ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
৩১ দফা বাস্তবায়নে নওগাঁয় রাতভর বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি কোম্পানীগঞ্জে এনটিআরসিএ কর্তৃক সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিটিএ'র সংবর্ধনা  উত্তর ফটিকছড়ি উপজেলায় অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন বাগেরহাটে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও  মানববন্ধন মাধবপুরে খাস জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দ্বারা  মাঠি উত্তোলন, প্রশাসন নিরব বাগেরহাটে মহিদুল নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যাঃ আটক ২  বেলকুচিতে ৪৮টি গরুসহ খামার পেলেন আত্মসমর্পন করা ৬৭ চরমপন্থী শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী টঙ্গী কলেজে লিফলেট বিতরণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধা বাগেরহাটের পচা দিঘী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ব্যাপক ছাঁটাই শুরু

#
news image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার পররাষ্ট্র দপ্তরের ১,৩০০-র বেশি কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারকে ‘অতিরিক্ত ভারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে এই পদক্ষেপকে হোয়াইট হাউস ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ’ হিসেবে তুলে ধরলেও সমালোচকরা বলছেন এতে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক প্রভাব মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক আবেগঘন পরিবেশে সহকর্মীরা বিদায়ী কর্মীদের হাততালি দিয়ে বিদায় জানান। কেউ কেউ চোখের জল ফেলতে ফেলতে নিজেদের জিনিসপত্রের বাক্স নিয়ে বেরিয়ে যান।

পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, ১,১০৭ জন সিভিল সার্ভিস কর্মী ও ২৪৬ জন ফরেন সার্ভিস কূটনীতিক এই ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনকে সরকারি দপ্তর ছাঁটাই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অনুমতি দেয়ার মাত্র তিন দিন পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলো। কনজারভেটিভ সংখ্যাগরিষ্ঠ এই আদালত হাজার হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ানো নিম্ন আদালতের একটি সাময়িক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

৭৯ বছর বয়সী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ‘ডিপ স্টেট’ ধ্বংসের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দপ্তরে নিজের অনুগতদের বসাচ্ছেন এবং অভিজ্ঞ সরকারি কর্মীদের ছাঁটাই করছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, পররাষ্ট্র দপ্তর ‘অত্যন্ত জটিল ও ভারী’, তাই এটি কমপক্ষে ১৫ শতাংশ হ্রাস করা প্রয়োজন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মীদের প্রতিনিধিতকারী আমেরিকান ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (আফসা) এই সিদ্ধান্তকে ‘জাতীয় স্বার্থের ওপর এক বিপর্যয়কর আঘাত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

আফসা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে ু ইউক্রেনে যুদ্ধ, ইসরাইল-ইরান সংঘাত, ও স্বৈরশাসকদের আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা চলছেই। এমন সময় যুক্তরাষ্ট্র নিজের কূটনৈতিক অগ সেনানীদের ছাঁটাই করছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি।’

গত বছর পর্যন্ত পররাষ্ট্র দপ্তরে বিশ্বজুড়ে ৮০ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করতেন, যার মধ্যে ১৭,৭০০ জন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে।

ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের মুখ্য সংস্থা ইউএসএআইডি প্রায় পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, বরখাস্ত কর্মীদের ই-মেইলের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তারা নোটিশ পাওয়ার ১২০ দিনের মাথায় চাকরি হারাবেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনিক ছুটিতে যাবেন। অন্যদিকে সিভিল সার্ভিস কর্মীরা ৬০ দিনের মধ্যে চাকরি হারাবেন।

সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এই ছাঁটাইকে ‘যথেচ্ছাচার ও অনানুপাতিক’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন, ‘মেধাভিত্তিক ছাঁটাই’-এর কথা বলা হলেও, প্রকৃতপক্ষে কর্মকর্তাদের শুধুই তাদের পোস্টিংয়ের অবস্থান অনুযায়ী ছাঁটাই করা হচ্ছে। এটি কর্মী সংকোচনের সবচেয়ে অলস, অকার্যকর ও ক্ষতিকর উপায়।’

বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ মধ্যপ্রাচ্য কূটনীতিক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত বারবারা লিফ লিংকডইনে লেখেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমাদের নাগরিকদের বিদেশে রক্ষা, জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এটি কোনো প্রশাসনিক পুনর্গঠন নয়, এটি এক প্রকার নিধন অভিযান।’

আন্তর্জাতিক ডেক্স :

১২ জুলাই, ২০২৫,  9:30 PM

news image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার পররাষ্ট্র দপ্তরের ১,৩০০-র বেশি কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারকে ‘অতিরিক্ত ভারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে এই পদক্ষেপকে হোয়াইট হাউস ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ’ হিসেবে তুলে ধরলেও সমালোচকরা বলছেন এতে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক প্রভাব মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক আবেগঘন পরিবেশে সহকর্মীরা বিদায়ী কর্মীদের হাততালি দিয়ে বিদায় জানান। কেউ কেউ চোখের জল ফেলতে ফেলতে নিজেদের জিনিসপত্রের বাক্স নিয়ে বেরিয়ে যান।

পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, ১,১০৭ জন সিভিল সার্ভিস কর্মী ও ২৪৬ জন ফরেন সার্ভিস কূটনীতিক এই ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনকে সরকারি দপ্তর ছাঁটাই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অনুমতি দেয়ার মাত্র তিন দিন পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলো। কনজারভেটিভ সংখ্যাগরিষ্ঠ এই আদালত হাজার হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ানো নিম্ন আদালতের একটি সাময়িক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

৭৯ বছর বয়সী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ‘ডিপ স্টেট’ ধ্বংসের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দপ্তরে নিজের অনুগতদের বসাচ্ছেন এবং অভিজ্ঞ সরকারি কর্মীদের ছাঁটাই করছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, পররাষ্ট্র দপ্তর ‘অত্যন্ত জটিল ও ভারী’, তাই এটি কমপক্ষে ১৫ শতাংশ হ্রাস করা প্রয়োজন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মীদের প্রতিনিধিতকারী আমেরিকান ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (আফসা) এই সিদ্ধান্তকে ‘জাতীয় স্বার্থের ওপর এক বিপর্যয়কর আঘাত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

আফসা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে ু ইউক্রেনে যুদ্ধ, ইসরাইল-ইরান সংঘাত, ও স্বৈরশাসকদের আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা চলছেই। এমন সময় যুক্তরাষ্ট্র নিজের কূটনৈতিক অগ সেনানীদের ছাঁটাই করছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি।’

গত বছর পর্যন্ত পররাষ্ট্র দপ্তরে বিশ্বজুড়ে ৮০ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করতেন, যার মধ্যে ১৭,৭০০ জন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে।

ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের মুখ্য সংস্থা ইউএসএআইডি প্রায় পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, বরখাস্ত কর্মীদের ই-মেইলের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তারা নোটিশ পাওয়ার ১২০ দিনের মাথায় চাকরি হারাবেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনিক ছুটিতে যাবেন। অন্যদিকে সিভিল সার্ভিস কর্মীরা ৬০ দিনের মধ্যে চাকরি হারাবেন।

সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এই ছাঁটাইকে ‘যথেচ্ছাচার ও অনানুপাতিক’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন, ‘মেধাভিত্তিক ছাঁটাই’-এর কথা বলা হলেও, প্রকৃতপক্ষে কর্মকর্তাদের শুধুই তাদের পোস্টিংয়ের অবস্থান অনুযায়ী ছাঁটাই করা হচ্ছে। এটি কর্মী সংকোচনের সবচেয়ে অলস, অকার্যকর ও ক্ষতিকর উপায়।’

বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ মধ্যপ্রাচ্য কূটনীতিক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত বারবারা লিফ লিংকডইনে লেখেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমাদের নাগরিকদের বিদেশে রক্ষা, জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এটি কোনো প্রশাসনিক পুনর্গঠন নয়, এটি এক প্রকার নিধন অভিযান।’