ঢাকা ০৪ জুন, ২০২৫

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ব্রীজের অভাবে ভোগান্তিতে কয়েক গ্রামের মানুষ

#
news image

নদীর পশ্চিমপাড়ে ১ কিলোমিটার দূরেই হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা শহর। দুপাশেই রয়েছে সংযোগকারী রাস্তা মাঝখানে বিভক্তকারী খোয়াই নদী। নদীর পূর্বদিকে আব্দাছালিয়া, পরাঝার, আদমপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।  অথচ মাঝখানে সামান্য একটি ব্রীজের জন্য কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরবর্তী পুরাতন খোয়াই ব্রীজ (পাকুড়িয়া) দিয়ে চুনারুঘাট শহরে যাতায়ত করতে হয়। এতে নিত্যনৈমিত্তিক যানজটের পাশাপাশি নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চলমান মানুষগুলো। সব থেকে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে কোমলমতি শিশু এবং স্কুল-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী, বয়স্ক লোক, গর্ভবতী মহিলা এবং অসুস্থ মানুষেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চুনারুঘাটের পুরাতন খোয়াই ব্রীজটি (পাকুড়িয়া) ব্যবহার করে নদীর পূর্বপাড়ের সাটিয়াজুরী, রানীগাও, সুন্দরপুর, মীরপুর, গাজীগঞ্জ, আব্দাছালিয়া, গাতাবলা, আইতন, সাত্তালিয়া, নালমুখ, মিরাশী সহ ৩ থেকে ৪ টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়ত করেন। যে কারনে পাকুড়িয়ার পুরাতন ব্রীজে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ব্রীজটি পুরাতন হওয়ায় দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আব্দাছালিয়া দিয়ে যদি খোয়াই নদীর উপরে একটি ব্রীজ নির্মান করা হয় তাহলে প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ সেই ব্রীজ দিয়ে যাতায়ত করতে পারবে। এতে পুরাতন খোয়াই ব্রীজের উপর চাপ যেমন কমবে তেমনি মানুষের ভোগান্তিও কমবে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, আব্দাছালিয়া দিয়ে আগে নৌকা ফেরিঘাট ছিল। তখন আব্দাছালিয়া, গাতাবলা, আদমপুর, পরাঝার, নালমুখ, সাত্তালিয়া সহ ৮ থেকে ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এদিকে যাতায়ত করতো। স্থানীয়দের উদ্যোগে কয়েকবার সাকোঁ নির্মানের পরিকল্পনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত করা সম্ভব হয় নি। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগনের কাছে দীর্ঘদিন দাবি জানাচ্ছি আব্দাছালিয়া দিয়ে একটি ব্রীজ নির্মান করার জন্য। যেহেতু দুপাশে সংযোগকারী রাস্তা আছে তাই একটি ব্রীজ নির্মান করলেই কয়েক হাজার মানুষের ভোগান্তি কমবে।

মোঃ রিপন মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

২৮ মার্চ, ২০২৫,  9:44 PM

news image

নদীর পশ্চিমপাড়ে ১ কিলোমিটার দূরেই হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা শহর। দুপাশেই রয়েছে সংযোগকারী রাস্তা মাঝখানে বিভক্তকারী খোয়াই নদী। নদীর পূর্বদিকে আব্দাছালিয়া, পরাঝার, আদমপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।  অথচ মাঝখানে সামান্য একটি ব্রীজের জন্য কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরবর্তী পুরাতন খোয়াই ব্রীজ (পাকুড়িয়া) দিয়ে চুনারুঘাট শহরে যাতায়ত করতে হয়। এতে নিত্যনৈমিত্তিক যানজটের পাশাপাশি নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চলমান মানুষগুলো। সব থেকে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে কোমলমতি শিশু এবং স্কুল-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী, বয়স্ক লোক, গর্ভবতী মহিলা এবং অসুস্থ মানুষেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চুনারুঘাটের পুরাতন খোয়াই ব্রীজটি (পাকুড়িয়া) ব্যবহার করে নদীর পূর্বপাড়ের সাটিয়াজুরী, রানীগাও, সুন্দরপুর, মীরপুর, গাজীগঞ্জ, আব্দাছালিয়া, গাতাবলা, আইতন, সাত্তালিয়া, নালমুখ, মিরাশী সহ ৩ থেকে ৪ টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়ত করেন। যে কারনে পাকুড়িয়ার পুরাতন ব্রীজে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ব্রীজটি পুরাতন হওয়ায় দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আব্দাছালিয়া দিয়ে যদি খোয়াই নদীর উপরে একটি ব্রীজ নির্মান করা হয় তাহলে প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ সেই ব্রীজ দিয়ে যাতায়ত করতে পারবে। এতে পুরাতন খোয়াই ব্রীজের উপর চাপ যেমন কমবে তেমনি মানুষের ভোগান্তিও কমবে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, আব্দাছালিয়া দিয়ে আগে নৌকা ফেরিঘাট ছিল। তখন আব্দাছালিয়া, গাতাবলা, আদমপুর, পরাঝার, নালমুখ, সাত্তালিয়া সহ ৮ থেকে ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এদিকে যাতায়ত করতো। স্থানীয়দের উদ্যোগে কয়েকবার সাকোঁ নির্মানের পরিকল্পনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত করা সম্ভব হয় নি। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগনের কাছে দীর্ঘদিন দাবি জানাচ্ছি আব্দাছালিয়া দিয়ে একটি ব্রীজ নির্মান করার জন্য। যেহেতু দুপাশে সংযোগকারী রাস্তা আছে তাই একটি ব্রীজ নির্মান করলেই কয়েক হাজার মানুষের ভোগান্তি কমবে।