সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রতারকের খপ্পরে দুই-যুবক নিঃস্ব

খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী ব্যুরো চিফ :
২১ এপ্রিল, ২০২৫, 8:42 PM

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রতারকের খপ্পরে দুই-যুবক নিঃস্ব
বেকার যখন সমস্যা প্রতারকেরা তখন দেয় কর্মসংস্থান হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। চলমান সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা কর্ম-সংস্থানের জন্য খোঁজে মাধ্যম আর সেই মাধ্যমই হয় প্রতারক চক্রের সক্রিয় সিন্ডিকেটভুক্ত ব্যাক্তি। এমনি একটি ঘটনার শিকার হয়েছে উল্লাপাড়া উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের বসুদেব হাওলাদারের পুত্র সুজন হাওলাদার ও একই উপজেলার আটিয়ালপাড়া এলংজানী গ্রামের রঞ্জিত হাওলাদারের পুত্র সাধন কুমার হাওলাদার দু'জনকেই ঢাকায় অবস্থিত একটি হাসপাতালে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেয় উনিশ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এই দুই যুবক একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় এক সাথে একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতে পারবে বলে বুক ভরা আশা নিয়ে সুদে ঋণ দেনা করে সাধন কুমার দেয় ১১ লক্ষ টাকা ও সুজন কুমার দেয় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তিনমাসের মধ্যে কর্মস্হলে যোগদানের কথা থাকলেও তিন বছর পেরিয়ে গেলেও যোগদানের কোনো ব্যাবস্হা নেই। বিষয়টি সন্দেহজনক ও প্রতারকের খপ্পরে পরে সুজন ও সাধন নিরুপায় হয়ে বার বার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বেশ কয়েক দফা সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে টাকা উদ্ধারের জন্য অবশেষে ২৫ শে ফেব্রুয়ারী সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করে।
মামলা সূত্রে জানা যায় উল্লাপাড়া উপজেলার আটিয়াল পাড়া এলংজানী গ্রামের বুদ্ধেশ্বর সুত্রধরের পুত্র সুজন কুমার সুত্রধর (৩৫) একশত টাকা মূল্যমানের তিনটি স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা লিখিত করিয়া বাদী সাধন কুমারের নিকট থেকে এগার লক্ষ টাকা এবং বসুদেব হাওলাদারের পুত্র সুজন হাওলাদারের নিকট থেকে আট লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বুদ্ধেশ্বর সুত্রধরের পুত্র আসামি সুজন কুমার সুত্রধর মোট টাকা বুঝিয়ে নেয়। উক্ত টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত তা পরিশোধ করেনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুজন কুমারের সাথে বার বার যোগাযোগ করে তার বাড়িতে এবং কর্মস্থলে না পাওয়ায় মুঠোফোনে স্হানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা তার সাথে যোগাযোগ করে টাকা নেওয়ার বিষয়ে সত্যতা পায়। টাকা পরিশোধের বিষয়ে নানা ছলচাতুরী ও বাহানা করে এবং চাকুরী দেওয়ার প্রতারণার বিষয়ে কথা বললে তিনি অসংখ্য মিথ্যাচার করে কথা এরিয়ে জান যা মোবাইল রেকর্ডে রয়েছে।
এবিষয়ে বাদী সাধন কুমার হাওলাদার জানান, আমার এগার লক্ষ টাকা এবং আমার বন্ধু সুজন হাওলাদারের আট লক্ষ ৫০ হাজার টাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে কৌশলে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে বুদ্ধেশ্বর সুত্রধরের পুত্র সুজন কুমার সুত্রধর। তিনি মিথ্যা চাকুরীর পলোভন দেখিয়ে আমাদের নিঃস্ব করেছে। বিভিন্ন ভাবে ঋণ দেনা করে চাকুরীর আশায় টাকা দিয়েছিলাম প্রতারণা করে আমাদেরকে একেবারে নিঃস্ব করেছে। গণমাধ্যমের কাছে আমাদের দাবী প্রতারক সুজন কুমারের মুখোশ প্রকাশ করা হোক আর যাতে কেউ আমাদের মতো প্রতারণার শিকার না হয়।
খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী ব্যুরো চিফ :
২১ এপ্রিল, ২০২৫, 8:42 PM

বেকার যখন সমস্যা প্রতারকেরা তখন দেয় কর্মসংস্থান হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। চলমান সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা কর্ম-সংস্থানের জন্য খোঁজে মাধ্যম আর সেই মাধ্যমই হয় প্রতারক চক্রের সক্রিয় সিন্ডিকেটভুক্ত ব্যাক্তি। এমনি একটি ঘটনার শিকার হয়েছে উল্লাপাড়া উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের বসুদেব হাওলাদারের পুত্র সুজন হাওলাদার ও একই উপজেলার আটিয়ালপাড়া এলংজানী গ্রামের রঞ্জিত হাওলাদারের পুত্র সাধন কুমার হাওলাদার দু'জনকেই ঢাকায় অবস্থিত একটি হাসপাতালে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেয় উনিশ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এই দুই যুবক একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় এক সাথে একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতে পারবে বলে বুক ভরা আশা নিয়ে সুদে ঋণ দেনা করে সাধন কুমার দেয় ১১ লক্ষ টাকা ও সুজন কুমার দেয় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তিনমাসের মধ্যে কর্মস্হলে যোগদানের কথা থাকলেও তিন বছর পেরিয়ে গেলেও যোগদানের কোনো ব্যাবস্হা নেই। বিষয়টি সন্দেহজনক ও প্রতারকের খপ্পরে পরে সুজন ও সাধন নিরুপায় হয়ে বার বার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বেশ কয়েক দফা সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে টাকা উদ্ধারের জন্য অবশেষে ২৫ শে ফেব্রুয়ারী সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করে।
মামলা সূত্রে জানা যায় উল্লাপাড়া উপজেলার আটিয়াল পাড়া এলংজানী গ্রামের বুদ্ধেশ্বর সুত্রধরের পুত্র সুজন কুমার সুত্রধর (৩৫) একশত টাকা মূল্যমানের তিনটি স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা লিখিত করিয়া বাদী সাধন কুমারের নিকট থেকে এগার লক্ষ টাকা এবং বসুদেব হাওলাদারের পুত্র সুজন হাওলাদারের নিকট থেকে আট লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বুদ্ধেশ্বর সুত্রধরের পুত্র আসামি সুজন কুমার সুত্রধর মোট টাকা বুঝিয়ে নেয়। উক্ত টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত তা পরিশোধ করেনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুজন কুমারের সাথে বার বার যোগাযোগ করে তার বাড়িতে এবং কর্মস্থলে না পাওয়ায় মুঠোফোনে স্হানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা তার সাথে যোগাযোগ করে টাকা নেওয়ার বিষয়ে সত্যতা পায়। টাকা পরিশোধের বিষয়ে নানা ছলচাতুরী ও বাহানা করে এবং চাকুরী দেওয়ার প্রতারণার বিষয়ে কথা বললে তিনি অসংখ্য মিথ্যাচার করে কথা এরিয়ে জান যা মোবাইল রেকর্ডে রয়েছে।
এবিষয়ে বাদী সাধন কুমার হাওলাদার জানান, আমার এগার লক্ষ টাকা এবং আমার বন্ধু সুজন হাওলাদারের আট লক্ষ ৫০ হাজার টাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে কৌশলে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে বুদ্ধেশ্বর সুত্রধরের পুত্র সুজন কুমার সুত্রধর। তিনি মিথ্যা চাকুরীর পলোভন দেখিয়ে আমাদের নিঃস্ব করেছে। বিভিন্ন ভাবে ঋণ দেনা করে চাকুরীর আশায় টাকা দিয়েছিলাম প্রতারণা করে আমাদেরকে একেবারে নিঃস্ব করেছে। গণমাধ্যমের কাছে আমাদের দাবী প্রতারক সুজন কুমারের মুখোশ প্রকাশ করা হোক আর যাতে কেউ আমাদের মতো প্রতারণার শিকার না হয়।
সম্পর্কিত