ঢাকা ০২ জুন, ২০২৫
শিরোনামঃ
ডিমলায় কৃষকদের নিয়ে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির নেতা মনির সিকদার পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্রমিকদল নেতা লিটন হোসেন কুমিল্লায় ঘূর্ণিঝড়ে ৬২টি ট্রান্সফর্মার বিকল সুনামগঞ্জে অবৈধ ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে টাস্কফোর্স  ইউনিয়ন পরিষদে কার্ড বিতরণ কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জামাত কর্মীসহ আহত চার ‘সংস্কারের কথা বলছেন, সংস্কার করছেন না কেন?':-সেলিনা রহমান  ফটিকছড়িতে কোরবানী পশুর চামড়া সংগ্রহ সংক্রান্ত জরুরী সভা তেঁতুলিয়ায় হারভেস্টারে ধান কর্তনে সরকারি মূল্য বলতে পারছেন না কৃষি অফিসের কেউ ! গাজীপুর সাইনবোর্ড এলাকায় পানি পান করে শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ 

মুছাপুর  উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে'র  বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে  তদন্ত কমিটি গঠন

#
news image

নোয়াখালী জেলাধীন  কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার   মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল ফাররাহ'র মিলন বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, বিনা রশিদের অর্থ আদায় করে টাকা আত্মসাৎ,রেজিস্ট্রেশনে অতিরিক্ত টাকা আদায়,  প্রশংসা পত্র বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা, দাম্বিকতা,বিগত সরকার আমলে  রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোরসহ নানা  দুর্নীতির অভিযোগ, ৪ সদস্যের তদন্ত  কমিটি গঠন। 
 
উপকূলীয় এলাকায় ১৯৭২ সালে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা  নুরনবী কমাণ্ডার ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একরামুল হক মিয়া'র হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুছাপুর  উচ্চ বিদ্যালয়। এখন দুর্নীতির স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থ আত্মসাৎ নানান অনিয়ম জর্জরিত  আর এ সকল অনিয়ম দুর্নীতির হেডমাস্টার হলেন আবুল ফাররাহ  মিলন।
 
অভিযোগ রয়েছে, তিনি অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ২০১৬ সালে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগপান। এরপর থেকে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনিয়মের চাদরে ঢেকে রেখেছেন। 
 
তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শাসনামলে  স্থানীয়  নেতা কর্মীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়মকে নিয়ম করে বেআইনিভাবে প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র শিক্ষকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অনিয়ম- তান্ত্রিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করে যাচ্ছেন।হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার  টাকা। গত ২৮  এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে  ১১টি অভিযোগ পান।  অভিযোগের অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি ভ্যাবেচেকা খেয়েছেন এবং কোথাও কোথাও প্রশ্ন এড়িয়েও গেছেন সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি এই প্রধান শিক্ষক। 
 
অভিযোগ গুলো হলো, বিগত সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে মুছাপুর  উচ্চ বিদ্যালয়'র প্রশাসকের (সভাপতি) দায়িত্ব পান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তার সাথে কোন যোগাযোগ না করে নির্বাহী অফিসার স্বাক্ষর ছাড়া প্রধান শিক্ষক নিজেই তার মতো করে স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যদিয়ে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যাহা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত।
 
২০২৩ সাল থেকে ২৪ সালের মধ্যে মাত্র চারটি সভা করেছেন। ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ম্যানেজিং কমিটি/ অ্যাডহক কমিটির কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি,২০২৩ সালের জুলাই মাসে 'পিবিজিএসআই ' প্রকল্পের ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে এক লক্ষ টাকা শিক্ষকবৃন্দের প্রণোদনার বরাদ্দ করা টাকা কোন মাস্টার রোল দেখাতে পারেননি,অপরদিকে পিজিএসআই' প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ব্যয় করা ৩০ হাজার টাকার বইপত্র, ৪০ হাজার টাকার লাইব্রেরীর জন্য পাঠক টেবিল, ৫০ হাজার টাকার  সেক্রেটারিয়েট টেবিল,৩০হাজার  টাকার বুক সেলফ,ছাত্রী কমনরুমে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকার জিনিসপাতি  ক্রয় দেখালেও দুটি ফ্যান  ছাড়া কোন আসবাবপত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মূলত এই টাকা আত্মসাৎ করার   অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
অপর দিকে পিজিবিএসআই'প্রকল্পের ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিল বাউচার দোখাতে প্রধান শিক্ষক  ব্যর্থ হন। ২০২১- ২০২২অর্থ বছরে জেলা পরিষদ থেকে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পায় অভিযোগ উঠেছে ৮টি জোড়া ব্যঞ্চ  ক্রয় করে অন্য খাতে খরচ দেখিয়ে  বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন এমনও অভিযোগ পাওয়া যায়। 
 
এদিকে, ক্যাশ বুকের একটি অংশের সভাপতি স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক'র স্বাক্ষর ছাড়া সভাপতির স্বাক্ষরের কোন নমুনা দেখা যায়নি। এমনকি শিক্ষক কর্মচারীদের  বেতন -ভাতা প্রদান বহিতে  সভাপতি স্বাক্ষর ছাড়া  তিনি প্রধান শিক্ষক নিজেই স্বাক্ষর করে খরচ করেছেন।
 
সূত্রেজানা গেছে ব্যাংক হিসাব চেক  বহি রেজিস্টারে ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখের পর থেকে কোন ইস্যুকৃত চেক  লিপিবদ্ধ না করারও অভিযোগ রয়েছে। দুটি কম্পিউটার ল্যাব চলমান থাকা সত্ত্বেও  হাজার হাজার টাকার ফটোকপি বিল, বিদ্যালয়ের নিজস্ব ৩৪ টি দোকান ঘর ভাড়া থাকলেও ভাড়া বাবদ টাকা,ষষ্ঠ থেকে নবম  শ্রেণীর পর্যন্ত প্রতি ছাত্র ছাত্রী কাছ থেকে ৫শ' টাকা করে হাতিয়ে নিলেও সঠিক হিসাব না থাকার অভিযোগ রয়েছে। 
 
বিগত ৮ বছর এসএসসি পরীক্ষায়  উত্তীর্ণ প্রতি ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে কোন রশিদ ছাড়া প্রশংসা পত্র বাবদ ৫শ' টাকা করে নেয়ার প্রমণ রয়েছে। এসএসসি ফরম ফিলাপ ববাদ ছাত্র-ছাত্রী ২ হাজার  ৫ শত টাকা করে নেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড ফি দেওয়ার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদেরকে ৫শ' টাকা ডেপুটেশন ভাতা দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা তিনি ভঙ্গ করেছেন বলে এমন অভিযোগ রয়েছে। এই টাকা কোথায় আছে আজও কোন শিক্ষক বলতে পারেন না। বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষককে তাঁর  ভাতার টাকা না দিয়ে  প্রধান শিক্ষক  কোথায় খরচ করেন  তার পছন্দের এক শিক্ষক ছাড়া কেউ জানেন না।  সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্ব-প্রধানের পদে তার পছন্দের  জুনিয়র সহকারী শিক্ষক নুরুল্লাকে বসানো হয় পরে সিনিয়র শিক্ষকরা   প্রতিবাদ করলে তাকে ওই পদ  থেকে অপসারণ করা হয়।
তার পছন্দের সহকারী  শিক্ষকরা অনেক সময়ে  ছুটি না নিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়েও পর দিন  একসাথে অনুপস্থিতি দিনগুলির স্বাক্ষর করার সুযোগ করে দেন অনিয়মকারী এই প্রধান শিক্ষক।
আরো অভিযোগ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে প্রতি সপ্তাহে এক জন প্রধান শিক্ষক১০/১২টি ক্লাস নেয়ার নিয়ম থাকলে ও  প্রধান শিক্ষক আাবুল ফাররাহ ক্লাস রুটিনে নাম আছে কিন্তু,  দুইটি  ক্লাস ছাড়া অন্য দিন গুলিতে অনপুস্থিত থাকেন। 
আরো অভিযোগ রয়েছে, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকদের শ্রেণী কক্ষে ক্লাস না দিয়ে পছন্দের শিক্ষকদের  দিয়ে ক্লাস নেন। যেমন ধর্মীয়  শিক্ষক দিয়ে নবম -দশম শ্রেনীর ইংরেজি, অঙ্কের ক্লাস নিয়ে থাকেন। এতে করে দেখা গেছে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদানে ব্যহত হলেও  ওই শিক্ষককে ফাইভেট পড়ানোর সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছেন। বিগত ৮ বছরের মধ্যে কোন অভিবাবক সমাবেশ করতে পারেননি  এমন কি চেষ্টাও করেন নি।
তার মধ্যে এতোই দাম্ভিকতা বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অবসর যাওয়ার সময়ে কোন শিক্ষককে সুন্দর ভাবে বিদায় দেননি। কোন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক'র ভাগ্যে জুটেনি বিদায়ী সন্মান ও আনুষ্ঠানিকতা।
 
ফলে,সকল অনিয়মের বিষদভাবে তদন্তের জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিনার (ভূমি) ম্যাজিস্ট্রেট কে প্রধান,  উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উপজেলা আইটি অফিসার ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক, কোম্পানীগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষককে সদস্য করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।এবং তদন্ত কমিটিকে ২০ কার্যদিবস'র মধ্যে মতামতসহ -তদন্ত প্রতিবেদন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার'র নিকট দাখিল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। 
 
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবুল ফাররাহ'র  সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন কথা বলবোনা স্যারের( ইউএনও)  তদন্ত কমিটিতে দেখা যাবে।

মোহাম্মদ উল্যা, কোম্পানীগঞ্জ :

২২ মে, ২০২৫,  7:53 PM

news image

নোয়াখালী জেলাধীন  কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার   মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল ফাররাহ'র মিলন বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, বিনা রশিদের অর্থ আদায় করে টাকা আত্মসাৎ,রেজিস্ট্রেশনে অতিরিক্ত টাকা আদায়,  প্রশংসা পত্র বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা, দাম্বিকতা,বিগত সরকার আমলে  রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোরসহ নানা  দুর্নীতির অভিযোগ, ৪ সদস্যের তদন্ত  কমিটি গঠন। 
 
উপকূলীয় এলাকায় ১৯৭২ সালে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা  নুরনবী কমাণ্ডার ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একরামুল হক মিয়া'র হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুছাপুর  উচ্চ বিদ্যালয়। এখন দুর্নীতির স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থ আত্মসাৎ নানান অনিয়ম জর্জরিত  আর এ সকল অনিয়ম দুর্নীতির হেডমাস্টার হলেন আবুল ফাররাহ  মিলন।
 
অভিযোগ রয়েছে, তিনি অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ২০১৬ সালে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগপান। এরপর থেকে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনিয়মের চাদরে ঢেকে রেখেছেন। 
 
তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শাসনামলে  স্থানীয়  নেতা কর্মীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়মকে নিয়ম করে বেআইনিভাবে প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র শিক্ষকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অনিয়ম- তান্ত্রিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করে যাচ্ছেন।হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার  টাকা। গত ২৮  এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে  ১১টি অভিযোগ পান।  অভিযোগের অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি ভ্যাবেচেকা খেয়েছেন এবং কোথাও কোথাও প্রশ্ন এড়িয়েও গেছেন সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি এই প্রধান শিক্ষক। 
 
অভিযোগ গুলো হলো, বিগত সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে মুছাপুর  উচ্চ বিদ্যালয়'র প্রশাসকের (সভাপতি) দায়িত্ব পান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তার সাথে কোন যোগাযোগ না করে নির্বাহী অফিসার স্বাক্ষর ছাড়া প্রধান শিক্ষক নিজেই তার মতো করে স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যদিয়ে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যাহা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত।
 
২০২৩ সাল থেকে ২৪ সালের মধ্যে মাত্র চারটি সভা করেছেন। ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ম্যানেজিং কমিটি/ অ্যাডহক কমিটির কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি,২০২৩ সালের জুলাই মাসে 'পিবিজিএসআই ' প্রকল্পের ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে এক লক্ষ টাকা শিক্ষকবৃন্দের প্রণোদনার বরাদ্দ করা টাকা কোন মাস্টার রোল দেখাতে পারেননি,অপরদিকে পিজিএসআই' প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ব্যয় করা ৩০ হাজার টাকার বইপত্র, ৪০ হাজার টাকার লাইব্রেরীর জন্য পাঠক টেবিল, ৫০ হাজার টাকার  সেক্রেটারিয়েট টেবিল,৩০হাজার  টাকার বুক সেলফ,ছাত্রী কমনরুমে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকার জিনিসপাতি  ক্রয় দেখালেও দুটি ফ্যান  ছাড়া কোন আসবাবপত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মূলত এই টাকা আত্মসাৎ করার   অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
অপর দিকে পিজিবিএসআই'প্রকল্পের ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিল বাউচার দোখাতে প্রধান শিক্ষক  ব্যর্থ হন। ২০২১- ২০২২অর্থ বছরে জেলা পরিষদ থেকে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পায় অভিযোগ উঠেছে ৮টি জোড়া ব্যঞ্চ  ক্রয় করে অন্য খাতে খরচ দেখিয়ে  বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন এমনও অভিযোগ পাওয়া যায়। 
 
এদিকে, ক্যাশ বুকের একটি অংশের সভাপতি স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক'র স্বাক্ষর ছাড়া সভাপতির স্বাক্ষরের কোন নমুনা দেখা যায়নি। এমনকি শিক্ষক কর্মচারীদের  বেতন -ভাতা প্রদান বহিতে  সভাপতি স্বাক্ষর ছাড়া  তিনি প্রধান শিক্ষক নিজেই স্বাক্ষর করে খরচ করেছেন।
 
সূত্রেজানা গেছে ব্যাংক হিসাব চেক  বহি রেজিস্টারে ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখের পর থেকে কোন ইস্যুকৃত চেক  লিপিবদ্ধ না করারও অভিযোগ রয়েছে। দুটি কম্পিউটার ল্যাব চলমান থাকা সত্ত্বেও  হাজার হাজার টাকার ফটোকপি বিল, বিদ্যালয়ের নিজস্ব ৩৪ টি দোকান ঘর ভাড়া থাকলেও ভাড়া বাবদ টাকা,ষষ্ঠ থেকে নবম  শ্রেণীর পর্যন্ত প্রতি ছাত্র ছাত্রী কাছ থেকে ৫শ' টাকা করে হাতিয়ে নিলেও সঠিক হিসাব না থাকার অভিযোগ রয়েছে। 
 
বিগত ৮ বছর এসএসসি পরীক্ষায়  উত্তীর্ণ প্রতি ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে কোন রশিদ ছাড়া প্রশংসা পত্র বাবদ ৫শ' টাকা করে নেয়ার প্রমণ রয়েছে। এসএসসি ফরম ফিলাপ ববাদ ছাত্র-ছাত্রী ২ হাজার  ৫ শত টাকা করে নেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড ফি দেওয়ার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদেরকে ৫শ' টাকা ডেপুটেশন ভাতা দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা তিনি ভঙ্গ করেছেন বলে এমন অভিযোগ রয়েছে। এই টাকা কোথায় আছে আজও কোন শিক্ষক বলতে পারেন না। বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষককে তাঁর  ভাতার টাকা না দিয়ে  প্রধান শিক্ষক  কোথায় খরচ করেন  তার পছন্দের এক শিক্ষক ছাড়া কেউ জানেন না।  সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্ব-প্রধানের পদে তার পছন্দের  জুনিয়র সহকারী শিক্ষক নুরুল্লাকে বসানো হয় পরে সিনিয়র শিক্ষকরা   প্রতিবাদ করলে তাকে ওই পদ  থেকে অপসারণ করা হয়।
তার পছন্দের সহকারী  শিক্ষকরা অনেক সময়ে  ছুটি না নিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়েও পর দিন  একসাথে অনুপস্থিতি দিনগুলির স্বাক্ষর করার সুযোগ করে দেন অনিয়মকারী এই প্রধান শিক্ষক।
আরো অভিযোগ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে প্রতি সপ্তাহে এক জন প্রধান শিক্ষক১০/১২টি ক্লাস নেয়ার নিয়ম থাকলে ও  প্রধান শিক্ষক আাবুল ফাররাহ ক্লাস রুটিনে নাম আছে কিন্তু,  দুইটি  ক্লাস ছাড়া অন্য দিন গুলিতে অনপুস্থিত থাকেন। 
আরো অভিযোগ রয়েছে, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকদের শ্রেণী কক্ষে ক্লাস না দিয়ে পছন্দের শিক্ষকদের  দিয়ে ক্লাস নেন। যেমন ধর্মীয়  শিক্ষক দিয়ে নবম -দশম শ্রেনীর ইংরেজি, অঙ্কের ক্লাস নিয়ে থাকেন। এতে করে দেখা গেছে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদানে ব্যহত হলেও  ওই শিক্ষককে ফাইভেট পড়ানোর সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছেন। বিগত ৮ বছরের মধ্যে কোন অভিবাবক সমাবেশ করতে পারেননি  এমন কি চেষ্টাও করেন নি।
তার মধ্যে এতোই দাম্ভিকতা বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অবসর যাওয়ার সময়ে কোন শিক্ষককে সুন্দর ভাবে বিদায় দেননি। কোন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক'র ভাগ্যে জুটেনি বিদায়ী সন্মান ও আনুষ্ঠানিকতা।
 
ফলে,সকল অনিয়মের বিষদভাবে তদন্তের জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিনার (ভূমি) ম্যাজিস্ট্রেট কে প্রধান,  উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উপজেলা আইটি অফিসার ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক, কোম্পানীগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষককে সদস্য করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।এবং তদন্ত কমিটিকে ২০ কার্যদিবস'র মধ্যে মতামতসহ -তদন্ত প্রতিবেদন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার'র নিকট দাখিল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। 
 
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবুল ফাররাহ'র  সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন কথা বলবোনা স্যারের( ইউএনও)  তদন্ত কমিটিতে দেখা যাবে।