ঢাকা ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
শিরোনামঃ
মিরাজ অলরাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে জিয়াউর রহমান যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, আমি পাশে বসা ছিলাম: অলি আহমদ গান বাংলা টিভির সম্প্রচার বন্ধ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার দেড় কোটি মানুষ পাবে স্বল্পমূল্যে ক্যান্সারের চিকিৎসা ইউক্রেন সংকট সমাধানে ট্রাম্পের অগ্রাধিকার বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের বেগম খালেদা জিয়াকে বিজয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেন রাষ্ট্রপতি পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, এলএনজি সংগ্রহ করবে সরকার ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল, ১ কোটি ৪৮ লাখ লিটার ভোজ্য তেল সংগ্রহ করবে সরকার ছাত্রের নামে একের পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট

#
news image

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছেন, সামরিক আইন জারি এবং সেনাবাহিনী দিয়ে পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত। এই জন্য তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

শনিবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউন আরো বলেছেন, দ্বিতীয়বার তিনি আর কখনো সামরিক আইন জারি করবেন না। তিনি বলেছেন, চারদিকে গুজব চলছে, ‘সামরিক আইন আবার জারি করা হবে। আমি অপনাদের পরিস্কার ভাষায় বলছি সামরিক শাসন জারির মতো আর কখনো কিছু ঘটবে না।’

স্কাই নিউজ ও এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে আকস্মিক এক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারি করেন। সামরিক শাসন জারির পর ইউন প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েন। তার বিরুদ্ধে দলগুলো অভিশংসনের দাবি তোলে। পরে প্রধান বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরাসহ সাধারণ মানুষ পার্লামেন্ট ভবনের মুল প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে স্পিকারের নেতৃত্বে দ্রুত পার্লামেন্টে ভোটাভূটির ব্যবস্থা করে সামরিক আইন রহিত করা হয়। এরপর মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে তা অনুমোদন দিলে সামরিক আইন বাতিল হয়ে যায়। পার্লামেন্টের ৩শ’ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন সংসদ সদস্য সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

ইউন তার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে বলেণ, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং সামরিক আইন জারির ঘটনায় আন্তরিকভাবে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি।’ দেশে সামরিক আইন জারির মতো এমন ঘটনা আর কখনো হবে না বলেও নিশ্চিত করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।

সামরিক আইন জারির পর এটা অনুমান করা হয়েছিল যে, ইউন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন। তার পদত্যাগেরও সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তিনি পদত্যাগের ঘোষণা না দিয়ে বরং দেশে স্থিতিশীলতা আনার জন্য তার ক্ষমতাসীন দলের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করেন।

এদিকে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পদত্যাগ করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন। রাজনৈতিক দলগুলো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনের উদ্যেগ নেয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন।

এরআগে গত মঙ্গলবার এক আকস্মিক ঘোষণায় দেশ সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইওল। তিনি জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এবং দেশ বিরোধী উপাদান নিমূল করার জন্য সামরিক আইন জারির প্রয়োজন ছিল। 

আন্তর্জাতিক ডেক্স :

০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪,  5:50 PM

news image

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছেন, সামরিক আইন জারি এবং সেনাবাহিনী দিয়ে পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত। এই জন্য তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

শনিবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউন আরো বলেছেন, দ্বিতীয়বার তিনি আর কখনো সামরিক আইন জারি করবেন না। তিনি বলেছেন, চারদিকে গুজব চলছে, ‘সামরিক আইন আবার জারি করা হবে। আমি অপনাদের পরিস্কার ভাষায় বলছি সামরিক শাসন জারির মতো আর কখনো কিছু ঘটবে না।’

স্কাই নিউজ ও এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে আকস্মিক এক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারি করেন। সামরিক শাসন জারির পর ইউন প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েন। তার বিরুদ্ধে দলগুলো অভিশংসনের দাবি তোলে। পরে প্রধান বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরাসহ সাধারণ মানুষ পার্লামেন্ট ভবনের মুল প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে স্পিকারের নেতৃত্বে দ্রুত পার্লামেন্টে ভোটাভূটির ব্যবস্থা করে সামরিক আইন রহিত করা হয়। এরপর মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে তা অনুমোদন দিলে সামরিক আইন বাতিল হয়ে যায়। পার্লামেন্টের ৩শ’ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন সংসদ সদস্য সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

ইউন তার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে বলেণ, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং সামরিক আইন জারির ঘটনায় আন্তরিকভাবে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি।’ দেশে সামরিক আইন জারির মতো এমন ঘটনা আর কখনো হবে না বলেও নিশ্চিত করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।

সামরিক আইন জারির পর এটা অনুমান করা হয়েছিল যে, ইউন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন। তার পদত্যাগেরও সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তিনি পদত্যাগের ঘোষণা না দিয়ে বরং দেশে স্থিতিশীলতা আনার জন্য তার ক্ষমতাসীন দলের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করেন।

এদিকে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পদত্যাগ করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন। রাজনৈতিক দলগুলো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনের উদ্যেগ নেয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন।

এরআগে গত মঙ্গলবার এক আকস্মিক ঘোষণায় দেশ সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইওল। তিনি জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এবং দেশ বিরোধী উপাদান নিমূল করার জন্য সামরিক আইন জারির প্রয়োজন ছিল।