হবিগঞ্জের চৌধুরী বাজারে সয়াবিন মজুদ করায় রাধাবিনোদ ট্রেডার্স সীলগালা

মোঃ রিপন মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 6:08 PM

হবিগঞ্জের চৌধুরী বাজারে সয়াবিন মজুদ করায় রাধাবিনোদ ট্রেডার্স সীলগালা
রমজান মাসকে সামনে রেখে জেলার বাজার গুলোতে তেল নিয়ে ফের তেলেসমাতি শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় সরবরাহ কমিয়ে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। এতে প্রায় বাজারশূন্য হয়ে পড়ছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। ফলে আসন্ন রমজানে সয়াবিন তেলের বড় সংকট হতে পারে-এমন শঙ্কা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তাদের মতে, সরকারিভাবে দাম বাড়াতেই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের জিম্মি করছে।
এদিকে, চৌধুরী বাজারে সয়াবিন তেল মজুদ রেখে সংকট সৃষ্টির অভিযোগে মেসার্স রাধাবিনোদ ট্রেডার্স সীলগালা করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউর রহমান অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সীলগালা করেন। এ ঘটনায় জড়িত প্রতিষ্ঠানের মালিক রনজিৎ মোদক ও ম্যানেজার অসিম রায়কে আটক করা হয়েছে।
শহরের চৌধুরী বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা দোকান ঘুরে ঘুরে বোতলজাত তেল সংগ্রহ করতে পারলেও তা ১৯০-১৯৫ টাকায় কিনছেন। অথচ সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৭৫ টাকা। এ পরিস্থিতিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে অসাধু খুচরা বিক্রেতারা। তারা লিটারে ২৫ টাকা বাড়তি লাভের আশায় বোতল খুলে ড্রামে ঢেলে খুচরা বিক্রি করছেন। দাম রাখছেন ২০০-২১০ টাকা লিটারে। তবে খোলা সয়াবিন তেলের সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৫৭ টাকা। কয়েকদিন ধরে বাজারের অসাধু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেল বিক্রি না করে সংকট সৃষ্টি করে আসছিল। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউর রহমান চৌধুরী বাজারে কয়েকটি দোকানে অভিযান চালান। এ সময় রাধাবিনোদ ট্রেডার্সে সোয়াবিন তেলের তীব্র সংকট দেখান প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা। গুদামে তেল না থাকার কথা জানালেও অভিযানে ৪ হাজার ৫শ ২৮ লিটার তেল মজুদ পান ওই ম্যাজিস্ট্রেট। এতে প্রতিষ্ঠানটি সীলগালা করে ম্যানেজার অসিম রায়কে আটক করেন তিনি। তখন সরকারী মূল্যে সাধারন ক্রেতাদের মধ্যে কয়েক লিটার বিক্রি করেছেন বলে জানান ওই ম্যাজিস্ট্রেট। এদিকে, রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় ম্যানেজার অসিম রায়কে ছাড়াতে তদবির করতে যান রাধাবিনোদ ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রণজিৎ মোদক। এ সময় সদর থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
মোঃ রিপন মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 6:08 PM

রমজান মাসকে সামনে রেখে জেলার বাজার গুলোতে তেল নিয়ে ফের তেলেসমাতি শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় সরবরাহ কমিয়ে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। এতে প্রায় বাজারশূন্য হয়ে পড়ছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। ফলে আসন্ন রমজানে সয়াবিন তেলের বড় সংকট হতে পারে-এমন শঙ্কা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তাদের মতে, সরকারিভাবে দাম বাড়াতেই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের জিম্মি করছে।
এদিকে, চৌধুরী বাজারে সয়াবিন তেল মজুদ রেখে সংকট সৃষ্টির অভিযোগে মেসার্স রাধাবিনোদ ট্রেডার্স সীলগালা করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউর রহমান অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সীলগালা করেন। এ ঘটনায় জড়িত প্রতিষ্ঠানের মালিক রনজিৎ মোদক ও ম্যানেজার অসিম রায়কে আটক করা হয়েছে।
শহরের চৌধুরী বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা দোকান ঘুরে ঘুরে বোতলজাত তেল সংগ্রহ করতে পারলেও তা ১৯০-১৯৫ টাকায় কিনছেন। অথচ সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৭৫ টাকা। এ পরিস্থিতিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে অসাধু খুচরা বিক্রেতারা। তারা লিটারে ২৫ টাকা বাড়তি লাভের আশায় বোতল খুলে ড্রামে ঢেলে খুচরা বিক্রি করছেন। দাম রাখছেন ২০০-২১০ টাকা লিটারে। তবে খোলা সয়াবিন তেলের সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৫৭ টাকা। কয়েকদিন ধরে বাজারের অসাধু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেল বিক্রি না করে সংকট সৃষ্টি করে আসছিল। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউর রহমান চৌধুরী বাজারে কয়েকটি দোকানে অভিযান চালান। এ সময় রাধাবিনোদ ট্রেডার্সে সোয়াবিন তেলের তীব্র সংকট দেখান প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা। গুদামে তেল না থাকার কথা জানালেও অভিযানে ৪ হাজার ৫শ ২৮ লিটার তেল মজুদ পান ওই ম্যাজিস্ট্রেট। এতে প্রতিষ্ঠানটি সীলগালা করে ম্যানেজার অসিম রায়কে আটক করেন তিনি। তখন সরকারী মূল্যে সাধারন ক্রেতাদের মধ্যে কয়েক লিটার বিক্রি করেছেন বলে জানান ওই ম্যাজিস্ট্রেট। এদিকে, রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় ম্যানেজার অসিম রায়কে ছাড়াতে তদবির করতে যান রাধাবিনোদ ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রণজিৎ মোদক। এ সময় সদর থানা পুলিশ তাকে আটক করে।