ঢাকা ০৪ জুন, ২০২৫

কক্সবাজারে কলেজ ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু: গলায় ফাঁস, হাঁটু গেড়ে ছিল মেঝেতে

#
news image

কক্সবাজারের হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের হোস্টেলের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে হারুনুর রশিদ মনির চৌধুরী (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে সদর উপজেলার উত্তর ডিক্কুল এলাকার ওই হোস্টেল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান।

নিহত মনির উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া গ্রামের মুজিবুল হক চৌধুরীর ছেলে এবং হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, মনিরের মরদেহটি হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় একটি লোহার রডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক আহমদ বলেন, "আমি খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখি, মনিরের মরদেহ লোহার রডের সঙ্গে ফাঁস লাগানো, অথচ আশপাশে কোনো টুল বা টেবিল পড়ে নেই। এমনকি রডে থাকা মাকড়সার জালও অক্ষত ছিল।"

তিনি দাবি করেন, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

মনিরের চাচাতো ভাই ও উখিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সুলতান আহমদ চৌধুরী বলেন, "আমাদের ধারণা, মনিরকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পরে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দিই, পরে পুলিশ তদন্ত করে মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।"

এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা মনিরের মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে উল্লেখ করছেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

ওসি ইলিয়াস খান বলেন, "মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি আত্মহত্যা, নাকি হত্যাকাণ্ড—তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে জানা যাবে। আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।"

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

১৬ মে, ২০২৫,  12:22 AM

news image

কক্সবাজারের হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের হোস্টেলের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে হারুনুর রশিদ মনির চৌধুরী (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে সদর উপজেলার উত্তর ডিক্কুল এলাকার ওই হোস্টেল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান।

নিহত মনির উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া গ্রামের মুজিবুল হক চৌধুরীর ছেলে এবং হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, মনিরের মরদেহটি হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় একটি লোহার রডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক আহমদ বলেন, "আমি খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখি, মনিরের মরদেহ লোহার রডের সঙ্গে ফাঁস লাগানো, অথচ আশপাশে কোনো টুল বা টেবিল পড়ে নেই। এমনকি রডে থাকা মাকড়সার জালও অক্ষত ছিল।"

তিনি দাবি করেন, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

মনিরের চাচাতো ভাই ও উখিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সুলতান আহমদ চৌধুরী বলেন, "আমাদের ধারণা, মনিরকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পরে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দিই, পরে পুলিশ তদন্ত করে মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।"

এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা মনিরের মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে উল্লেখ করছেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

ওসি ইলিয়াস খান বলেন, "মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি আত্মহত্যা, নাকি হত্যাকাণ্ড—তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে জানা যাবে। আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।"