ঢাকা ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
শিরোনামঃ
সরিষাবাড়ীতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল গাজীপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  গাজীপুরে কৃষক দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  পিরোজপুরে  সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম মামুনের উপর অতর্কিত হামলা বাগেরহাট যুবদলের কোরান খতম ও দোয়া মাহফিল বাংলাদেশে কারও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে চাইলে সরকার সহায়তা করবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস: তারেক রহমান চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বেগম খালেদা জিয়া : জাহিদ হোসেন এলপিজি দাম সমন্বয় করেছে সরকার

মাধবপুরে কোম্পানির দূষিত পানি কাল হয়ে দাড়াল খামারির মারা গেল প্রায় ৩০০ হাঁস!

#
news image

হবিগঞ্জের মাধবপুরে কয়েকটি কোম্পানি থেকে নিষ্কাশিত দূষিত পানিতে এক কৃষকের ৩০০ হাঁস মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।প্রায়শই ওইসব দূষিত পানিতে স্থানীয় হাঁস-মুরগি ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতি সাধনের ঘটনা ঘটছে।ভুক্তভোগী ওই কৃষক খামারি নাম জমির আলী।তিনি উপজেলার বাঘাসুরা ইউপির সাতপাড়িয়া গ্রামের মৃত মোর্তুজ আলীর পুত্র । 
 
এ ঘটনায় তার প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।ফলে।চরম আর্থিক সংকটে দিন যাচ্ছে কৃষকের। 
 
জানা যায়,রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) খামারি জমির আলীর হাঁস স্থানীয় একটি খালের দূষিত পানিতে নামলে আচমকাই হাঁসগুলা মরতে শুরু করে। খামারীর ৮০০ হাসের মধ্যে ৩০০ হাসই রাতের ভিতরে মারা যায়।এলাকায় পানি দূষণের কারণে আরো অহরহ হাঁস-মুরগী ও খাল বিলের মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।স্থানীয় ৩টি কোম্পানির দূষিত পানি খালে নিষ্কাশিত হয়।কোম্পানির ইটিপি ভালভাবে কাজ না করায় স্থানীয় রাজখাল নামে পরিচিত একটি খাল চরম দূষণের শিকার হচ্ছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। ওই স্থানীয় কোম্পানিগুলো হলো-কভারটেক ওয়্যার কোম্পানি লি:,পাইয়োনিয়ার ডেনিম লি: ও নাহিদ টেক্সটাইল লি:।
 
ভুক্তভোগী কৃষক জমির আলী কালবেলাকে  বলেন,আমার ৮০০ মধ্যে ৩০০ হাঁস কোম্পানির দূষিত পানিতে মারা গেছে।সবগুলা হাসছিল ডিমওয়াল খাকি ক্যাম্বেল জাতের। বাকি হাঁসগুলার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।আমি চাই দূষিত পানির বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। 
 
স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন মিয়া জানায়,খালটি দূষণের কারণে ক্রমেই বিপদজ্জনক হয়ে উঠছে। আজ জমির আলীর তিন শত হাস মারা গেল।আমরা এর বিহিদ চাই। 
 
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মিঠুন সরকার জানান,ভুক্তভোগী আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা প্রয়োজনে চিকিৎসা প্রদান করব।আর দূষিত পানিতে হাঁস মারা গেলে বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্ব রয়েছে। 
 
এ ব্যাপারে উল্লেখিত ৩টি কোম্পানির কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
 
হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান টুকু  জানান, কোম্পানিগুলা পরিবেশের লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছে। এরপরেও ফ্যাক্টরিসমূহ থেকে কোন ধরনের দূষিত পানি খালে প্রবেশ করলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। 
 

মোঃশামীম মিয়া হবিগঞ্জ :

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪,  4:46 PM

news image
হবিগঞ্জের মাধবপুরের দূষিত পানিতে খামারি জমির আলীর তিনশত হাঁসের মৃত্যু!

হবিগঞ্জের মাধবপুরে কয়েকটি কোম্পানি থেকে নিষ্কাশিত দূষিত পানিতে এক কৃষকের ৩০০ হাঁস মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।প্রায়শই ওইসব দূষিত পানিতে স্থানীয় হাঁস-মুরগি ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতি সাধনের ঘটনা ঘটছে।ভুক্তভোগী ওই কৃষক খামারি নাম জমির আলী।তিনি উপজেলার বাঘাসুরা ইউপির সাতপাড়িয়া গ্রামের মৃত মোর্তুজ আলীর পুত্র । 
 
এ ঘটনায় তার প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।ফলে।চরম আর্থিক সংকটে দিন যাচ্ছে কৃষকের। 
 
জানা যায়,রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) খামারি জমির আলীর হাঁস স্থানীয় একটি খালের দূষিত পানিতে নামলে আচমকাই হাঁসগুলা মরতে শুরু করে। খামারীর ৮০০ হাসের মধ্যে ৩০০ হাসই রাতের ভিতরে মারা যায়।এলাকায় পানি দূষণের কারণে আরো অহরহ হাঁস-মুরগী ও খাল বিলের মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।স্থানীয় ৩টি কোম্পানির দূষিত পানি খালে নিষ্কাশিত হয়।কোম্পানির ইটিপি ভালভাবে কাজ না করায় স্থানীয় রাজখাল নামে পরিচিত একটি খাল চরম দূষণের শিকার হচ্ছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। ওই স্থানীয় কোম্পানিগুলো হলো-কভারটেক ওয়্যার কোম্পানি লি:,পাইয়োনিয়ার ডেনিম লি: ও নাহিদ টেক্সটাইল লি:।
 
ভুক্তভোগী কৃষক জমির আলী কালবেলাকে  বলেন,আমার ৮০০ মধ্যে ৩০০ হাঁস কোম্পানির দূষিত পানিতে মারা গেছে।সবগুলা হাসছিল ডিমওয়াল খাকি ক্যাম্বেল জাতের। বাকি হাঁসগুলার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।আমি চাই দূষিত পানির বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। 
 
স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন মিয়া জানায়,খালটি দূষণের কারণে ক্রমেই বিপদজ্জনক হয়ে উঠছে। আজ জমির আলীর তিন শত হাস মারা গেল।আমরা এর বিহিদ চাই। 
 
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মিঠুন সরকার জানান,ভুক্তভোগী আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা প্রয়োজনে চিকিৎসা প্রদান করব।আর দূষিত পানিতে হাঁস মারা গেলে বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্ব রয়েছে। 
 
এ ব্যাপারে উল্লেখিত ৩টি কোম্পানির কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
 
হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান টুকু  জানান, কোম্পানিগুলা পরিবেশের লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছে। এরপরেও ফ্যাক্টরিসমূহ থেকে কোন ধরনের দূষিত পানি খালে প্রবেশ করলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।