প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
২৩ জুলাই, ২০২৫, 8:49 PM

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের কাঁকুড়া এলাকায় রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
অপহরণের শিকার মাহিয়া সুলতানা (১৩) সিংধা ইউনিয়নের কাঁকুড়া এলাকার রাজীব মিয়ার মেয়ে এবং ননী গোপাল মঞ্জুশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অপহরণের পাঁচঘন্টা পর সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে ভুক্তভোগী কৌশলে তার দাদার মোবাইলে ফোন করলে পরিবারের লোকজন ভুক্তভোগীকে গেরিয়া গ্রামের একটি কালভার্টের উপর থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা রাজীব মিয়া বাদী হয়ে চিরাম ইউনিয়নের জয়পতাক এলাকার নয়ন মিয়ার ছেলে মোঃ রিদয় খাঁন (২২) সহ আরো অজ্ঞাত দুইজনের নাম উল্লেখ বারহাট্টা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর বাবা রাজীব মিয়া পেশায় একজন সিএনজি চালক। প্রায় সময়ই আসামি রিদয় খাঁন ভুক্তভোগীর বাবার মোবাইলের ইমো নাম্বারে কুরুচিপূর্ণ ম্যাসেজ এবং ফোনে কথা বলতে চাইতো। বিষয়টি জানতে পেরে, আসামিকে ফোন করতে নিষেধ করলে আসামি হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। ঘটনার দিন রাত সাড়ে এগারটার দিকে ভুক্তভোগী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে ওৎপেতে থাকা আসামি রিদয় মিয়া ভুক্তভোগীর গলায় ও মুখে গামছা পেঁচিয়ে আরো অজ্ঞাত দুই তিনজনের সহায়যোগীতায় অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ভুক্তভোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। কিন্তু পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন থেকে কৌশলে তার দাদাকে ফোন করলে ভোর সাড়ে চারটার দিকে পরিবারের লোকজন গেরিয়া গ্রামের একটা কালভার্টের উপর থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।
অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীর ফুফু জানান, আমার ভাতিজিকে ওরা অপহরণ কইরা নিয়া গেছিল। উদ্বারের পর পরই কেন হাসপাতালে নিয়ে আসলেন না এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমরা উদ্বার করেই আমাদের ইউপি সদস্যকে অবগত করি। তখন আমার ভাতিজির শরীরের অবস্থা স্থিতিশিল ছিল। কিন্তু ২২ জুলাই সন্ধ্যার পর অবস্থা খারাপ হলে আমরা দ্রুত তাকে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। আমার ভাতিজির উপর হওয়া এই অন্যায়ের চূড়ান্ত বিচার চাই।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুল হাসান জানান, ভুক্তভোগীর বাবা আমাদের কাছে একটি অপহরণের অভিযোগ দিয়েছে। আমরা সেটি তদন্ত করছি। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
২৩ জুলাই, ২০২৫, 8:49 PM

নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের কাঁকুড়া এলাকায় রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
অপহরণের শিকার মাহিয়া সুলতানা (১৩) সিংধা ইউনিয়নের কাঁকুড়া এলাকার রাজীব মিয়ার মেয়ে এবং ননী গোপাল মঞ্জুশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অপহরণের পাঁচঘন্টা পর সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে ভুক্তভোগী কৌশলে তার দাদার মোবাইলে ফোন করলে পরিবারের লোকজন ভুক্তভোগীকে গেরিয়া গ্রামের একটি কালভার্টের উপর থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা রাজীব মিয়া বাদী হয়ে চিরাম ইউনিয়নের জয়পতাক এলাকার নয়ন মিয়ার ছেলে মোঃ রিদয় খাঁন (২২) সহ আরো অজ্ঞাত দুইজনের নাম উল্লেখ বারহাট্টা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর বাবা রাজীব মিয়া পেশায় একজন সিএনজি চালক। প্রায় সময়ই আসামি রিদয় খাঁন ভুক্তভোগীর বাবার মোবাইলের ইমো নাম্বারে কুরুচিপূর্ণ ম্যাসেজ এবং ফোনে কথা বলতে চাইতো। বিষয়টি জানতে পেরে, আসামিকে ফোন করতে নিষেধ করলে আসামি হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। ঘটনার দিন রাত সাড়ে এগারটার দিকে ভুক্তভোগী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে ওৎপেতে থাকা আসামি রিদয় মিয়া ভুক্তভোগীর গলায় ও মুখে গামছা পেঁচিয়ে আরো অজ্ঞাত দুই তিনজনের সহায়যোগীতায় অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ভুক্তভোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। কিন্তু পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন থেকে কৌশলে তার দাদাকে ফোন করলে ভোর সাড়ে চারটার দিকে পরিবারের লোকজন গেরিয়া গ্রামের একটা কালভার্টের উপর থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।
অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীর ফুফু জানান, আমার ভাতিজিকে ওরা অপহরণ কইরা নিয়া গেছিল। উদ্বারের পর পরই কেন হাসপাতালে নিয়ে আসলেন না এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমরা উদ্বার করেই আমাদের ইউপি সদস্যকে অবগত করি। তখন আমার ভাতিজির শরীরের অবস্থা স্থিতিশিল ছিল। কিন্তু ২২ জুলাই সন্ধ্যার পর অবস্থা খারাপ হলে আমরা দ্রুত তাকে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। আমার ভাতিজির উপর হওয়া এই অন্যায়ের চূড়ান্ত বিচার চাই।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুল হাসান জানান, ভুক্তভোগীর বাবা আমাদের কাছে একটি অপহরণের অভিযোগ দিয়েছে। আমরা সেটি তদন্ত করছি। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।