ঢাকা ০৭ জুলাই, ২০২৫
শিরোনামঃ
শহীদদের রক্তের সঙ্গে কাউকে বেঈমানি করতে দেবো না : কুমিল্লায় শফিকুর রহমান আমদানি-রপ্তানি শুল্ক-কর পরিশোধে অনলাইনে ‘এ চালান’ সেবা চালু করল এনবিআর জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর আশা প্রসিকিউসনের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে রুয়েটের হিট প্রকল্প তুরস্কে আরও তিন বিরোধীদলীয় মেয়র গ্রেপ্তার জুলাই যোদ্ধার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ভিডিও দিয়ে অপপ্রচার শনাক্ত: বাংলাফ্যাক্ট তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে গোল উৎসব করে জিতল বাংলাদেশ গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যু জাস্টিস আবু জাফর সিদ্দিকী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পেল ৮০ শিক্ষার্থী ফটিকছড়ির প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো আরো দু'ভাইয়ের

মসজিদের মতো মন্দিরও পাহারা দিতে হবে না: জামায়াত আমির

#
news image

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এদেশে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ-নিজ ধর্ম পালন করবেন, মসজিদের মতো মন্দিরও পাহারা দিতে হবে না। আমরা এমন দেশ চাই।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতনের পরে বিশেষ পরিস্থিতিতে আমরা (জামায়াতে ইসলামী) হিন্দু ভাইদের দুর্গাপূজা যাতে নির্বিঘ্নে করতে পারেন সেজন্য মন্দিরে গিয়ে পাহারা দিয়েছি। মসজিদ যদি পাহারা দিতে না হয়, তবে মন্দির কেন পাহারা দিতে হবে? মসজিদের মতো মন্দিরও পাহারা দেওয়ার দরকার হবে না, আমরা তেমন দেশ চাই।

সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৬ বছর দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়েছে। পাচারকৃত সব সম্পদ এদেশে ফেরত আনতে হবে। আমাদের এমন দেশ গড়তে হবে যাতে স্বৈরাচার আর কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।

শফিকুর রহমান বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকার জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর বিচারিক ও অবিচারিক উভয় প্রক্রিয়ায় হত্যা, নির্যাতন, গুম, বাড়িঘর গুড়িয়ে দেওয়া, রাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে তাণ্ডব চালায় তারই প্রতিক্রিয়ায় আজ তাদের পতন হয়েছে এবং তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার দেশের জনসাধারণকে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ এভাবে বিভক্ত করেছে। আমরা দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে চাই যে আমরা ঐক্যবদ্ধ একটা দেশ চাই, যেখানে এমন বিভক্তির কোনো জায়গা থাকবে না।

তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার বাসিন্দারা দেশের উন্নয়নে শুরু থেকেই ভূমিকা পালন করে এসেছে, অথচ এ জেলায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নেই। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাই, যদি এ মুহূর্তে কোনো উন্নয়নের বরাদ্দ দেওয়া হয় তবে প্রথম ধাপেই যেন ঠাকুরগাঁওয়ে এসব প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াত আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, সাবেক জেলা আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম ও কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরা সদস্য দেলোয়ার হোসেন।

ঠাকুরগাঁও প্রতি‌নি‌ধি :

৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪,  11:38 PM

news image

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এদেশে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ-নিজ ধর্ম পালন করবেন, মসজিদের মতো মন্দিরও পাহারা দিতে হবে না। আমরা এমন দেশ চাই।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতনের পরে বিশেষ পরিস্থিতিতে আমরা (জামায়াতে ইসলামী) হিন্দু ভাইদের দুর্গাপূজা যাতে নির্বিঘ্নে করতে পারেন সেজন্য মন্দিরে গিয়ে পাহারা দিয়েছি। মসজিদ যদি পাহারা দিতে না হয়, তবে মন্দির কেন পাহারা দিতে হবে? মসজিদের মতো মন্দিরও পাহারা দেওয়ার দরকার হবে না, আমরা তেমন দেশ চাই।

সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৬ বছর দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়েছে। পাচারকৃত সব সম্পদ এদেশে ফেরত আনতে হবে। আমাদের এমন দেশ গড়তে হবে যাতে স্বৈরাচার আর কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।

শফিকুর রহমান বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকার জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর বিচারিক ও অবিচারিক উভয় প্রক্রিয়ায় হত্যা, নির্যাতন, গুম, বাড়িঘর গুড়িয়ে দেওয়া, রাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে তাণ্ডব চালায় তারই প্রতিক্রিয়ায় আজ তাদের পতন হয়েছে এবং তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার দেশের জনসাধারণকে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ এভাবে বিভক্ত করেছে। আমরা দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে চাই যে আমরা ঐক্যবদ্ধ একটা দেশ চাই, যেখানে এমন বিভক্তির কোনো জায়গা থাকবে না।

তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার বাসিন্দারা দেশের উন্নয়নে শুরু থেকেই ভূমিকা পালন করে এসেছে, অথচ এ জেলায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নেই। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাই, যদি এ মুহূর্তে কোনো উন্নয়নের বরাদ্দ দেওয়া হয় তবে প্রথম ধাপেই যেন ঠাকুরগাঁওয়ে এসব প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াত আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, সাবেক জেলা আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম ও কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরা সদস্য দেলোয়ার হোসেন।