ঈশ্বরগঞ্জে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

আশরাফুল ইসলাম, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) :
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫, 3:12 AM

ঈশ্বরগঞ্জে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
ঈশ্বরগঞ্জে বেড়ানোর কথা বলে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে৷ এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার তরুণী (১৯) জেলার গৌরীপুর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত তরুণেরা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন, চট্টি গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৪), আরশাদ মিয়ার ছেলে শান্ত মিয়া (১৯), লুৎফুর রহমানের ছেলে জীবন মিয়া (২২) ও লিটন মিয়ার ছেলে মো. নাঈম মিয়া (১৯)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গ্রামের লিটন মিয়ার বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে তরুণীকে চার তরুণ মিলে ধর্ষণ করে। প্রায় এক বছর আগে মুঠোফোনে ইজিবাইক চালক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তরুণীর। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে গৌরীপুর পৌর শহরের পাট বাজার থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে আসে জাহাঙ্গীর। মাগরিবের আজানের পর চট্টি গ্রামের একটি বাড়িতে নেওয়া হয় তাকে তরুণী জানায়, বাড়িটিতে জাহাঙ্গীর ছাড়াও আরও তিন তরুণ মিলে তাকে হিজাব দিয়ে চোখ মুখ বেঁধে ফেলে। তারপর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তখন তাদের কাছ থেকে বাঁচতে চাইলে কান্নাকাটি করে। তখন বাড়ির পাশে একটি খোলা মাঠে নিয়ে মারধর করতে থাকে তারা। তখন চিৎকার শুনে স্থানীয় এক ব্যাক্তি আমাকে উদ্ধার করে। তার সঙ্গে ঘটা নির্যতানের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
বৃস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তরুণীকে উদ্ধার করেন চট্টি গ্রামের জুয়েল মিয়া। তিনি বলেন, জমিতে সেচ দিতে গিয়ে মেয়েটির কান্নাকাটি শুনে তাকে উদ্ধার করে। চার তরুণ আমাদের এলাকার। এদের বিচার হওয়া উচিত। ঘটনার পর থেকে চারজন তরুণই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তরুণীটি চট্টি গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রাখা হয়েছিল আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
আশরাফুল ইসলাম, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) :
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫, 3:12 AM

ঈশ্বরগঞ্জে বেড়ানোর কথা বলে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে৷ এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার তরুণী (১৯) জেলার গৌরীপুর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত তরুণেরা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন, চট্টি গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৪), আরশাদ মিয়ার ছেলে শান্ত মিয়া (১৯), লুৎফুর রহমানের ছেলে জীবন মিয়া (২২) ও লিটন মিয়ার ছেলে মো. নাঈম মিয়া (১৯)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গ্রামের লিটন মিয়ার বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে তরুণীকে চার তরুণ মিলে ধর্ষণ করে। প্রায় এক বছর আগে মুঠোফোনে ইজিবাইক চালক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তরুণীর। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে গৌরীপুর পৌর শহরের পাট বাজার থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে আসে জাহাঙ্গীর। মাগরিবের আজানের পর চট্টি গ্রামের একটি বাড়িতে নেওয়া হয় তাকে তরুণী জানায়, বাড়িটিতে জাহাঙ্গীর ছাড়াও আরও তিন তরুণ মিলে তাকে হিজাব দিয়ে চোখ মুখ বেঁধে ফেলে। তারপর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তখন তাদের কাছ থেকে বাঁচতে চাইলে কান্নাকাটি করে। তখন বাড়ির পাশে একটি খোলা মাঠে নিয়ে মারধর করতে থাকে তারা। তখন চিৎকার শুনে স্থানীয় এক ব্যাক্তি আমাকে উদ্ধার করে। তার সঙ্গে ঘটা নির্যতানের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
বৃস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তরুণীকে উদ্ধার করেন চট্টি গ্রামের জুয়েল মিয়া। তিনি বলেন, জমিতে সেচ দিতে গিয়ে মেয়েটির কান্নাকাটি শুনে তাকে উদ্ধার করে। চার তরুণ আমাদের এলাকার। এদের বিচার হওয়া উচিত। ঘটনার পর থেকে চারজন তরুণই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তরুণীটি চট্টি গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রাখা হয়েছিল আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।