ফটিকছড়িতে হাইওয়ে পুলিশের ব্যাপক চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ চালক ও যাত্রীরা

কামাল উদ্দীন চৌধুরী, ফটিকছড়িঃ
২২ মে, ২০২৫, 7:38 PM

ফটিকছড়িতে হাইওয়ে পুলিশের ব্যাপক চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ চালক ও যাত্রীরা
ফটিকছড়িতে নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।যত্র-তত্র যখন-তখন গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ বাস, ট্রাক, মাইক্রো, সিএনজি, নছিমন, করিমনসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা।
প্রায় প্রতিদিনই রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখার নাম করে এসব চাঁদাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ চালকদের।
অভিযোগে জানা যায়, প্রতিনিয়ত নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি দল চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি মহাসড়কের কোন না কোন এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে কাগজ পত্র তল্লাশীর নামে গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করে থাকে। এছাড়াও হাইওয়ে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী দূরপাল্লার পরিবহন ও কাগজ পত্র বিহীন গাড়িগুলোর সাথে রয়েছে হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ চুক্তি। তবে যেসব গাড়ি চুক্তির আওতায় নেই সেই সব গাড়িগুলো আটক করে মামলা দেয়া যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে।
সড়কে চলাচলকারী একাধিক চালক জানান, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের পেলাকাজি দিঘী, চামার দিঘী, বাঘমারা পুকুর, ডলু নয়া বাজার, নাজিরহাট নতুন রাস্তা, সরকারহাটসহ একাধিক স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে প্রতিনিয়ত গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করে এই হাইওয়ে পুলিশের দল।
রাস্তায় যানজট নিরসন, মহাসড়কে ডাকাতি ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশের নির্দিষ্ট দায়িত্ব থাকলেও দিনের অধিকাংশ সময় তারা ব্যস্ত থাকে চেক পোস্ট বসিয়ে চাঁদাবাজিতে।
সরেজমিনে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগমারা পুকুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পোশাক পরা অবস্থায় হাইওয়ে পুলিশের একটি টীম মুল সড়কের উপর অবস্থান নিয়েছে। এ সময় একটি ট্রাক থামিয়ে চালক থেকে চাঁদা নিচ্ছে একজন কনেস্টেবল।এসময় সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাক চালক বলেন, গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও চা নাস্তা খাওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবী করে হাইওয়ে পুলিশ। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। মামলার ভয়ে বাধ্য হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়।
বেশ কয়েকজন অটোরিকশা চালক জানান, আমরা গরীব ও অসহায় মানুষ। অটোরিকশা চালিয়ে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করি বলে হাইওয়ে পুলিশকে প্রতিমাসে চাঁদা দিতে হয়। টাকা না দিলে গাড়ি আটক করে মামলার ভয় দেখায়।
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবু এখলাস ঝিনুক বলেন, নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চালক ও সাধারণ মানুষরা ক্ষুব্ধ। তারা যানজট নিরসনের দায়িত্ব পালন না করে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাড়ির কাগজপত্র চেক করার নামে হয়রানি ও চাঁদাবাজী করে বলে জানতে পেরেছি।
অন্যদিকে মহাসড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান নাজিরহাট ঝংকার মোড় ও বিবিরহাট বাস স্টেশনে প্রতিনিয়ত যানজটে নাকাল থাকলেও হাইওয়ে পুলিশের কার্যকরী ভূমিকা চোখে পড়েনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি মোঃ শাহাবুদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দায়িত্ব পালনে আমরা সবসময় সচেষ্ট। দায়িত্ব পালনকালে হাইওয়ে পুলিশের কারো বিরুদ্ধে যদি চাঁদাবাজির প্রমান পাই, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসব হয়রানি ও চাঁদাবাজীর বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
কামাল উদ্দীন চৌধুরী, ফটিকছড়িঃ
২২ মে, ২০২৫, 7:38 PM

ফটিকছড়িতে নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।যত্র-তত্র যখন-তখন গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ বাস, ট্রাক, মাইক্রো, সিএনজি, নছিমন, করিমনসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা।
প্রায় প্রতিদিনই রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখার নাম করে এসব চাঁদাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ চালকদের।
অভিযোগে জানা যায়, প্রতিনিয়ত নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি দল চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি মহাসড়কের কোন না কোন এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে কাগজ পত্র তল্লাশীর নামে গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করে থাকে। এছাড়াও হাইওয়ে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী দূরপাল্লার পরিবহন ও কাগজ পত্র বিহীন গাড়িগুলোর সাথে রয়েছে হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ চুক্তি। তবে যেসব গাড়ি চুক্তির আওতায় নেই সেই সব গাড়িগুলো আটক করে মামলা দেয়া যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে।
সড়কে চলাচলকারী একাধিক চালক জানান, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের পেলাকাজি দিঘী, চামার দিঘী, বাঘমারা পুকুর, ডলু নয়া বাজার, নাজিরহাট নতুন রাস্তা, সরকারহাটসহ একাধিক স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে প্রতিনিয়ত গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করে এই হাইওয়ে পুলিশের দল।
রাস্তায় যানজট নিরসন, মহাসড়কে ডাকাতি ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশের নির্দিষ্ট দায়িত্ব থাকলেও দিনের অধিকাংশ সময় তারা ব্যস্ত থাকে চেক পোস্ট বসিয়ে চাঁদাবাজিতে।
সরেজমিনে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগমারা পুকুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পোশাক পরা অবস্থায় হাইওয়ে পুলিশের একটি টীম মুল সড়কের উপর অবস্থান নিয়েছে। এ সময় একটি ট্রাক থামিয়ে চালক থেকে চাঁদা নিচ্ছে একজন কনেস্টেবল।এসময় সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাক চালক বলেন, গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও চা নাস্তা খাওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবী করে হাইওয়ে পুলিশ। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। মামলার ভয়ে বাধ্য হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়।
বেশ কয়েকজন অটোরিকশা চালক জানান, আমরা গরীব ও অসহায় মানুষ। অটোরিকশা চালিয়ে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করি বলে হাইওয়ে পুলিশকে প্রতিমাসে চাঁদা দিতে হয়। টাকা না দিলে গাড়ি আটক করে মামলার ভয় দেখায়।
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবু এখলাস ঝিনুক বলেন, নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চালক ও সাধারণ মানুষরা ক্ষুব্ধ। তারা যানজট নিরসনের দায়িত্ব পালন না করে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাড়ির কাগজপত্র চেক করার নামে হয়রানি ও চাঁদাবাজী করে বলে জানতে পেরেছি।
অন্যদিকে মহাসড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান নাজিরহাট ঝংকার মোড় ও বিবিরহাট বাস স্টেশনে প্রতিনিয়ত যানজটে নাকাল থাকলেও হাইওয়ে পুলিশের কার্যকরী ভূমিকা চোখে পড়েনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি মোঃ শাহাবুদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দায়িত্ব পালনে আমরা সবসময় সচেষ্ট। দায়িত্ব পালনকালে হাইওয়ে পুলিশের কারো বিরুদ্ধে যদি চাঁদাবাজির প্রমান পাই, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসব হয়রানি ও চাঁদাবাজীর বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।