ঢাকা ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
বাগেরহাটে বাস চাপায় ব্যবসায়ী নিহত শান্তি ও সহযোগিতার বিশ্ব গড়তে জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে : অধ্যাপক ইউনূস পিডিপিও আইনে ডেটা লোকালাইজেশনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই : তৈয়্যব কোনো মামলায় পলাতক আসামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শন সপ্তাহ পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বসুরহাট-মাইজদী রুটে সিএনজি ভাড়া দ্বিগুন প্লাস : যাত্রী'রা চায় লোকাল বাস সরিষাবাড়ীতে এমপি প্রার্থী আরুণীর পক্ষে পথ সভা অনুষ্ঠিত অভুক্ত ও অসুস্থ ঘোড়ার পাশে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নীতি ও আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে ঐক্যের প্রয়োজন : মুফতি ফয়জুল করীম কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন সঠিক সময়ে হওয়ার পথ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে : ফখরুল

ঘুমন্ত ক্ষুধা — চেতনাহীন দেহেও আমৃত্যু যন্ত্রণার উৎস

#
news image

মাতৃগর্ভ থেকে প্রকৃতির ভৌগোলিক গর্ভে আত্মপ্রকাশ হওয়া যে কোনো প্রাণী জীবন্ত দেহে ক্ষুধা নামক এক অবিনশ্বর যন্ত্রণা ভোগ করে, যা জন্ম-জন্মান্তরে চলমান এক সৃষ্টিত্ব প্রক্রিয়ার অংশ।
এই ক্ষুধা নিরব, চেতনাহীন দেহেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার কার্যক্রম বজায় রাখে। ক্ষুধা নামক অদৃশ্য এই সত্তা প্রতিটি প্রাণীর প্রাণে প্রতি ক্ষণে শান্তি ও অশান্তির সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে।

ক্ষুধার ভেতরে লুকিয়ে আছে এক অজানা রহস্য—অজানা পরিসরে স্রষ্টার সৃষ্টিতে দৃষ্টি দেওয়ার মতো নানা অদৃশ্য রূপায়ণ। এটি কোনো স্বপ্ন বা কল্পনা নয়; বরং বাস্তবতার এক অনন্য প্রতিচ্ছবি।
আমৃত্যু যন্ত্রণার উৎস এই ক্ষুধাই আবার প্রশান্তির সাম্রাজ্যের অধিপতি। মহাজাগতিক জীবনের সংরক্ষক হিসেবেও ক্ষুধা এক জীবন্ত প্রতীক।  

মানবজাতি আজও ক্ষুধা নিরসনের চিরস্থায়ী সমাধান খুঁজে পায়নি। প্রাণীকুলের সমষ্টিগত জ্ঞানের সীমাতেও এর উত্তর অজানা।
তবুও বিজ্ঞানের প্রচেষ্টা চলছে জগতবাসীর কল্যাণে। কিন্তু মানুষের সীমিত জ্ঞান স্রষ্টার অসীম প্রজ্ঞাকে বুঝতে অক্ষম।
তাই প্রশ্ন জাগে — ক্ষুধা নিরসনে স্রষ্টা ও তাঁর বান্দার ভূমিকা কী?


সৃষ্টিকর্তা নিজেই চারটি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন —
হায়াত, মউত, রিজিক ও দৌলত।
যদিও জগতের সবকিছুই তাঁর অধীনে, তবুও এই চারটি বিষয়ে বিশেষ উল্লেখ করেছেন বিশেষ উদ্দেশ্যে।

ক্ষুধা নিরসনের জন্য জগতে রয়েছে অফুরন্ত খাদ্যভাণ্ডার, যা আলাদা প্রক্রিয়ায় মাটি থেকে প্রস্তুত হয়।
আলো, বাতাস, পানি ও আধারের সমন্বয়ে প্রকৃতি কাজ করলেও, মাটিই যেন মায়ের ভূমিকা পালন করে সকল প্রাণীর জীবনে।

এই চলমান প্রক্রিয়ার মাঝে মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে—স্রষ্টা প্রদত্ত এক অদৃশ্য হুকুমের দাসত্বে, শৃঙ্খল সভ্যতার কাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে।
এই ক্ষুধাকে কেন্দ্র করে জগতে যত কর্মসূচি, যত প্রচেষ্টা—সবই যেন খাদ্যভাণ্ডারের সঙ্গে অদৃশ্য সেতুবন্ধনে যুক্ত।

একটি নবজাত শিশুর জন্মের পূর্বেই মায়ের স্তনে দুধ সংরক্ষণ করে রেখেছেন যে স্রষ্টা, তিনি কি বাকি জীবনের খাদ্যব্যবস্থা রাখেননি?
নিশ্চয়ই রেখেছেন।
আমাদের অজ্ঞতা ও জ্ঞানের স্বল্পতার কারণেই আমরা জীবন নিয়ে পেরেশানিতে থাকি।
মানুষ ভাবে না—রিজিকের মালিক সময়োপযোগীভাবে সব ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
আমাদের কল্পনাতেও আসে না—এই রিজিকের ফয়সালার প্রক্রিয়া কীভাবে পরিচালিত হয়।

পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর খাদ্যব্যবস্থা এক মহাজাগতিক সত্তার অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করে।
কোনো প্রাণীর পক্ষেই সম্ভব নয় নিজেদের প্রয়োজনমতো মাটি থেকে খাদ্য উৎপাদন করা।
এ এক অসম্ভব ভাবনা—যা কখনোই সম্ভব নয় স্রষ্টার হুকুম ব্যতীত।

তবুও মানুষ এই খাদ্য নিয়ে নিরাশায় ডুবে জীবনকে পেরেশানির গ্রাসে নিমজ্জিত করে।
অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক সত্তা যেন প্রতি ক্ষণে ক্ষুধার যন্ত্রণার মাধ্যমে প্রাণীদের স্মরণ করিয়ে দেন তাঁর অস্তিত্বের কথা।


আলো, বাতাস, পানি ও অসংখ্য নিয়ামত বিনামূল্যে পেয়ে মানুষ স্রষ্টাকে ভুলে যায়।
অকৃতজ্ঞতার এই প্রবণতা মানুষকে দূরে ঠেলে দেয় সেই মহা সত্তা থেকে।
কিন্তু ভুলে যেও না —
শত সহস্র কোটি নিয়ামতের মাঝে শুকরিয়া আদায়ের জন্য একটি নিয়ামতই যথেষ্ট:
ক্ষুধা ও খাদ্য।

এই খাদ্যের মাঝেই প্রাণীরা খুঁজে পায় প্রশান্তি,
যা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ক্ষুধার যন্ত্রণাকে জীবন্ত রাখে—
বেঁচে থাকার উৎস হিসেবে।

খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :

২১ অক্টোবর, ২০২৫,  9:32 PM

news image

মাতৃগর্ভ থেকে প্রকৃতির ভৌগোলিক গর্ভে আত্মপ্রকাশ হওয়া যে কোনো প্রাণী জীবন্ত দেহে ক্ষুধা নামক এক অবিনশ্বর যন্ত্রণা ভোগ করে, যা জন্ম-জন্মান্তরে চলমান এক সৃষ্টিত্ব প্রক্রিয়ার অংশ।
এই ক্ষুধা নিরব, চেতনাহীন দেহেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার কার্যক্রম বজায় রাখে। ক্ষুধা নামক অদৃশ্য এই সত্তা প্রতিটি প্রাণীর প্রাণে প্রতি ক্ষণে শান্তি ও অশান্তির সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে।

ক্ষুধার ভেতরে লুকিয়ে আছে এক অজানা রহস্য—অজানা পরিসরে স্রষ্টার সৃষ্টিতে দৃষ্টি দেওয়ার মতো নানা অদৃশ্য রূপায়ণ। এটি কোনো স্বপ্ন বা কল্পনা নয়; বরং বাস্তবতার এক অনন্য প্রতিচ্ছবি।
আমৃত্যু যন্ত্রণার উৎস এই ক্ষুধাই আবার প্রশান্তির সাম্রাজ্যের অধিপতি। মহাজাগতিক জীবনের সংরক্ষক হিসেবেও ক্ষুধা এক জীবন্ত প্রতীক।  

মানবজাতি আজও ক্ষুধা নিরসনের চিরস্থায়ী সমাধান খুঁজে পায়নি। প্রাণীকুলের সমষ্টিগত জ্ঞানের সীমাতেও এর উত্তর অজানা।
তবুও বিজ্ঞানের প্রচেষ্টা চলছে জগতবাসীর কল্যাণে। কিন্তু মানুষের সীমিত জ্ঞান স্রষ্টার অসীম প্রজ্ঞাকে বুঝতে অক্ষম।
তাই প্রশ্ন জাগে — ক্ষুধা নিরসনে স্রষ্টা ও তাঁর বান্দার ভূমিকা কী?


সৃষ্টিকর্তা নিজেই চারটি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন —
হায়াত, মউত, রিজিক ও দৌলত।
যদিও জগতের সবকিছুই তাঁর অধীনে, তবুও এই চারটি বিষয়ে বিশেষ উল্লেখ করেছেন বিশেষ উদ্দেশ্যে।

ক্ষুধা নিরসনের জন্য জগতে রয়েছে অফুরন্ত খাদ্যভাণ্ডার, যা আলাদা প্রক্রিয়ায় মাটি থেকে প্রস্তুত হয়।
আলো, বাতাস, পানি ও আধারের সমন্বয়ে প্রকৃতি কাজ করলেও, মাটিই যেন মায়ের ভূমিকা পালন করে সকল প্রাণীর জীবনে।

এই চলমান প্রক্রিয়ার মাঝে মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে—স্রষ্টা প্রদত্ত এক অদৃশ্য হুকুমের দাসত্বে, শৃঙ্খল সভ্যতার কাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে।
এই ক্ষুধাকে কেন্দ্র করে জগতে যত কর্মসূচি, যত প্রচেষ্টা—সবই যেন খাদ্যভাণ্ডারের সঙ্গে অদৃশ্য সেতুবন্ধনে যুক্ত।

একটি নবজাত শিশুর জন্মের পূর্বেই মায়ের স্তনে দুধ সংরক্ষণ করে রেখেছেন যে স্রষ্টা, তিনি কি বাকি জীবনের খাদ্যব্যবস্থা রাখেননি?
নিশ্চয়ই রেখেছেন।
আমাদের অজ্ঞতা ও জ্ঞানের স্বল্পতার কারণেই আমরা জীবন নিয়ে পেরেশানিতে থাকি।
মানুষ ভাবে না—রিজিকের মালিক সময়োপযোগীভাবে সব ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
আমাদের কল্পনাতেও আসে না—এই রিজিকের ফয়সালার প্রক্রিয়া কীভাবে পরিচালিত হয়।

পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর খাদ্যব্যবস্থা এক মহাজাগতিক সত্তার অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করে।
কোনো প্রাণীর পক্ষেই সম্ভব নয় নিজেদের প্রয়োজনমতো মাটি থেকে খাদ্য উৎপাদন করা।
এ এক অসম্ভব ভাবনা—যা কখনোই সম্ভব নয় স্রষ্টার হুকুম ব্যতীত।

তবুও মানুষ এই খাদ্য নিয়ে নিরাশায় ডুবে জীবনকে পেরেশানির গ্রাসে নিমজ্জিত করে।
অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক সত্তা যেন প্রতি ক্ষণে ক্ষুধার যন্ত্রণার মাধ্যমে প্রাণীদের স্মরণ করিয়ে দেন তাঁর অস্তিত্বের কথা।


আলো, বাতাস, পানি ও অসংখ্য নিয়ামত বিনামূল্যে পেয়ে মানুষ স্রষ্টাকে ভুলে যায়।
অকৃতজ্ঞতার এই প্রবণতা মানুষকে দূরে ঠেলে দেয় সেই মহা সত্তা থেকে।
কিন্তু ভুলে যেও না —
শত সহস্র কোটি নিয়ামতের মাঝে শুকরিয়া আদায়ের জন্য একটি নিয়ামতই যথেষ্ট:
ক্ষুধা ও খাদ্য।

এই খাদ্যের মাঝেই প্রাণীরা খুঁজে পায় প্রশান্তি,
যা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ক্ষুধার যন্ত্রণাকে জীবন্ত রাখে—
বেঁচে থাকার উৎস হিসেবে।