ঢাকা ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

মোংলা বন্দর ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানকে সন্মাননা প্রদান

#
news image

মোংলা বন্দরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান" টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড" (টিএসএলএল) ও" বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেড" কে সন্মাননা প্রদান করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মোংলা বন্দর এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার দুপুরে বন্দর জেটির স্টাফিং এ্যান্ড আনস্টাফিং শেডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দরের কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড-এর হেড অব ডিপার্টমেন্ট ক্যাপ্টেন মো. মাহবুবুল আলমের হাতে এই সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। এসময়, বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কিবরিয়া হক, সদস্য (অর্থ) (যুগ্মসচিব), কাজী আবেদ হোসেন, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) (যুগ্মসচিব) ড. এ. কে. এম. আনিসুর রহমান, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ, বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেডের ম্যানেজার কে এম রিয়াজুল হক সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড-এর হেড অব ডিপার্টমেন্ট ক্যাপ্টেন মো. মাহবুবুল আলম জানান, বসুন্ধরা গ্রুপের অব্যাহত সাফল্য ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এই ধারাবাহিকতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ৫০টি মাদার ভ্যাসেল পরিচালনা করেছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড প্রায় ১৩ কোটি টাকার রাজস্ব প্রদান করায় মোংলা বন্দরের সর্বোচ্চ মাসুল প্রদানকারী শিপিং এজেন্ট হিসেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ সন্মাননা প্রদান করেন ।
একই ভাবে, বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেড (বিএমটিএল) গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অর্থবছরে সর্বাধিক কয়লা আমদানিকারক হিসেবে সেরা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের হিসেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ সন্মাননা প্রদান করেছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে মোংলা বন্দরে বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেড আরও প্রায় ১৩ কোটি টাকার রাজস্ব প্রদান করেছে। উল্লেখ্য,  দ্বিতীয়বারের মতো টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড ও বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেড মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই সম্মান অর্জন। পাশাপাশি ২০১৬ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড ও বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেড বসুন্ধরা গ্রুপের দ্রুত অগ্রসরমান দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিজেদের অবস্থান ধরে রেখে মোংলা বন্দরকে সমৃদ্ধ করা সহ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পেরেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
মোংলা বন্দরের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আরো ২৭টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করেন।
আজকের এই দিনে ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর খুলনার চালনা এলাকায় এই বন্দর স্থাপিত হয়। পরে প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছর পরে ভৌগোলিক কারণে ১৯৫৩ সালে দেশের এই দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে বাগেরহাটের মোংলায় স্থানান্তরিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে মোংলা বন্দরের কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান জানান, মোংলা বন্দরে বর্তমানে ৪টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরে জেটি পর্যন্ত  ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুবিধা সৃষ্টি হবে। আপগ্রেডেশন অফ মোংলা পোর্ট প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বার্ষিক  ১.৫০ কোটি টন কার্গো, ৪.০০ লাখ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। এছাড়াও মোংলা বন্দরে ২টি অসম্পূর্ণ জেটি নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বার্ষিক আরো ২ লাখ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোংলা বন্দরের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের ক্ষেত্রে ২ দশমিত ৩০ শতাংশ, কার্গো ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, কন্টেইনার ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং গাড়ির আমদানীর ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বর্তমান অর্থ বছরের প্রথম ৪ মাসে ২৯ লক্ষ মে. টন পন্য আমদানি রপ্তানি হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের ফলে প্রথমবারের মতো প্রতি ঘন্টায় ২৪ টিরও বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হচ্ছে এবং জেটির সম্মুখে নিয়মিত ড্রেজিং এর ফলে নাব্যতা বিরাজমান থাকার কারণে ৫ টি জেটিতে একই সাথে ৫ টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল আর ভুটানের ট্রানজিট পণ্য মোংলা বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানির অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
 

অনলাইন ডেস্ক

০২ ডিসেম্বর, ২০২৪,  6:30 PM

news image

মোংলা বন্দরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান" টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড" (টিএসএলএল) ও" বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেড" কে সন্মাননা প্রদান করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মোংলা বন্দর এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার দুপুরে বন্দর জেটির স্টাফিং এ্যান্ড আনস্টাফিং শেডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দরের কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড-এর হেড অব ডিপার্টমেন্ট ক্যাপ্টেন মো. মাহবুবুল আলমের হাতে এই সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। এসময়, বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কিবরিয়া হক, সদস্য (অর্থ) (যুগ্মসচিব), কাজী আবেদ হোসেন, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) (যুগ্মসচিব) ড. এ. কে. এম. আনিসুর রহমান, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ, বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেডের ম্যানেজার কে এম রিয়াজুল হক সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড-এর হেড অব ডিপার্টমেন্ট ক্যাপ্টেন মো. মাহবুবুল আলম জানান, বসুন্ধরা গ্রুপের অব্যাহত সাফল্য ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এই ধারাবাহিকতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ৫০টি মাদার ভ্যাসেল পরিচালনা করেছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড প্রায় ১৩ কোটি টাকার রাজস্ব প্রদান করায় মোংলা বন্দরের সর্বোচ্চ মাসুল প্রদানকারী শিপিং এজেন্ট হিসেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ সন্মাননা প্রদান করেন ।
একই ভাবে, বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেড (বিএমটিএল) গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অর্থবছরে সর্বাধিক কয়লা আমদানিকারক হিসেবে সেরা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের হিসেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ সন্মাননা প্রদান করেছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে মোংলা বন্দরে বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেড আরও প্রায় ১৩ কোটি টাকার রাজস্ব প্রদান করেছে। উল্লেখ্য,  দ্বিতীয়বারের মতো টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড ও বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেড মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই সম্মান অর্জন। পাশাপাশি ২০১৬ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড ও বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেড বসুন্ধরা গ্রুপের দ্রুত অগ্রসরমান দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিজেদের অবস্থান ধরে রেখে মোংলা বন্দরকে সমৃদ্ধ করা সহ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পেরেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
মোংলা বন্দরের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আরো ২৭টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করেন।
আজকের এই দিনে ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর খুলনার চালনা এলাকায় এই বন্দর স্থাপিত হয়। পরে প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছর পরে ভৌগোলিক কারণে ১৯৫৩ সালে দেশের এই দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে বাগেরহাটের মোংলায় স্থানান্তরিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে মোংলা বন্দরের কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান জানান, মোংলা বন্দরে বর্তমানে ৪টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরে জেটি পর্যন্ত  ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুবিধা সৃষ্টি হবে। আপগ্রেডেশন অফ মোংলা পোর্ট প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বার্ষিক  ১.৫০ কোটি টন কার্গো, ৪.০০ লাখ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। এছাড়াও মোংলা বন্দরে ২টি অসম্পূর্ণ জেটি নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বার্ষিক আরো ২ লাখ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোংলা বন্দরের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের ক্ষেত্রে ২ দশমিত ৩০ শতাংশ, কার্গো ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, কন্টেইনার ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং গাড়ির আমদানীর ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বর্তমান অর্থ বছরের প্রথম ৪ মাসে ২৯ লক্ষ মে. টন পন্য আমদানি রপ্তানি হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের ফলে প্রথমবারের মতো প্রতি ঘন্টায় ২৪ টিরও বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হচ্ছে এবং জেটির সম্মুখে নিয়মিত ড্রেজিং এর ফলে নাব্যতা বিরাজমান থাকার কারণে ৫ টি জেটিতে একই সাথে ৫ টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল আর ভুটানের ট্রানজিট পণ্য মোংলা বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানির অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।