রংপুরে পঁচিশ ধরনের আঙুর চাষ করে তাক লাগিয়ে দিলেন মাসুদ তালুকদার

শাকিল আহমেদ, রংপুর :
০৬ মে, ২০২৫, 11:46 PM

রংপুরে পঁচিশ ধরনের আঙুর চাষ করে তাক লাগিয়ে দিলেন মাসুদ তালুকদার
বাঁশ ও প্যারাসুট সুতা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতির মাঝায় ঝুলে আছে থোকা থোকা মিষ্টি আঙুর। সবুজ পাতার মাঝে উঁকি দিচ্ছে কোথাও লম্বা, কোথাও গোলাকার, আবার কোথাও হালকা বাদামি হলুদ-সবুজ রঙের মিশ্রণের আঙুর। আর মাস খানেক পরেই মে মাসের শেষে অথবা জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এসব আঙুর খেতে কোনোটা মিষ্টি আবার কোনোটা হালকা টক-মিষ্টি হবে। এসব আঙুর দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও বেশ মজার। মানুষের চলাচল সড়কের পাশে আঙুরের এই বাগান দেখলে যে কারোরই দৃষ্টি আটকে যায় বাগানের দিকে। আগে মানুষের ধারণা ছিল, আঙুর একটি বিদেশি ফল, এ দেশে চাষ সম্ভব নয় সেই সাথে চাষ করলে হয় টক। কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে দিয়ে মিষ্টি আঙুর চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রংপুরে পীরগঞ্জে’র রামনাথপুর ইউপি’র খেজমতপুর তালুকদার পাড়ার তাজিম উদ্দিনের ছেলে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মাসুদ তালুকদার।
তিন বছর আগে নিজের বাগান বাড়িতে ২৭শতক জমির উপড় বাণিজ্যিকভাবে রাশিয়ান বাইকুনুর, এ্যাকোলো, ইতালির ব্লাক মেজিক, ভারতের ভিএসসি, কৃষ্ণা সহ ৩৫টি জাতের আঙুর চাষ করেন তিনি। তার বাগানে গেলেই দেখা মিলবে মাঝায় ঝুলে আছে থোকা থোকা আঙুর। প্রতিদিন অনেকেই তার বাগান দেখতে আসেন। গত বছর প্রথম বারের মতো ফল আসে, সেই ফল প্রতিবেশি ও দর্শনার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাক লাগিয়ে দেন। এ বছর পর্যাপ্ত ফল ধরেছে। ফল বিক্রি করে ভাল মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।
মাসুদ তালুকদার দেখিয়ে দিয়েছেন, মনোবল, উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা থাকলে দেশের মাটিতে বিদেশি ফল চাষ করে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভ করা সম্ভব। পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই আঙুর উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী ও উন্নতমানের এ জাতের আঙুর চাষে কোনো কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না। কেবলমাত্র গোবর বা জৈব সার ও পোকা-মাকড় মারার জন্য ভারমিটেক ব্যবহার করেই এ ফল চাষ করা যায়। তাই ফসলে জৈব-বালাইনাশক ব্যবহারের জন্য কৃষি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ সৃষ্টি করানো হচ্ছে। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
মাসুদ তালুকদার দৈনিক পল্লী বাংলাকে জানান, গেল দুই বছর আগে ৩৫ জাতের আঙুরের চারা সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরেই আঙুর চাষে সফলতা পেয়েছেন। এ বছর বাগানে ২৫ জাতের গাছ রয়েছে। এর মধ্যে বাইকুনুর, এ্যাকোলো, ব্লাক মেজিক, কৃষ্ণা, গ্রিণ লং, অস্ট্রেলিয়ান ১২ মাসি, চয়ন, সুপার সোনাকা, ছমছম সহ ১০/১২ টি জাতের আঙুরের ফলন ভালো। এর মধ্যে রাশিয়ান বাইকুনুর জাতটি সবচেয়ে ভালো এবং ভালো ফলন হয়েছে। এ জাতটি দেশের আবহাওয়া ও চাষের পরিবেশ উপযোগী বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, ২৭ শতাংশ নিজস্ব জমি ৩৫ জাতের আঙুর চাষ করি। এরমধ্যে গবেষণা করে রাশিয়ান বাইকুনুর জাতসহ ১০/১২টি জাতের আঙুরের ভালো ফলন ও ভালো স্বাদ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই। চারা রোপনের তিন মাস পর ফল এসেছে। এছাড়াও বাগানে চাইনিজ মিষ্টি কমলা, ছাদকি কমলা, ১২ মাসি ভিয়েতনাম মাল্টা, আফ্রিকান হলুদ মাল্টা, পাকিস্থানি, দার্জিলিং সহ ১৫ জাতের মাল্টা, কমলা, কাশ্মেরি কেনু, ত্বীন ফল, ৭ জাতের সৌদি খেজুর, ১২ মাসি কাঁঠাল, ছফেদা, আপেল, ১২ মাসি কাটিমন আম, রামবুটান, জাবুটি কাবা, ৪ জাতের ড্রাগন, ৪ জাতের পেঁপে, বড়াই সহ প্রায় ২৫ প্রকার ফলের গাছ রয়েছে ওই বাগানে। সাথি ফসল হিসেবে এই বাগান থেকে ১১০০ বস্তা আদা ও প্রায় ৭৫ মন পেঁপে বিক্রি করে আয় করেছে কয়েক লাখ টাকা। এখন প্রতিনিয়ত আঙ্গুর, ত্বীন ফল, মাল্টা, কমলার চারা বিক্রিতে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি। প্রায় এক মাস পর ফল বিক্রি শুরু হবে। তার মতে, রোপণ থেকে গাছের বয়স এক বছর হলে পরিপূর্ণভাবে আঙুর ফল বাজারজাত করা সম্ভব। প্রতিটি গাছে কমপক্ষে ১৫/১৮ কেজি করে ফল পাওয়া যাবে। সে হিসাবে ৫০টি গাছে কমপক্ষে ৭৫০ কেজি ফল পাওয়া যাবে। বাজার মূল্য গড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে হিসাব করলে যার আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, ২৭ শতাংশ জমিতে আঙুর চাষ করতে গিয়ে গাছের চারা, মাচা, পরিচর্যাসহ সব মিলিয়ে খরচ পড়েছে এক লাখ ১০ হাজার টাকা। আঙুর বাগানে যে পরিমাণ ফল এসেছে এবং বর্তমান যা বাজার মূল্য, তাতে আনুমানিক ২ থেকে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব।
আঙুরের পাশাপাশি তিনি চারা করেও বাজারজাত করছেন। এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তার আঙুর বাগান দেখতে স্থানীয়সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এসে ভিড় করছেন। বাগানে আগত সামর্থহীন লোকজনকে তিনি বিনামূল্যে আঙুর চারা দিচ্ছেন।
এদিকে আঙুর বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থীরা ঝুলন্ত ফল উপভোগ করে অভিভুত হচ্ছেন এবং অনেকেই চাষের উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। প্রভাষক ইমরান মাসুদের আঙুর বাগানে থোকা থোকা ফল দেখে অবাক হয়েছেন তিনি। গত বছর খেয়েছেন তিনি। বাজার থেকে কেনা আঙুর আর এখানকার আঙুরের স্বাদ প্রায় একই বলে জানান তিনি। তাই আঙুর বাগান করার ইচ্ছে আছে তার। এখান থেকে চারা সংগ্রহ করে নিজেই একটি আঙুর বাগান করবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান দৈনিক পল্লী বাংলাকে জানান, আঙুর একটি উচ্চমূল্যের বাণিজ্যিক আমদানি নির্ভর ফসল, উদ্যোগি কৃষক মাসুদ তালুকদারের আঙুর ফল চাষ এই এলাকার অন্যান্য কৃষকদের নতুন নতুন ফল চাষাবাদে উৎসাহিত করবে।
শাকিল আহমেদ, রংপুর :
০৬ মে, ২০২৫, 11:46 PM

বাঁশ ও প্যারাসুট সুতা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতির মাঝায় ঝুলে আছে থোকা থোকা মিষ্টি আঙুর। সবুজ পাতার মাঝে উঁকি দিচ্ছে কোথাও লম্বা, কোথাও গোলাকার, আবার কোথাও হালকা বাদামি হলুদ-সবুজ রঙের মিশ্রণের আঙুর। আর মাস খানেক পরেই মে মাসের শেষে অথবা জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এসব আঙুর খেতে কোনোটা মিষ্টি আবার কোনোটা হালকা টক-মিষ্টি হবে। এসব আঙুর দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও বেশ মজার। মানুষের চলাচল সড়কের পাশে আঙুরের এই বাগান দেখলে যে কারোরই দৃষ্টি আটকে যায় বাগানের দিকে। আগে মানুষের ধারণা ছিল, আঙুর একটি বিদেশি ফল, এ দেশে চাষ সম্ভব নয় সেই সাথে চাষ করলে হয় টক। কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে দিয়ে মিষ্টি আঙুর চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রংপুরে পীরগঞ্জে’র রামনাথপুর ইউপি’র খেজমতপুর তালুকদার পাড়ার তাজিম উদ্দিনের ছেলে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মাসুদ তালুকদার।
তিন বছর আগে নিজের বাগান বাড়িতে ২৭শতক জমির উপড় বাণিজ্যিকভাবে রাশিয়ান বাইকুনুর, এ্যাকোলো, ইতালির ব্লাক মেজিক, ভারতের ভিএসসি, কৃষ্ণা সহ ৩৫টি জাতের আঙুর চাষ করেন তিনি। তার বাগানে গেলেই দেখা মিলবে মাঝায় ঝুলে আছে থোকা থোকা আঙুর। প্রতিদিন অনেকেই তার বাগান দেখতে আসেন। গত বছর প্রথম বারের মতো ফল আসে, সেই ফল প্রতিবেশি ও দর্শনার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাক লাগিয়ে দেন। এ বছর পর্যাপ্ত ফল ধরেছে। ফল বিক্রি করে ভাল মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।
মাসুদ তালুকদার দেখিয়ে দিয়েছেন, মনোবল, উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা থাকলে দেশের মাটিতে বিদেশি ফল চাষ করে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভ করা সম্ভব। পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই আঙুর উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী ও উন্নতমানের এ জাতের আঙুর চাষে কোনো কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না। কেবলমাত্র গোবর বা জৈব সার ও পোকা-মাকড় মারার জন্য ভারমিটেক ব্যবহার করেই এ ফল চাষ করা যায়। তাই ফসলে জৈব-বালাইনাশক ব্যবহারের জন্য কৃষি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ সৃষ্টি করানো হচ্ছে। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
মাসুদ তালুকদার দৈনিক পল্লী বাংলাকে জানান, গেল দুই বছর আগে ৩৫ জাতের আঙুরের চারা সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরেই আঙুর চাষে সফলতা পেয়েছেন। এ বছর বাগানে ২৫ জাতের গাছ রয়েছে। এর মধ্যে বাইকুনুর, এ্যাকোলো, ব্লাক মেজিক, কৃষ্ণা, গ্রিণ লং, অস্ট্রেলিয়ান ১২ মাসি, চয়ন, সুপার সোনাকা, ছমছম সহ ১০/১২ টি জাতের আঙুরের ফলন ভালো। এর মধ্যে রাশিয়ান বাইকুনুর জাতটি সবচেয়ে ভালো এবং ভালো ফলন হয়েছে। এ জাতটি দেশের আবহাওয়া ও চাষের পরিবেশ উপযোগী বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, ২৭ শতাংশ নিজস্ব জমি ৩৫ জাতের আঙুর চাষ করি। এরমধ্যে গবেষণা করে রাশিয়ান বাইকুনুর জাতসহ ১০/১২টি জাতের আঙুরের ভালো ফলন ও ভালো স্বাদ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই। চারা রোপনের তিন মাস পর ফল এসেছে। এছাড়াও বাগানে চাইনিজ মিষ্টি কমলা, ছাদকি কমলা, ১২ মাসি ভিয়েতনাম মাল্টা, আফ্রিকান হলুদ মাল্টা, পাকিস্থানি, দার্জিলিং সহ ১৫ জাতের মাল্টা, কমলা, কাশ্মেরি কেনু, ত্বীন ফল, ৭ জাতের সৌদি খেজুর, ১২ মাসি কাঁঠাল, ছফেদা, আপেল, ১২ মাসি কাটিমন আম, রামবুটান, জাবুটি কাবা, ৪ জাতের ড্রাগন, ৪ জাতের পেঁপে, বড়াই সহ প্রায় ২৫ প্রকার ফলের গাছ রয়েছে ওই বাগানে। সাথি ফসল হিসেবে এই বাগান থেকে ১১০০ বস্তা আদা ও প্রায় ৭৫ মন পেঁপে বিক্রি করে আয় করেছে কয়েক লাখ টাকা। এখন প্রতিনিয়ত আঙ্গুর, ত্বীন ফল, মাল্টা, কমলার চারা বিক্রিতে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি। প্রায় এক মাস পর ফল বিক্রি শুরু হবে। তার মতে, রোপণ থেকে গাছের বয়স এক বছর হলে পরিপূর্ণভাবে আঙুর ফল বাজারজাত করা সম্ভব। প্রতিটি গাছে কমপক্ষে ১৫/১৮ কেজি করে ফল পাওয়া যাবে। সে হিসাবে ৫০টি গাছে কমপক্ষে ৭৫০ কেজি ফল পাওয়া যাবে। বাজার মূল্য গড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে হিসাব করলে যার আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, ২৭ শতাংশ জমিতে আঙুর চাষ করতে গিয়ে গাছের চারা, মাচা, পরিচর্যাসহ সব মিলিয়ে খরচ পড়েছে এক লাখ ১০ হাজার টাকা। আঙুর বাগানে যে পরিমাণ ফল এসেছে এবং বর্তমান যা বাজার মূল্য, তাতে আনুমানিক ২ থেকে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব।
আঙুরের পাশাপাশি তিনি চারা করেও বাজারজাত করছেন। এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তার আঙুর বাগান দেখতে স্থানীয়সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এসে ভিড় করছেন। বাগানে আগত সামর্থহীন লোকজনকে তিনি বিনামূল্যে আঙুর চারা দিচ্ছেন।
এদিকে আঙুর বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থীরা ঝুলন্ত ফল উপভোগ করে অভিভুত হচ্ছেন এবং অনেকেই চাষের উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। প্রভাষক ইমরান মাসুদের আঙুর বাগানে থোকা থোকা ফল দেখে অবাক হয়েছেন তিনি। গত বছর খেয়েছেন তিনি। বাজার থেকে কেনা আঙুর আর এখানকার আঙুরের স্বাদ প্রায় একই বলে জানান তিনি। তাই আঙুর বাগান করার ইচ্ছে আছে তার। এখান থেকে চারা সংগ্রহ করে নিজেই একটি আঙুর বাগান করবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান দৈনিক পল্লী বাংলাকে জানান, আঙুর একটি উচ্চমূল্যের বাণিজ্যিক আমদানি নির্ভর ফসল, উদ্যোগি কৃষক মাসুদ তালুকদারের আঙুর ফল চাষ এই এলাকার অন্যান্য কৃষকদের নতুন নতুন ফল চাষাবাদে উৎসাহিত করবে।