ঢাকা ১০ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
নেত্রকোনায় মুদি দোকানিকে গলা কেটে হত্যা শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহের আচরণবিধি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী সহ ৩ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা সাংবাদিককে আইনজীবীর হুমকি, ভূমিদস্যু-জালিয়াত চক্রের দৌরাত্ম্য শেষ কোথায় ? ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন শিবপুরে স্টার সিএনজি স্টেশনের নামে মিথ্যা অপপ্রচার এবং চাঁদা দাবি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ জ্বর হওয়ার সাথে সাথে ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সীমান্ত থেকে গাঁজা এনে রাজশাহীতে সরবরাহ: ‘বিবিজান’ চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বিএনপি নেত্রী ব্যারিষ্টার শাকিলা ফারজানাসহ ২৫ আসামি খালাস

#
news image

চট্টগ্রাম ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়ন ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অভিযোগে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে হওয়া মামলায় বিএনপি নেত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাকিলা ফারজানাসহ ২৫ জনকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার চট্টগ্রামের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আবু হান্নান এই রায় দেন। চট্টগ্রামের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবদুস সাত্তার সরোয়ার জানান, মামলায় সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে দীর্ঘদিন ধরে আসছেন না। একজন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আসামিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।


মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারীর মাদ্রাসাতুল আবু বকর (র.)-এ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। পরদিন র‍্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান বাদী  হয়ে হাটহাজারী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দয়ের করেন। ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর লটমনি পাহাড়ের জঙ্গি প্রশিক্ষণ আস্তানা থেকে জঙ্গি সরঞ্জাম, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় বিএনপির নেত্রী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলায় শাকিলার বিরুদ্ধে হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়নের অভিযোগ আনে র‌্যাব।  


এদিকে মামলার শুরু থেকে বিএনপির দাবি করে আসছে আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শাকিলা ফারজানাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শাকিলা ফারজানার বাবা বিএনপির সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম হাটহাজারী সংসদীয় আসনের জনপ্রিয় এমপি ছিলেন। পিতার অবর্তমানে শাকিলা ফারজানার জনপ্রিয়তা পেতে থাকেন। এতে করে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে সরকার তাকে এ মামলায় অভিযুক্ত করেছে। শাকিলা ফারজানা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক। 


তদন্তের এক পর্যায়ে ওই বছরের ১৮ আগস্ট হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়নের অভিযোগে ঢাকা থেকে ব্যারিষ্টার শাকিলা ফারজানাসহ তিন আইনজীবীকে আটক করা হয়। তদন্ত শেষে পরের ২০১৬ সালের মার্চ মাসে র‍্যাব দুই মামলায় শাকিলাসহ ৬১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র প্রদান করা হয়। দুটি মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, বাহরাইনের নাগরিক আল্লামা লিবদির নির্দেশে দেশে নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালাতে আসামিরা নতুন জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলেন। জঙ্গি অর্থায়নের জন্য মনিরুজ্জামান ওরফে ডনের তিনটি হিসাব নম্বরে আইনজীবী শাকিলা ফারজানা দুই দফায় ২৫ লাখ ও ২৭ লাখ টাকা, হাছানুজ্জামান দুই দফায় ১৫ লাখ ও ১৬ লাখ টাকা, মাহফুজ চৌধুরী ২৫ লাখ জমা করেন। হাটহাজারী ও বাঁশখালী থানার দুই মামলায় ৬১ আসামির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। উল্লেখ্য গত ২১ জানুয়ারি হাটহাজারীর ঘটনায় করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের আরেকটি মামলায় শাকিলাসহ ৩১ আসামিকে খালাস দেন বিজ্ঞ আদালত।

আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম ঃ

১২ মার্চ, ২০২৫,  4:06 AM

news image

চট্টগ্রাম ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়ন ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অভিযোগে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে হওয়া মামলায় বিএনপি নেত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাকিলা ফারজানাসহ ২৫ জনকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার চট্টগ্রামের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আবু হান্নান এই রায় দেন। চট্টগ্রামের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবদুস সাত্তার সরোয়ার জানান, মামলায় সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে দীর্ঘদিন ধরে আসছেন না। একজন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আসামিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।


মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারীর মাদ্রাসাতুল আবু বকর (র.)-এ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। পরদিন র‍্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান বাদী  হয়ে হাটহাজারী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দয়ের করেন। ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর লটমনি পাহাড়ের জঙ্গি প্রশিক্ষণ আস্তানা থেকে জঙ্গি সরঞ্জাম, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় বিএনপির নেত্রী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলায় শাকিলার বিরুদ্ধে হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়নের অভিযোগ আনে র‌্যাব।  


এদিকে মামলার শুরু থেকে বিএনপির দাবি করে আসছে আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শাকিলা ফারজানাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শাকিলা ফারজানার বাবা বিএনপির সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম হাটহাজারী সংসদীয় আসনের জনপ্রিয় এমপি ছিলেন। পিতার অবর্তমানে শাকিলা ফারজানার জনপ্রিয়তা পেতে থাকেন। এতে করে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে সরকার তাকে এ মামলায় অভিযুক্ত করেছে। শাকিলা ফারজানা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক। 


তদন্তের এক পর্যায়ে ওই বছরের ১৮ আগস্ট হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়নের অভিযোগে ঢাকা থেকে ব্যারিষ্টার শাকিলা ফারজানাসহ তিন আইনজীবীকে আটক করা হয়। তদন্ত শেষে পরের ২০১৬ সালের মার্চ মাসে র‍্যাব দুই মামলায় শাকিলাসহ ৬১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র প্রদান করা হয়। দুটি মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, বাহরাইনের নাগরিক আল্লামা লিবদির নির্দেশে দেশে নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালাতে আসামিরা নতুন জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলেন। জঙ্গি অর্থায়নের জন্য মনিরুজ্জামান ওরফে ডনের তিনটি হিসাব নম্বরে আইনজীবী শাকিলা ফারজানা দুই দফায় ২৫ লাখ ও ২৭ লাখ টাকা, হাছানুজ্জামান দুই দফায় ১৫ লাখ ও ১৬ লাখ টাকা, মাহফুজ চৌধুরী ২৫ লাখ জমা করেন। হাটহাজারী ও বাঁশখালী থানার দুই মামলায় ৬১ আসামির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। উল্লেখ্য গত ২১ জানুয়ারি হাটহাজারীর ঘটনায় করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের আরেকটি মামলায় শাকিলাসহ ৩১ আসামিকে খালাস দেন বিজ্ঞ আদালত।