আর্থিক কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ বাতিল করলো আয়ারল্যান্ড

অনলাইন ডেক্স :
১২ মার্চ, ২০২৫, 7:12 PM

আর্থিক কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ বাতিল করলো আয়ারল্যান্ড
আর্থিক কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আটকে গেল আয়ারল্যান্ডের হোম সিরিজ। চলতি গ্রীষ্মে আফগানদের বিরুদ্ধে মাল্টি ফরম্যাট সিরিজ আয়োজনের কথা থাকলেও তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড। গ্রীষ্মে ব্যস্ত সূচির মধ্যে ইংল্যান্ড পুরুষ টি-টোয়েন্টি দল এবং জিম্বাবুয়ে নারী দলের ঐতিহাসিক সফর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড তাদের আন্তর্জাতিক সূচি প্রকাশ করেছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ৯-১৮ এপ্রিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নারী বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব রয়েছে। বাছাইপর্বকে সামনে রেখে পাকিস্তানের মাটিতে ৫ ও ৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের সাথে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আইরিশরা।
২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্যস্থির করেছে আয়ারল্যান্ড। যদিও বাছাইপর্বের তারিখ ও ভেন্যু এখনো নিশ্চিত করেনি আইসিসি।
আয়ারল্যান্ড মে ও জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজে আতিথেয়তা দিবে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড প্রথমবারের মত টি২০ সিরিজ খেলতে আয়ারল্যান্ড সফরে যাবে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি ম্যাচ।
ফিউচার ট্যুর প্রগামে (এফটিপি) অয়ারল্যান্ডের আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্টের সাথে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ ম্যাচ খেলার কথা ছিল। তবে আর্থিক জটিলতায় সাতটি ম্যাচই বাতিল করা হয়েছে। ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডেট্রম বলেছেন এখানে কোন রাজনৈতিক কারন নেই, পুরোপুরি আর্থিক সমস্যার কারনেই সিরিজ বাতিল করতে তারা বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আর্থিক কারণে একটি পূর্ব পরিকল্পিত আফগিনস্তানের বিপক্ষে সিরিজ এগিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই সিদ্ধান্ত আমাদের স্বল্পমেয়াদী বাজেট ব্যবস্থাপনার একটি অংশ। আমাদের বোর্ডের কৌশলগত বিনিয়োগের ভারসাম্য বজায় রাখার নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
২০১৭ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়ার পর থেকে আয়ারল্যান্ড মাত্র ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে শুধু দুটি নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের প্রথম টেস্ট জয় আসে। এরপর গত বছর জিম্বাবুয়ে বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে এবং গত মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে আরও দুটি টেস্ট জয় পায়।
২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে “হোম” সিরিজ খেলেছিল। তখন ডিট্রোম বলেছিলেন যে, আয়ারল্যান্ডের নিজস্ব স্থায়ী স্টেডিয়ামের অভাব ও সাময়িক অবকাঠামো স্থাপনের উচ্চ ব্যয় তাদের বিদেশে ম্যাচ খেলতে বাধ্য করছে।
গত বছর আগস্ট মাসে আয়ারল্যান্ড সরকার ডাবলিনে একটি স্থায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং হাই পারফরম্যান্স সেন্টার তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। প্রথম ধাপে ৪,০০০ আসনের মূল স্টেডিয়াম ও পারফরম্যান্স সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এই প্রকল্পটি ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ২০৩০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সহ-আয়োজনে ব্যবহার করা হবে।
অনলাইন ডেক্স :
১২ মার্চ, ২০২৫, 7:12 PM

আর্থিক কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আটকে গেল আয়ারল্যান্ডের হোম সিরিজ। চলতি গ্রীষ্মে আফগানদের বিরুদ্ধে মাল্টি ফরম্যাট সিরিজ আয়োজনের কথা থাকলেও তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড। গ্রীষ্মে ব্যস্ত সূচির মধ্যে ইংল্যান্ড পুরুষ টি-টোয়েন্টি দল এবং জিম্বাবুয়ে নারী দলের ঐতিহাসিক সফর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড তাদের আন্তর্জাতিক সূচি প্রকাশ করেছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ৯-১৮ এপ্রিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নারী বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব রয়েছে। বাছাইপর্বকে সামনে রেখে পাকিস্তানের মাটিতে ৫ ও ৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের সাথে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আইরিশরা।
২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্যস্থির করেছে আয়ারল্যান্ড। যদিও বাছাইপর্বের তারিখ ও ভেন্যু এখনো নিশ্চিত করেনি আইসিসি।
আয়ারল্যান্ড মে ও জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজে আতিথেয়তা দিবে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড প্রথমবারের মত টি২০ সিরিজ খেলতে আয়ারল্যান্ড সফরে যাবে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি ম্যাচ।
ফিউচার ট্যুর প্রগামে (এফটিপি) অয়ারল্যান্ডের আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্টের সাথে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ ম্যাচ খেলার কথা ছিল। তবে আর্থিক জটিলতায় সাতটি ম্যাচই বাতিল করা হয়েছে। ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডেট্রম বলেছেন এখানে কোন রাজনৈতিক কারন নেই, পুরোপুরি আর্থিক সমস্যার কারনেই সিরিজ বাতিল করতে তারা বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আর্থিক কারণে একটি পূর্ব পরিকল্পিত আফগিনস্তানের বিপক্ষে সিরিজ এগিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই সিদ্ধান্ত আমাদের স্বল্পমেয়াদী বাজেট ব্যবস্থাপনার একটি অংশ। আমাদের বোর্ডের কৌশলগত বিনিয়োগের ভারসাম্য বজায় রাখার নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
২০১৭ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়ার পর থেকে আয়ারল্যান্ড মাত্র ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে শুধু দুটি নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের প্রথম টেস্ট জয় আসে। এরপর গত বছর জিম্বাবুয়ে বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে এবং গত মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে আরও দুটি টেস্ট জয় পায়।
২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে “হোম” সিরিজ খেলেছিল। তখন ডিট্রোম বলেছিলেন যে, আয়ারল্যান্ডের নিজস্ব স্থায়ী স্টেডিয়ামের অভাব ও সাময়িক অবকাঠামো স্থাপনের উচ্চ ব্যয় তাদের বিদেশে ম্যাচ খেলতে বাধ্য করছে।
গত বছর আগস্ট মাসে আয়ারল্যান্ড সরকার ডাবলিনে একটি স্থায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং হাই পারফরম্যান্স সেন্টার তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। প্রথম ধাপে ৪,০০০ আসনের মূল স্টেডিয়াম ও পারফরম্যান্স সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এই প্রকল্পটি ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ২০৩০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সহ-আয়োজনে ব্যবহার করা হবে।