বিদ্যুৎ বিভাগে অন্ধকার অধ্যায়: সাবেক নেসকো এমডির দুর্নীতি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে দুদক

খন্দকার মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
১০ জুলাই, ২০২৫, 9:02 PM

বিদ্যুৎ বিভাগে অন্ধকার অধ্যায়: সাবেক নেসকো এমডির দুর্নীতি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে দুদক
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির অভিযোগে আবারও আলোচনায়। সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী জাকিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কার্যক্রমও তদন্তের আওতায় এসেছে।
দুদকের উপপরিচালক মো. সোহানুর রহমানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি টিম ইতিমধ্যে নেসকোর কাছে বিপুলসংখ্যক নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে চিঠি। এতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম এবং বিভিন্ন খাতে অর্থ অপচয়ের বিষয়গুলোতে।
নেসকোর একাধিক সূত্র জানায়, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জাকিউল ইসলাম তার মেয়াদে "সেটআপ" নিয়োগের নামে বিপুল অঙ্কের অর্থ আদায় করেন। এসব প্রক্রিয়ায় মেধা ও নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রভাবশালী প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুদকের চিঠি অনুযায়ী, জাকিউল ইসলামের আমলে প্রকৌশলী নিয়োগের সব নথি, তদন্ত প্রতিবেদন, ডিপিসি কমিটির সুপারিশ, নিয়োগ নীতিমালা ও পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তার সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ সফরের খরচ, টিএ-ডিএ, সিএসআর খাতে সোলার প্যানেল স্থাপন, বিজ্ঞাপন ও সভা-সমাবেশ সংক্রান্ত খরচ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কমিশন।
তবে এ পর্যন্ত কোনো নথি দুদকে জমা দিতে পারেনি নেসকো কর্তৃপক্ষ। দায়িত্বপ্রাপ্ত এমডি অঞ্জনা খান মজলিশকে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নির্বাহী পরিচালক (মানবসম্পদ) মো. সাইফুর রহমান জানান, “১০ বছরের পুরনো নথি খুঁজে বের করতে সময় লাগছে। আগামী সপ্তাহে সব জমা দেওয়া হবে।”
নেসকোর ভেতরের কর্মকর্তারা জানান, সাবেক এমডির সময়ের অনিয়মের দায় এখনও প্রতিষ্ঠানকে বইতে হচ্ছে। তারা অভিযোগ করেন, উচ্চপর্যায়ের ছত্রছায়ায় জাকিউল ইসলাম প্রতিষ্ঠানটিকে ‘দুর্নীতির অভয়ারণ্যে’ পরিণত করেছিলেন।
সাবেক এমডি জাকিউল ইসলামের মন্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
দুদকের এক সূত্র জানিয়েছে, নথি ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খন্দকার মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
১০ জুলাই, ২০২৫, 9:02 PM

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির অভিযোগে আবারও আলোচনায়। সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী জাকিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কার্যক্রমও তদন্তের আওতায় এসেছে।
দুদকের উপপরিচালক মো. সোহানুর রহমানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি টিম ইতিমধ্যে নেসকোর কাছে বিপুলসংখ্যক নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে চিঠি। এতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম এবং বিভিন্ন খাতে অর্থ অপচয়ের বিষয়গুলোতে।
নেসকোর একাধিক সূত্র জানায়, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জাকিউল ইসলাম তার মেয়াদে "সেটআপ" নিয়োগের নামে বিপুল অঙ্কের অর্থ আদায় করেন। এসব প্রক্রিয়ায় মেধা ও নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রভাবশালী প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুদকের চিঠি অনুযায়ী, জাকিউল ইসলামের আমলে প্রকৌশলী নিয়োগের সব নথি, তদন্ত প্রতিবেদন, ডিপিসি কমিটির সুপারিশ, নিয়োগ নীতিমালা ও পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তার সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ সফরের খরচ, টিএ-ডিএ, সিএসআর খাতে সোলার প্যানেল স্থাপন, বিজ্ঞাপন ও সভা-সমাবেশ সংক্রান্ত খরচ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কমিশন।
তবে এ পর্যন্ত কোনো নথি দুদকে জমা দিতে পারেনি নেসকো কর্তৃপক্ষ। দায়িত্বপ্রাপ্ত এমডি অঞ্জনা খান মজলিশকে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নির্বাহী পরিচালক (মানবসম্পদ) মো. সাইফুর রহমান জানান, “১০ বছরের পুরনো নথি খুঁজে বের করতে সময় লাগছে। আগামী সপ্তাহে সব জমা দেওয়া হবে।”
নেসকোর ভেতরের কর্মকর্তারা জানান, সাবেক এমডির সময়ের অনিয়মের দায় এখনও প্রতিষ্ঠানকে বইতে হচ্ছে। তারা অভিযোগ করেন, উচ্চপর্যায়ের ছত্রছায়ায় জাকিউল ইসলাম প্রতিষ্ঠানটিকে ‘দুর্নীতির অভয়ারণ্যে’ পরিণত করেছিলেন।
সাবেক এমডি জাকিউল ইসলামের মন্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
দুদকের এক সূত্র জানিয়েছে, নথি ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পর্কিত