ঢাকা ২৯ জুলাই, ২০২৫

গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ স্বামীসহ ৭জনকে আসামি করে আদালতে মামলা

#
news image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গত বুধবার রাতে এক গৃহবধূকে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাঁর স্বামীসহ ৭জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছে ভিকটিময়ের মা।

নোয়াখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট ২নংআমলী আদালতে মামলা করে, মামলার আসামি করা হয়েছে, ১.মো:সফি উল্যাহ প্রকাশ শিপন(৩৫), পিতা-শহিদ উল্যাহ,২.শহিদ উল্যাহ(৬০),পিতা-মৃত আবুল হাসেম,৩.রৌশন আরা বেগম(৫৫), স্বামী -শহিদ উল্যাহ,৪.আদরী বেগম(২৬), ৫.সুন্দরী বেগম(২৪),উভয় পিতা-শহিদ উল্যাহ, ৬.আজাদ (৩২), পিতা-অজ্ঞাত,৭.মন্নান মাঝি, পিতা-মৃত আবুল হাসেম,সর্ব সাং-মুছাপুর,(পাঞ্জাবীদের বাড়ি/মন্নান মাঝির বাড়ি),৯নং ওয়ার্ড, ৭নং মুছাপুর ইউনিয়ন,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা,নোয়াখালী।

নোয়াখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট ফারহানা ইসলাম রুমি ২নংআমলী আদালতে মামলা করা হয়,মামলার বাদীর পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট ইমাম হোসেন কাওছার। তিনি দৈনিক পল্লী বাংলাকে বলেন,আসামিদের বিরুদ্ধে ধারা নং-৩০২/৩৪ দন্ডবিধি আনা হয়েছে।

নিহত গৃহবধূর নাম শায়েদা আক্তার পপি।তিনি  উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মক্কা নগরের শিপনের স্ত্রী এবং একই গ্রামের ইলিয়াস চুকানি বাড়ির শামসুদ্দিন মিয়ার মেয়ে। 

এর আগে বুধবার ভোরে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদুল্লাহর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে ২৩ জুলাই (বুধবার) ভোর আনুমানিক ৫ টায়,পরে বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। 

নিহতের মা খাইরুন নাহার অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে জানান, ১০ বছর আগে শিপনের সঙ্গে পপিকে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে নানান নির্যাতন করতো শিপন ও তার পরিবার। গত রাতভর নির্যাতন চালিয়ে তারা আমার মেয়েকে  হত্যা করে, সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার অভিনয় করে বাড়িতে মরদেহ রেখে সবাইকে ফাঁস নিয়েছে জানান। পরে পুরো পরিবার মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়। 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ফেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

নিহত নিহতের মা খাইরুন নাহার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় দশ বছর আগে শিপনের সঙ্গে পপিকে বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য পপিকে  নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কয়েকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে।

শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী প্রতিনিধি :

২৮ জুলাই, ২০২৫,  9:36 PM

news image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গত বুধবার রাতে এক গৃহবধূকে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাঁর স্বামীসহ ৭জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছে ভিকটিময়ের মা।

নোয়াখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট ২নংআমলী আদালতে মামলা করে, মামলার আসামি করা হয়েছে, ১.মো:সফি উল্যাহ প্রকাশ শিপন(৩৫), পিতা-শহিদ উল্যাহ,২.শহিদ উল্যাহ(৬০),পিতা-মৃত আবুল হাসেম,৩.রৌশন আরা বেগম(৫৫), স্বামী -শহিদ উল্যাহ,৪.আদরী বেগম(২৬), ৫.সুন্দরী বেগম(২৪),উভয় পিতা-শহিদ উল্যাহ, ৬.আজাদ (৩২), পিতা-অজ্ঞাত,৭.মন্নান মাঝি, পিতা-মৃত আবুল হাসেম,সর্ব সাং-মুছাপুর,(পাঞ্জাবীদের বাড়ি/মন্নান মাঝির বাড়ি),৯নং ওয়ার্ড, ৭নং মুছাপুর ইউনিয়ন,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা,নোয়াখালী।

নোয়াখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট ফারহানা ইসলাম রুমি ২নংআমলী আদালতে মামলা করা হয়,মামলার বাদীর পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট ইমাম হোসেন কাওছার। তিনি দৈনিক পল্লী বাংলাকে বলেন,আসামিদের বিরুদ্ধে ধারা নং-৩০২/৩৪ দন্ডবিধি আনা হয়েছে।

নিহত গৃহবধূর নাম শায়েদা আক্তার পপি।তিনি  উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মক্কা নগরের শিপনের স্ত্রী এবং একই গ্রামের ইলিয়াস চুকানি বাড়ির শামসুদ্দিন মিয়ার মেয়ে। 

এর আগে বুধবার ভোরে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদুল্লাহর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে ২৩ জুলাই (বুধবার) ভোর আনুমানিক ৫ টায়,পরে বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। 

নিহতের মা খাইরুন নাহার অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে জানান, ১০ বছর আগে শিপনের সঙ্গে পপিকে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে নানান নির্যাতন করতো শিপন ও তার পরিবার। গত রাতভর নির্যাতন চালিয়ে তারা আমার মেয়েকে  হত্যা করে, সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার অভিনয় করে বাড়িতে মরদেহ রেখে সবাইকে ফাঁস নিয়েছে জানান। পরে পুরো পরিবার মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়। 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ফেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

নিহত নিহতের মা খাইরুন নাহার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় দশ বছর আগে শিপনের সঙ্গে পপিকে বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য পপিকে  নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কয়েকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে।