রোজার শুরুতেই জমে উঠেছে ইফতার বাজার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
০৩ মার্চ, ২০২৫, 3:35 PM

রোজার শুরুতেই জমে উঠেছে ইফতার বাজার
ইফতারের জন্য ঘরে ঘরে খাবার তৈরি হলেও বাইরের খাবারের প্রতি আকর্ষণ থাকে রোজাদারদের। অন্যান্য বছরের মতো এবারও রমজানের প্রথম দিন থেকেই নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে ইফতার তৈরির ব্যস্ততা। হরেক রকম ইফতার সামগ্রী বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা।
সরেজমিনে জেলা সদরসহ কয়েকটি উপজেলার বাজার ঘুরে দেখাগেছে, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে ইফতার সামগ্রী বিক্রির দোকান গুলোতে। ইউনিয়ন পর্যায়ের দোকান গুলোর ইফতার সামগ্রী থেকে উপজেলা সদরের দোকান গুলোতে ইফতার সামগ্রীর দামের পার্থক্য পিস প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা। আর যেসব সামগ্রী কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সেখানে দামের পার্থক্য ১০ থেকে ২০ টাকা।
জেলা সদরের রেঁস্তোরার মালিক জিসান হোসেনর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বেগুনি, আলুর চপ, পিঁয়াজু প্রতি পিস ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের চপ প্রতি পিস ২০ টাকা, মোটা জিলাপি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা আর চিকন জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। বুরিন্দা ২৪০ টাকা কেজি, সিদ্ধ বুট ও নিমকি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতা আরও বলেন, গত বছর যে দামে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করেছি এবারও সে দামেই বিক্রি করছি। তবে ইফতার তৈরির জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাইজ একটু ছোট করেছি। কাঁচামালের দাম কিছুটা বাড়লেও ইফতার সামগ্রীর দাম আমরা বাড়াইনি।
বারহাট্টা গোপালপুর বাজারের রেঁস্তোরার মালিক রাসেল বলেন, আলুর চপ, পিঁয়াজু ও বেগুনী প্রতি পিস ১০ করে বিক্রি করছি। রোজার প্রথম দিন থেকেই জমজমাট বেচাকেনা চলছে। ইফতার তৈরির জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ইফতার তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগর হানান ও মহিউদ্দিন জানান, সকাল থেকেই আমরা নানা উপকরণ রেডি করে জিলাপি, ছোলা, আলুর চপ, বেগুনী, বুরিন্দাসহ নানা ধরনের মুখরোচক পদ তৈরি করছেন তারা। রোজা রেখেই এসব কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
পৌর শহরের চাঁনখা'র মোড় এলাকার ভ্যান চালক আঃ রশিদ, বারহাট্টার মানিক ও দিনমজুর কালা চান মিয়ার সাথে কথা বললে তারা বলেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিশ্রম করে ৪০০-৫০০ টাকা রোজগার করি। এখন আগের মতো আয় নেই। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে কয়েক গুণ তাই সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোজাতেও বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমেনি। উল্টো কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। ইফতার কিনতে গেলেই নূন্যতম ২০০-২৫০ টাকা লাগে। এই অবস্থায় কম আয় দিয়ে কীভাবে প্রতিদিন ইফতার করব?
বারহাট্টা গোপালপুরের সাংবাদিক ফেরদৌস আহমেদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ব্যস্ততা ও নানা ঝামেলার কারণে প্রতিবারই রোজায় ইফতারের কিছু আইটেম বাইরে থেকে কিনতে হয়। ইফতারের আয়োজনকে ঘিরেই মূলত উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারে প্রতি রোজায় দুপুরের পর থেকে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। রোজায় ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্যের বাজার তদারকির জন্য প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
০৩ মার্চ, ২০২৫, 3:35 PM

ইফতারের জন্য ঘরে ঘরে খাবার তৈরি হলেও বাইরের খাবারের প্রতি আকর্ষণ থাকে রোজাদারদের। অন্যান্য বছরের মতো এবারও রমজানের প্রথম দিন থেকেই নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে ইফতার তৈরির ব্যস্ততা। হরেক রকম ইফতার সামগ্রী বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা।
সরেজমিনে জেলা সদরসহ কয়েকটি উপজেলার বাজার ঘুরে দেখাগেছে, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে ইফতার সামগ্রী বিক্রির দোকান গুলোতে। ইউনিয়ন পর্যায়ের দোকান গুলোর ইফতার সামগ্রী থেকে উপজেলা সদরের দোকান গুলোতে ইফতার সামগ্রীর দামের পার্থক্য পিস প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা। আর যেসব সামগ্রী কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সেখানে দামের পার্থক্য ১০ থেকে ২০ টাকা।
জেলা সদরের রেঁস্তোরার মালিক জিসান হোসেনর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বেগুনি, আলুর চপ, পিঁয়াজু প্রতি পিস ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের চপ প্রতি পিস ২০ টাকা, মোটা জিলাপি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা আর চিকন জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। বুরিন্দা ২৪০ টাকা কেজি, সিদ্ধ বুট ও নিমকি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতা আরও বলেন, গত বছর যে দামে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করেছি এবারও সে দামেই বিক্রি করছি। তবে ইফতার তৈরির জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাইজ একটু ছোট করেছি। কাঁচামালের দাম কিছুটা বাড়লেও ইফতার সামগ্রীর দাম আমরা বাড়াইনি।
বারহাট্টা গোপালপুর বাজারের রেঁস্তোরার মালিক রাসেল বলেন, আলুর চপ, পিঁয়াজু ও বেগুনী প্রতি পিস ১০ করে বিক্রি করছি। রোজার প্রথম দিন থেকেই জমজমাট বেচাকেনা চলছে। ইফতার তৈরির জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ইফতার তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগর হানান ও মহিউদ্দিন জানান, সকাল থেকেই আমরা নানা উপকরণ রেডি করে জিলাপি, ছোলা, আলুর চপ, বেগুনী, বুরিন্দাসহ নানা ধরনের মুখরোচক পদ তৈরি করছেন তারা। রোজা রেখেই এসব কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
পৌর শহরের চাঁনখা'র মোড় এলাকার ভ্যান চালক আঃ রশিদ, বারহাট্টার মানিক ও দিনমজুর কালা চান মিয়ার সাথে কথা বললে তারা বলেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিশ্রম করে ৪০০-৫০০ টাকা রোজগার করি। এখন আগের মতো আয় নেই। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে কয়েক গুণ তাই সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোজাতেও বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমেনি। উল্টো কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। ইফতার কিনতে গেলেই নূন্যতম ২০০-২৫০ টাকা লাগে। এই অবস্থায় কম আয় দিয়ে কীভাবে প্রতিদিন ইফতার করব?
বারহাট্টা গোপালপুরের সাংবাদিক ফেরদৌস আহমেদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ব্যস্ততা ও নানা ঝামেলার কারণে প্রতিবারই রোজায় ইফতারের কিছু আইটেম বাইরে থেকে কিনতে হয়। ইফতারের আয়োজনকে ঘিরেই মূলত উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারে প্রতি রোজায় দুপুরের পর থেকে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। রোজায় ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্যের বাজার তদারকির জন্য প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।