাত্রদলের উদ্যোগে বিএনপি'র ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ  বানারীপাড়ায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে একই ঘটনাকে থানা ও  আদালতে ভিন্ন ভিন্ন রূপে মামলা দায়ের সদরপুরে মমিন হোটেলকে দুই লাখ টাকা জরিমানা বর্তমানে কোন কোন দলের কর্মকাণ্ড ফ্যাসিবাদ আওয়াামী লীগের কর্মকান্ডের সাথে মিলে যাচ্ছে-কেন্দ্রীয় শিবির সভাপতি উন্নত জাতের ছাগল পালন করে সফল খামারি দুলাল খান কুষ্টিয়ায় জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি : মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান দুর্গার পর এবার শ্যামা পূজা, ব্যস্ততা বেড়েছে মৃৎশিল্পী ও আয়োজকদের

পদ্মায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান: ইলিশ নিধন বন্ধে ইঁদুর-বিড়াল খেলা

#
news image

ইঁদুর বনাম বিড়াল খেলার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় বই পুস্তকে। ওখানে সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়েছে, গুরুতর কোনো বিষয়কে হালকাভাবে নেয়ার মানসিকতা। সাম্প্রতিক সময়ে মা ইলিশ শিকারে কিছু জেলেরা এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনের। অভিযান আসলে শুরু হয় দৌঁড়ঝাপ চলে গেলে শুরু হয় ইলিশ নিধন ও বেচা-কেনা৷ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান প্রশাসন জেলেদের সঙ্গে এই লুকোচুরি খেলায় ইঁদুর বিড়াল খেলার উদাহরণ মিলে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এই সময়কালে লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলায় পদ্মা নদীতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে পদ্মায় অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩৩ জেলকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে৷ বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ইলিশ জব্দ, জরিমানা এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণসহ ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে। তবুও এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে না কিছু অসাধু জেলেরা এই সময়টাকে ইলিশ উৎসব মনে করছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে চলছে ইলিশ ধরার মহোৎসব। জেলেরা পদ্মা সেতুর উজান মাওয়া যশলদিয়া ও ভাটিতে সিডারচর পয়েন্টের, কলমা, গাঁওদিয়া দক্ষিণে নদীর বিভিন্ন এলাকার শতাধিক নৌকায় দিনরাত অবাধে মা ইলিশ নিধন চলছে। এসব ইলিশের বড় পাইকারি হাট পদ্মা নদীর চর এলাকার সিডারচর৷ এছাড়া নদীর তীরবর্তী কুমারভোগ বাজার সংলগ্ন, বেজগাঁও, পশ্চিম গাঁওদিয়া, শামুরবাড়ি, ডহরি মারৈল, ভরাকর এলাকার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে মা ইলিশ বিক্রির চলে। অবাধে ইলিশ ধরছে। আর এ সব ইলিশ বিক্রিও হচ্ছে এসব স্থানে। এই হাটে প্রতিদিন চলে কোটি টাকার মা ইলিশ বেচাকেনা। জেলেরা অবাধে ইলিশ ধরছে। আর ওইসব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এসব স্থানে। সচেতন গ্রামবাসীরা বলেন, নদীতে ও ইলিশের হাটে যখন অভিযানে আসে তখন শুরু হয় জেলে ও মাছ বিক্রেতাদের দৌঁড়ঝাপ। চলে গেলে আবার শুরু হয় নিষিদ্ধ মা ইলিশ নিধন ও বেচা-কেনা৷ নদীতে যেনো মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে অসাধু জেলেদের সাথে প্রশাসনের ইঁদুর বিড়াল খেলা চলতে থাকা। সারেজমিনে গিয়ে জানাগেছে- ইলিশের হাটে এক কেজি ওজনের হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা। দেড় কেজি ওজনের ইলিশের হালি বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা৷ খোঁজ নিয়ে ও সূত্রে জানায়, সিডারচর ও আশপাশ চলাঞ্চল থেকে পাইকাররা ইঞ্জিন চালিত ট্রলার করে মা ইলিশ পদ্মার তীরবর্তী হাট গুলোতে পৌছে দিচ্ছে৷ সেখানে বিক্রি করছে কিছু ব্যক্তিরা। এছাড়া পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন পয়েন্টে এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের অভিযান ও পুলিশের টহলের খবর পৌঁছে দিতে লোকজন বসানো হয়েছে। স্পিড বোটের ঘাটে জেলেদের নিজস্ব লোকও বসিয়ে রাখা হয়েছে তারা অভিযানের তথ্য সরবরাহ করছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বলেন, রবিবার ৩ জেলেকে ৭ দিনের কারাদণ্ড, ১ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। উপজেলায় এ পর্যন্ত অভিযানে ৩৩ জেলেকে কারাদণ্ড, ১০ বিক্রেতাকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ জাল ও ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।

আবুল কাশেম, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :

২০ অক্টোবর, ২০২৫,  10:45 PM

news image

ইঁদুর বনাম বিড়াল খেলার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় বই পুস্তকে। ওখানে সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়েছে, গুরুতর কোনো বিষয়কে হালকাভাবে নেয়ার মানসিকতা। সাম্প্রতিক সময়ে মা ইলিশ শিকারে কিছু জেলেরা এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনের। অভিযান আসলে শুরু হয় দৌঁড়ঝাপ চলে গেলে শুরু হয় ইলিশ নিধন ও বেচা-কেনা৷ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান প্রশাসন জেলেদের সঙ্গে এই লুকোচুরি খেলায় ইঁদুর বিড়াল খেলার উদাহরণ মিলে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এই সময়কালে লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলায় পদ্মা নদীতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে পদ্মায় অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩৩ জেলকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে৷ বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ইলিশ জব্দ, জরিমানা এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণসহ ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে। তবুও এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে না কিছু অসাধু জেলেরা এই সময়টাকে ইলিশ উৎসব মনে করছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে চলছে ইলিশ ধরার মহোৎসব। জেলেরা পদ্মা সেতুর উজান মাওয়া যশলদিয়া ও ভাটিতে সিডারচর পয়েন্টের, কলমা, গাঁওদিয়া দক্ষিণে নদীর বিভিন্ন এলাকার শতাধিক নৌকায় দিনরাত অবাধে মা ইলিশ নিধন চলছে। এসব ইলিশের বড় পাইকারি হাট পদ্মা নদীর চর এলাকার সিডারচর৷ এছাড়া নদীর তীরবর্তী কুমারভোগ বাজার সংলগ্ন, বেজগাঁও, পশ্চিম গাঁওদিয়া, শামুরবাড়ি, ডহরি মারৈল, ভরাকর এলাকার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে মা ইলিশ বিক্রির চলে। অবাধে ইলিশ ধরছে। আর এ সব ইলিশ বিক্রিও হচ্ছে এসব স্থানে। এই হাটে প্রতিদিন চলে কোটি টাকার মা ইলিশ বেচাকেনা। জেলেরা অবাধে ইলিশ ধরছে। আর ওইসব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এসব স্থানে। সচেতন গ্রামবাসীরা বলেন, নদীতে ও ইলিশের হাটে যখন অভিযানে আসে তখন শুরু হয় জেলে ও মাছ বিক্রেতাদের দৌঁড়ঝাপ। চলে গেলে আবার শুরু হয় নিষিদ্ধ মা ইলিশ নিধন ও বেচা-কেনা৷ নদীতে যেনো মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে অসাধু জেলেদের সাথে প্রশাসনের ইঁদুর বিড়াল খেলা চলতে থাকা। সারেজমিনে গিয়ে জানাগেছে- ইলিশের হাটে এক কেজি ওজনের হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা। দেড় কেজি ওজনের ইলিশের হালি বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা৷ খোঁজ নিয়ে ও সূত্রে জানায়, সিডারচর ও আশপাশ চলাঞ্চল থেকে পাইকাররা ইঞ্জিন চালিত ট্রলার করে মা ইলিশ পদ্মার তীরবর্তী হাট গুলোতে পৌছে দিচ্ছে৷ সেখানে বিক্রি করছে কিছু ব্যক্তিরা। এছাড়া পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন পয়েন্টে এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের অভিযান ও পুলিশের টহলের খবর পৌঁছে দিতে লোকজন বসানো হয়েছে। স্পিড বোটের ঘাটে জেলেদের নিজস্ব লোকও বসিয়ে রাখা হয়েছে তারা অভিযানের তথ্য সরবরাহ করছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বলেন, রবিবার ৩ জেলেকে ৭ দিনের কারাদণ্ড, ১ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। উপজেলায় এ পর্যন্ত অভিযানে ৩৩ জেলেকে কারাদণ্ড, ১০ বিক্রেতাকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ জাল ও ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।