চন্দনাইশে ধর্ষণে বাধা, কিশোরীকে হত্যা, দুইজনকে কুপিয়ে জখম

আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম ঃ
০৯ এপ্রিল, ২০২৫, 6:39 PM

চন্দনাইশে ধর্ষণে বাধা, কিশোরীকে হত্যা, দুইজনকে কুপিয়ে জখম
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ধর্ষণের চেষ্টার সময় চিৎকার করায় আরজু আকতার (১৯) নামে কলেজ পড়ুয়া ভাগনিকে (খালাতো বোনের মেয়ে) শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি দেখে ফেলায় অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীন (২৮) আরজুর নানা-নানীকেও জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে দু’জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। আহত কিশোরীর নানা নানিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নানার বাড়িতে আসে কলেজ শিক্ষার্থী আরজু আকতার (২০)। ওইদিন সাতকানিয়ার খাগরিয়া এলাকার নাজিম উদ্দীন (২৮) খালার বাড়িতে বেড়াতে আসলে আরজুকে দেখে। আরজু আকতার নানার বাড়িতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে নাজিম তার খালার বাড়িতে আসে। রাত ২টার দিকে আরজু আকতার বাথরুমে গেলে সুযোগ বুঝে নাজিমও বাথরুমে ঢুকে প্রথমে ভাগনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আরজুর মুখের ভিতর কাপড় ঢুকিয়ে ওড়না দিয়ে পেছিয়ে তাকে হত্যা করে বলে পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা। আরজু আকতারের চিৎকার শুনে নানা-নানির ঘুম ভেঙে গেলে বিষয়টি জানাজানি হলে নাজিম তাদেরকে জবাই করে হত্যা করার চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে নাজিম পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আবদুল হাকিম (৭৫) ও ফরিদা বেগম (৬০) কে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফরিদা বেগমের অবস্থা আংকাজনক বলে জানা গেছে।
চন্দনাইশ থানার ডিউটি অফিসার এসআই আমিনুল্লাহ জানান, নিহত আরজু আকতার নানার বাড়িতে বেড়াতে আসলে। ঘাতক নাজিমও বেড়াতে আসে সেখানে। আরজু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠলে সুযোগ বুঝে নাজিম ভাগনি আরজুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে আরজুকে হত্যা করে। এ ঘটনা দেখে ফেলায় নানা এবং নানি দুজনকেই কুপিয়ে জবাই করার চেষ্টা করে নাজিম। তারা দুজন এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীর করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক নাজিমকে ধরতে অভিয়ান পরিচালনা করা হবে।
অপরদিকে নগরীর লালখান বাজার মোড়ে বাসচাপায় রিয়া মজুমদার নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক বাসটি পুলিশ জব্দ করলেও চালক পালিয়েছে। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা একটি আইডি কার্ড থেকে তার নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। কার্ডে তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এক্সিকিউটিভ টেলি মার্কেটিং পদে কর্মরত বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিয়া ৭ নম্বর রুটের একটি বাস থেকে নামতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান। এ সময দুই নম্বর রুটের একটি মিনিবাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে তবে চালক পালাতক।
আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম ঃ
০৯ এপ্রিল, ২০২৫, 6:39 PM

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ধর্ষণের চেষ্টার সময় চিৎকার করায় আরজু আকতার (১৯) নামে কলেজ পড়ুয়া ভাগনিকে (খালাতো বোনের মেয়ে) শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি দেখে ফেলায় অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীন (২৮) আরজুর নানা-নানীকেও জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে দু’জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। আহত কিশোরীর নানা নানিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নানার বাড়িতে আসে কলেজ শিক্ষার্থী আরজু আকতার (২০)। ওইদিন সাতকানিয়ার খাগরিয়া এলাকার নাজিম উদ্দীন (২৮) খালার বাড়িতে বেড়াতে আসলে আরজুকে দেখে। আরজু আকতার নানার বাড়িতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে নাজিম তার খালার বাড়িতে আসে। রাত ২টার দিকে আরজু আকতার বাথরুমে গেলে সুযোগ বুঝে নাজিমও বাথরুমে ঢুকে প্রথমে ভাগনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আরজুর মুখের ভিতর কাপড় ঢুকিয়ে ওড়না দিয়ে পেছিয়ে তাকে হত্যা করে বলে পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা। আরজু আকতারের চিৎকার শুনে নানা-নানির ঘুম ভেঙে গেলে বিষয়টি জানাজানি হলে নাজিম তাদেরকে জবাই করে হত্যা করার চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে নাজিম পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আবদুল হাকিম (৭৫) ও ফরিদা বেগম (৬০) কে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফরিদা বেগমের অবস্থা আংকাজনক বলে জানা গেছে।
চন্দনাইশ থানার ডিউটি অফিসার এসআই আমিনুল্লাহ জানান, নিহত আরজু আকতার নানার বাড়িতে বেড়াতে আসলে। ঘাতক নাজিমও বেড়াতে আসে সেখানে। আরজু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠলে সুযোগ বুঝে নাজিম ভাগনি আরজুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে আরজুকে হত্যা করে। এ ঘটনা দেখে ফেলায় নানা এবং নানি দুজনকেই কুপিয়ে জবাই করার চেষ্টা করে নাজিম। তারা দুজন এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীর করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক নাজিমকে ধরতে অভিয়ান পরিচালনা করা হবে।
অপরদিকে নগরীর লালখান বাজার মোড়ে বাসচাপায় রিয়া মজুমদার নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক বাসটি পুলিশ জব্দ করলেও চালক পালিয়েছে। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা একটি আইডি কার্ড থেকে তার নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। কার্ডে তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এক্সিকিউটিভ টেলি মার্কেটিং পদে কর্মরত বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিয়া ৭ নম্বর রুটের একটি বাস থেকে নামতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান। এ সময দুই নম্বর রুটের একটি মিনিবাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে তবে চালক পালাতক।