গাজীপুর কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় লটারির নামে জুয়ার লক্ষ লক্ষ টাকার হাউজিং আসর
গাজীপুর প্রতিনিধি :
১০ নভেম্বর, ২০২৫, 9:48 AM
গাজীপুর কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় লটারির নামে জুয়ার লক্ষ লক্ষ টাকার হাউজিং আসর
গাজীপুর কুটির শিল্প ও বানিজ্য মেলাগুলো এখন আর শুধু কেনাবেচার জায়গায় সীমাবদ্ধ নেই বরং পরিণত হয়েছে লটারির নামে জুয়ার বড় আখড়ায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব মেলায় চলে “টিকিট কিনে পুরস্কার জেতার” নামে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন।
মেলার একাধিক স্টলে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করতে মাইকিং করে বলা হচ্ছে “মাত্র ২০ টাকায় এক ভরি স্বর্ণ মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টেলিভিশন জেতার সুযোগ!” — অথচ এসবই আসলে ভাগ্যের খেলা, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই লটারির আড়ালে চলছে জুয়ার বিশাল কারবার, যার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
একজন দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা দোকান দিতে এসেছি পণ্য বিক্রি করতে, কিন্তু এখানে রাতে লটারির নামে এমন জুয়া চলে যে মানুষ পণ্য না কিনে টিকিট কিনতে ব্যস্ত থাকে। এতে আমাদের ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসন সব জানে, তবুও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রতিরাতে মেলার ভেতরে বড় অঙ্কের টাকা হাতবদল হলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
সচেতন মহল মনে করছে, এই ধরনের লটারির নামে জুয়া শুধু সামাজিক অবক্ষয়ই বাড়াচ্ছে না, বরং তরুণদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে। তারা অবিলম্বে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন যাতে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ হয় এবং প্রকৃত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের স্বাভাবিক বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারে।
গাজীপুর প্রতিনিধি :
১০ নভেম্বর, ২০২৫, 9:48 AM
গাজীপুর কুটির শিল্প ও বানিজ্য মেলাগুলো এখন আর শুধু কেনাবেচার জায়গায় সীমাবদ্ধ নেই বরং পরিণত হয়েছে লটারির নামে জুয়ার বড় আখড়ায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব মেলায় চলে “টিকিট কিনে পুরস্কার জেতার” নামে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন।
মেলার একাধিক স্টলে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করতে মাইকিং করে বলা হচ্ছে “মাত্র ২০ টাকায় এক ভরি স্বর্ণ মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টেলিভিশন জেতার সুযোগ!” — অথচ এসবই আসলে ভাগ্যের খেলা, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই লটারির আড়ালে চলছে জুয়ার বিশাল কারবার, যার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
একজন দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা দোকান দিতে এসেছি পণ্য বিক্রি করতে, কিন্তু এখানে রাতে লটারির নামে এমন জুয়া চলে যে মানুষ পণ্য না কিনে টিকিট কিনতে ব্যস্ত থাকে। এতে আমাদের ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসন সব জানে, তবুও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রতিরাতে মেলার ভেতরে বড় অঙ্কের টাকা হাতবদল হলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
সচেতন মহল মনে করছে, এই ধরনের লটারির নামে জুয়া শুধু সামাজিক অবক্ষয়ই বাড়াচ্ছে না, বরং তরুণদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে। তারা অবিলম্বে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন যাতে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ হয় এবং প্রকৃত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের স্বাভাবিক বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারে।