ঢাকা ২১ নভেম্বর, ২০২৪
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় : প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’এর খসড়া অনুমোদন ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির সাথে ইসি অনুসন্ধান কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ আজ সন্ধ্যায় কোন ব্যাংক বন্ধ হবে না: ড. সালেহউদ্দিন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ চালাবে: মির্জা ফখরুল বিচারের সম্মুখীন করতে হাসিনাকে দেশে আনার প্রক্রিয়া চালাবে ঢাকা : দ্য হিন্দুকে ড. ইউনূস গাসিক সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র পলায়নকালে সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার বাবাকে না পেয়ে ছেলেকে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ এসআই সজিবের বিরুদ্ধে বাগেরহাটে জেলা বিএনপি'র আহবায়ক ও সদস্য সচিব এর বিরুদ্ধে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের সংবাদ সম্মেলন

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ চালাবে: মির্জা ফখরুল

#
news image

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছি যে, নির্বাচিত হয়ে আসলে আমরা একা দেশ চালাবো না। আমরা একটা জাতীয় সরকার গঠন করে যারা আমাদের সাথে আন্দোলন করেছে তাদেরকে নিয়ে দেশ চালাবো।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।  

সরকারের সাফল্য মানে জনগণের অর্থাৎ গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য এ কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘আমরা তো চাই সরকার সাফল্য অর্জন করুক, তাদের সাফল্য মানে আমাদের সাফল্য। তারা ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হবো। আমরা চাই না শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসুক। আমরা চাই না আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আবার ফিরে আসুক।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা, গণতন্ত্রের জন্য স্পেস তৈরি করা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তো আমরা সংস্কারের ৩১ দফা তুলে ধরেছি। এখন নতুন যারা আসছেন তারা একেকজন একেক কথা বলে যাচ্ছেন।’ 

মির্জা ফখরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারে যারা আছেন, তারা তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। আসলে রাজনীতি তো একটি সায়েন্স, এজন্যই তো বলা হয় পলিটিক্যাল সায়েন্স। বিএনপি কী ক্ষমতার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে? না তা নয়, আসলে দ্রুত নির্বাচন দিলেই দেশের অনেক সমস্যায় সমাধান হয়ে যাবে।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সোমবারের আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব প্রশ্নোচ্ছলে বলেন, সরকারের ইন্টেলিজেন্সের ভেতরে কী কোনও তথ্য ছিল না ? তারা কী এর ব্যবস্থা আগে নিতে পারতেন না? আসলে এই গভর্নমেন্ট এখনও স্ট্যাবল হতে পারেনি। তাই বলছি, ‘নির্বাচন কমিশন ঠিক করে নির্বাচন দেন, একটি রোডম্যাপ ঘোষণা দেন, কবে কী করবেন জানান। তাহলে মানুষের মনে আস্থা আসবে।’ 

তিনি বলেন,‘সরকার থেকে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। তবে আমি বলতে চাই, যেকোনও একদিকে ফোকাস দিন। পুলিশ প্রশাসন,নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন। বাকি সংস্কারগুলো নির্বাচিত হয়ে যারা আসবেন তারা করবে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএসপিপি’র আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, ড্যাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. আজিজুল হক, ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশীদ, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

২০ নভেম্বর, ২০২৪,  4:31 AM

news image
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছি যে, নির্বাচিত হয়ে আসলে আমরা একা দেশ চালাবো না। আমরা একটা জাতীয় সরকার গঠন করে যারা আমাদের সাথে আন্দোলন করেছে তাদেরকে নিয়ে দেশ চালাবো।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।  

সরকারের সাফল্য মানে জনগণের অর্থাৎ গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য এ কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘আমরা তো চাই সরকার সাফল্য অর্জন করুক, তাদের সাফল্য মানে আমাদের সাফল্য। তারা ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হবো। আমরা চাই না শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসুক। আমরা চাই না আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আবার ফিরে আসুক।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা, গণতন্ত্রের জন্য স্পেস তৈরি করা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তো আমরা সংস্কারের ৩১ দফা তুলে ধরেছি। এখন নতুন যারা আসছেন তারা একেকজন একেক কথা বলে যাচ্ছেন।’ 

মির্জা ফখরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারে যারা আছেন, তারা তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। আসলে রাজনীতি তো একটি সায়েন্স, এজন্যই তো বলা হয় পলিটিক্যাল সায়েন্স। বিএনপি কী ক্ষমতার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে? না তা নয়, আসলে দ্রুত নির্বাচন দিলেই দেশের অনেক সমস্যায় সমাধান হয়ে যাবে।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সোমবারের আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব প্রশ্নোচ্ছলে বলেন, সরকারের ইন্টেলিজেন্সের ভেতরে কী কোনও তথ্য ছিল না ? তারা কী এর ব্যবস্থা আগে নিতে পারতেন না? আসলে এই গভর্নমেন্ট এখনও স্ট্যাবল হতে পারেনি। তাই বলছি, ‘নির্বাচন কমিশন ঠিক করে নির্বাচন দেন, একটি রোডম্যাপ ঘোষণা দেন, কবে কী করবেন জানান। তাহলে মানুষের মনে আস্থা আসবে।’ 

তিনি বলেন,‘সরকার থেকে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। তবে আমি বলতে চাই, যেকোনও একদিকে ফোকাস দিন। পুলিশ প্রশাসন,নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন। বাকি সংস্কারগুলো নির্বাচিত হয়ে যারা আসবেন তারা করবে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএসপিপি’র আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, ড্যাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. আজিজুল হক, ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশীদ, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।