ঢাকা ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
শিরোনামঃ
সরিষাবাড়ীতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল গাজীপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  গাজীপুরে কৃষক দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  পিরোজপুরে  সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম মামুনের উপর অতর্কিত হামলা বাগেরহাট যুবদলের কোরান খতম ও দোয়া মাহফিল বাংলাদেশে কারও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে চাইলে সরকার সহায়তা করবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস: তারেক রহমান চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বেগম খালেদা জিয়া : জাহিদ হোসেন এলপিজি দাম সমন্বয় করেছে সরকার

নরসিংদী ফেসিলিটি ইঞ্জিনিয়ার বশিরের  লালসার শিকার স্কুল শিক্ষিকা শারমিন

#
news image

নরসিংদীর মাধবদীর আলগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন রেজোয়ানা  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত এক মুখ। তবে ফেসবুকে তার আলোচিত মন্তব্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক গভীর তো আত্মকাহিনী —একজন নারী নিরুপায় জীবন সংগ্রামের হেরে গেলেন , যিনি নিজেকে স্বাবলম্বী আর দারিদ্র্যে থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য  সমাজের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের তার প্রান্তে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বার বার।

আলোচিত শারমিন রেজোয়ানা, বেলাবো উপজেলার নিলিক্ষা গ্রামের মৃত আব্দুল সালেকের মেয়ে। একসময় স্বামী-সংসার ছিল তার,  স্বপ্ন দেখতেন এ সমাজে মানুষের মত মানুষ হয়ে কিছু একটা করার।  এই নারী আজ ডিভোর্সের বোঝা মাথায় নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমেছেন। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তিনি যখন সাহায্যের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন, তখনই শুরু হয় তার জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়।

তাদেরই একজন, নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী বশির আহমেদ। বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন ঢাকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে বশির আহমেদ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারমিনের কাছে ঘনিষ্ঠ হন। ‘চা খাওয়ার’ অজুহাতে অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে, দরজা লক করে, অফিসের ভেতরেই জোরপূর্বক বারবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ করেছেন এই নারী।

রেজোয়ানার ভাষ্যমতে, বশির আহমেদ তাকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন এবং তার প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য একজন মায়ের দরকার। সরল বিশ্বাসে রেজোয়ানা এ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু পরে জানতে পারেন, বশির আহমেদের স্ত্রী জীবিত এবং তিনি নরসিংদীর একটি সরকারি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত।

ঘটনার সত্যতা প্রমাণের জন্য রেজোয়ানার হাতে রয়েছে বশির আহমেদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথোপকথনের কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি। এ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বশির আহমেদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি মিটিংয়ে থাকার অজুহাত দেখিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গেছেন এবং ছবি দেখানোর পরও কোনো সদুত্তর দেননি।বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ইঞ্জিনিয়ার এর বশিরের বিচারের দাবী জানিয়েছেন নরসিংদীর সচেতন মহল একজন কর্মকর্তা হয়ে কিভাবে উলঙ্গ ছবি পোস্ট করলেন

১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে নরসিংদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি রেজোয়ানা। তার অভিযোগপত্র আজও অন্ধকার রুমে পড়ে আছে  থানার কোন এক ফাইলে।

এই ঘটনাটি কেবল একজন নারীর ব্যক্তিগত দুর্ভাগ্যের গল্প নয়; এটি আমাদের সমাজের সেই গভীরতম ব্যাধির উদাহরণ ।

নরসিংদী প্রতিনিধি:

৩০ এপ্রিল, ২০২৫,  12:04 AM

news image

নরসিংদীর মাধবদীর আলগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন রেজোয়ানা  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত এক মুখ। তবে ফেসবুকে তার আলোচিত মন্তব্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক গভীর তো আত্মকাহিনী —একজন নারী নিরুপায় জীবন সংগ্রামের হেরে গেলেন , যিনি নিজেকে স্বাবলম্বী আর দারিদ্র্যে থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য  সমাজের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের তার প্রান্তে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বার বার।

আলোচিত শারমিন রেজোয়ানা, বেলাবো উপজেলার নিলিক্ষা গ্রামের মৃত আব্দুল সালেকের মেয়ে। একসময় স্বামী-সংসার ছিল তার,  স্বপ্ন দেখতেন এ সমাজে মানুষের মত মানুষ হয়ে কিছু একটা করার।  এই নারী আজ ডিভোর্সের বোঝা মাথায় নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমেছেন। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তিনি যখন সাহায্যের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন, তখনই শুরু হয় তার জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়।

তাদেরই একজন, নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী বশির আহমেদ। বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন ঢাকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে বশির আহমেদ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারমিনের কাছে ঘনিষ্ঠ হন। ‘চা খাওয়ার’ অজুহাতে অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে, দরজা লক করে, অফিসের ভেতরেই জোরপূর্বক বারবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ করেছেন এই নারী।

রেজোয়ানার ভাষ্যমতে, বশির আহমেদ তাকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন এবং তার প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য একজন মায়ের দরকার। সরল বিশ্বাসে রেজোয়ানা এ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু পরে জানতে পারেন, বশির আহমেদের স্ত্রী জীবিত এবং তিনি নরসিংদীর একটি সরকারি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত।

ঘটনার সত্যতা প্রমাণের জন্য রেজোয়ানার হাতে রয়েছে বশির আহমেদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথোপকথনের কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি। এ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বশির আহমেদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি মিটিংয়ে থাকার অজুহাত দেখিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গেছেন এবং ছবি দেখানোর পরও কোনো সদুত্তর দেননি।বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ইঞ্জিনিয়ার এর বশিরের বিচারের দাবী জানিয়েছেন নরসিংদীর সচেতন মহল একজন কর্মকর্তা হয়ে কিভাবে উলঙ্গ ছবি পোস্ট করলেন

১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে নরসিংদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি রেজোয়ানা। তার অভিযোগপত্র আজও অন্ধকার রুমে পড়ে আছে  থানার কোন এক ফাইলে।

এই ঘটনাটি কেবল একজন নারীর ব্যক্তিগত দুর্ভাগ্যের গল্প নয়; এটি আমাদের সমাজের সেই গভীরতম ব্যাধির উদাহরণ ।