ঢাকা ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
শিরোনামঃ
প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত নেত্রকোনার মৃৎশিল্পীরা র‍্যাবের অভিযানে বারহাট্টা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আটক আত্নগোপনে থেকেও শেষ রক্ষা পেলেন না আ.লীগ সভাপতি খায়রুল কবির ৩ দিনের রিমান্ডে নেত্রকোনার সাবেক পৌর মেয়র প্রতীকি ক্লাস ও বই পড়া কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত গত বুধবার থেকে রাজশাহী নগরীতে আন্দোলন করে আসছেন রামেবির ২৩ কলেজের নার্সিং শিক্ষার্থীরা নেত্রকোনায় র‍্যাবের অভিযানে শিশু ধর্ষক গ্রেপ্তার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মনগড়া বিলে, অতিষ্ঠ গ্রাহকরা নেত্রকোনায় অবৈধ ভারতীয় চিনি জব্দ

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল নেত্রকোনার জনজীবন

#
news image

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল নেত্রকোনার জনজীবন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি;

তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলার মানুষের জনজীবন। দিনের তাপমাত্রা সকালের পর থেকে যেন বেড়েই চলছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

এদিকে প্রচণ্ড গরম আর রোদে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। কমেছে তাদের আয় রোজগার। প্রকৃতির এমন বিরূপ আচরণে ভোগান্তিতে পড়ছে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষ।

যাদের প্রতিদিনের রোজগারের আয়ে সংসার।চালাতে হয়, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে কাজ করতে না পেরে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।

নেত্রকোনা সদরের সাতপাই এলাকার দিনমজুর রহিছ মিয়া বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে কাজে নামতে পারতাছি না। কাম পাইলেও গরমের কারণে ক্লান্ত হইয়া যাই, আগের মতন পরিশ্রম করতাম পারি না এল্লাইগ্গ্যা মজুরিও কম পাই। আগে সারাদিনে ৬০০-৮০০ টাকা রোজ কামাইতে পারতাম কিন্তু অহন ৩০০-৪০০ টাকা কামাইতেই দম বাইরইয়্যা যায়। সারাদিনে যা কামাইতে পারি তাই দিয়াই কোনরহম সংসার চালাই।

বারহাট্টা উপজেলা সদরের গোপালপুর এলাকার রিকশাচালক ইউসুফ আলী বলেন, 'গত চার-পাঁচ দিন ধরে আয়রোজগার অনেক কমে গেছে। বেলা ১২টার পরে রাস্তায় কোনো যাত্রীই থাকে না। এমন চলতে থাকলে পরিবার পরিজনের মুখে দু'মুঠো ভাত তুলে দিতে কষ্ট হবে। তাছাড়া আমার সাত বছর বয়সী শিশু সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। আজকের রোজগারের টাকা দিয়ে তার চিকিৎসা করাব।'

তাতিয়র গ্রামের কৃষক সুবল সরকার বলেন, বৈশাখ মাস পুরাটাই ধরতে গেলে বৃষ্টি হয় নাই। ছোটকাল থেকে শুরু করে ৫১ বছর যাবৎ আমি কৃষি কাজের সাথে জড়িত কিন্তু বৈশাখ মাসে এমন তাপ কখনও হয় নাই। বৈশাখ মাসে ঝড়-বৃষ্টির ভয়ে থাকতাম কিন্তু এ বছর পুরাই উল্টা বৃষ্টির আশায় থাকি কিন্তু বৃষ্টি হয় না। এখন ধান কাটার সময় কিন্তু রোদের প্রচন্ড তাপে মাঠে কাজ করতে খুবপরিশ্রম হয়।  গত সপ্তাহে তিন-চার দিন বৃষ্টি হওয়ার পরে এ সপ্তাহে তাপ আরও বেড়ে গেছে।

জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজকে বারহাট্টায় বর্তমানে ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে।নেত্রকোনার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রনব কুমার পাল এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গরমজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে ও সুস্থ থাকতে হলে বেশি করে পানি পান করতে হবে। বাসি-পচা খাবার পরিহার করতে হবে। তাছাড়াও ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া যাবে না। রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। যথাসম্ভব ছায়া-শীতল স্থানে থাকতে হবে। প্রচণ্ড গরম পড়ায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে স্যালাইনসহ সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ আছে। সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

 

রিপন কান্তি গুণ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

জেলা প্রতিনিধি

২৩ মে, ২০২৪,  11:57 PM

news image

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল নেত্রকোনার জনজীবন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি;

তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলার মানুষের জনজীবন। দিনের তাপমাত্রা সকালের পর থেকে যেন বেড়েই চলছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

এদিকে প্রচণ্ড গরম আর রোদে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। কমেছে তাদের আয় রোজগার। প্রকৃতির এমন বিরূপ আচরণে ভোগান্তিতে পড়ছে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষ।

যাদের প্রতিদিনের রোজগারের আয়ে সংসার।চালাতে হয়, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে কাজ করতে না পেরে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।

নেত্রকোনা সদরের সাতপাই এলাকার দিনমজুর রহিছ মিয়া বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে কাজে নামতে পারতাছি না। কাম পাইলেও গরমের কারণে ক্লান্ত হইয়া যাই, আগের মতন পরিশ্রম করতাম পারি না এল্লাইগ্গ্যা মজুরিও কম পাই। আগে সারাদিনে ৬০০-৮০০ টাকা রোজ কামাইতে পারতাম কিন্তু অহন ৩০০-৪০০ টাকা কামাইতেই দম বাইরইয়্যা যায়। সারাদিনে যা কামাইতে পারি তাই দিয়াই কোনরহম সংসার চালাই।

বারহাট্টা উপজেলা সদরের গোপালপুর এলাকার রিকশাচালক ইউসুফ আলী বলেন, 'গত চার-পাঁচ দিন ধরে আয়রোজগার অনেক কমে গেছে। বেলা ১২টার পরে রাস্তায় কোনো যাত্রীই থাকে না। এমন চলতে থাকলে পরিবার পরিজনের মুখে দু'মুঠো ভাত তুলে দিতে কষ্ট হবে। তাছাড়া আমার সাত বছর বয়সী শিশু সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। আজকের রোজগারের টাকা দিয়ে তার চিকিৎসা করাব।'

তাতিয়র গ্রামের কৃষক সুবল সরকার বলেন, বৈশাখ মাস পুরাটাই ধরতে গেলে বৃষ্টি হয় নাই। ছোটকাল থেকে শুরু করে ৫১ বছর যাবৎ আমি কৃষি কাজের সাথে জড়িত কিন্তু বৈশাখ মাসে এমন তাপ কখনও হয় নাই। বৈশাখ মাসে ঝড়-বৃষ্টির ভয়ে থাকতাম কিন্তু এ বছর পুরাই উল্টা বৃষ্টির আশায় থাকি কিন্তু বৃষ্টি হয় না। এখন ধান কাটার সময় কিন্তু রোদের প্রচন্ড তাপে মাঠে কাজ করতে খুবপরিশ্রম হয়।  গত সপ্তাহে তিন-চার দিন বৃষ্টি হওয়ার পরে এ সপ্তাহে তাপ আরও বেড়ে গেছে।

জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজকে বারহাট্টায় বর্তমানে ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে।নেত্রকোনার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রনব কুমার পাল এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গরমজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে ও সুস্থ থাকতে হলে বেশি করে পানি পান করতে হবে। বাসি-পচা খাবার পরিহার করতে হবে। তাছাড়াও ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া যাবে না। রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। যথাসম্ভব ছায়া-শীতল স্থানে থাকতে হবে। প্রচণ্ড গরম পড়ায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে স্যালাইনসহ সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ আছে। সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

 

রিপন কান্তি গুণ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি