ঢাকা ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
শিরোনামঃ
মিরাজ অলরাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে জিয়াউর রহমান যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, আমি পাশে বসা ছিলাম: অলি আহমদ গান বাংলা টিভির সম্প্রচার বন্ধ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার দেড় কোটি মানুষ পাবে স্বল্পমূল্যে ক্যান্সারের চিকিৎসা ইউক্রেন সংকট সমাধানে ট্রাম্পের অগ্রাধিকার বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের বেগম খালেদা জিয়াকে বিজয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেন রাষ্ট্রপতি পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, এলএনজি সংগ্রহ করবে সরকার ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল, ১ কোটি ৪৮ লাখ লিটার ভোজ্য তেল সংগ্রহ করবে সরকার ছাত্রের নামে একের পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

খুলনা বিভাগের ১০ জেলার দেড় কোটি মানুষ পাবে স্বল্পমূল্যে ক্যান্সারের চিকিৎসা

#
news image

দেশে মরনব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে ক্যান্সারের ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বশান্ত হতে হচ্ছে অনেক পরিবারকে। ঠিক সেই সময়ে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর পরিবারের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে বাগেরহাট ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার। যেখান থেকে মাত্র ১৫শ টাকায় মরনব্যাধি ক্যান্সার রোগের সনাক্ত সেবা পাবেন রোগীরা। বাগেরহাটের প্রত্যন্ত গ্রামে ক্যান্সারের চিকিৎসায় এমন হাসপাতাল পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।এখানে আল্ট্রাসনো,বায়োপসি সহ ক্যান্সার সনাক্তের সকল সুবিধা থাকবে । পরবর্তীতে রেডিও থেরাপির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
 
উপকূলীয় অঞ্চলে সিংহভাগ জনগোষ্ঠী মৎস্য আহরন এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে এই মৎস্য আহরন এর কাজের বড় একটা অংশে যুক্ত নারীরা।যারা লবনাক্ত পানিতে ঘন্টার পর ঘন্টা মৎস্য আহরন করে থাকে ফলে লোনা পানির কারনে তাদের জরায়ূ ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।পাশাপাশি লবনাক্ত পানি পান সহ শৌচকার্যে ব্যবহারেও বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে উপকূলীয় জনগোষ্ঠী।উপকুলীয় অঞ্চলে লবনাক্ততার কারনে ক্যান্সার ঝুকি প্রবনতা বেশী  থাকায় রিসার্স সেন্টার এর জন্য তাই এই এলাকাকে বেছে নেয়া হয়েছে। এখান থেকে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা প্রায় দেড় কোটি মানুষ পাবে মরনব্যাধি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি এই সেন্টারেই দেশি-বিদেশী চিকিৎসকদের সমন্বয়ে করা হবে ক্যান্সারের নতুন নতুন ধরন নির্নয় সহ নানা গবেষনা।
 
লোনা পানিতে মাছধরে জীবিকা নির্বাহকারী নারীদের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ক্যন্সার আক্রান্তের বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে । ২০১৪ সালে জমি অধিগ্রহনের মধ্যদিয়ে ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার যাত্রা শুরু হয় । সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহযোগীতায় আমাদের গ্রাম নামের উন্নয়ন সংস্থার তত্বাবধায়নে  দীর্ঘ ১০ বছর পরে ২০২৪ সালে ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে সেবা পেতে যাচ্ছে সাধারন মানুষ। 
 
 দেশের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ও তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে প্রত্যন্ত এই গ্রামের ২০ একর জমির উপর তৈরীর করা হয়েছে ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার। এখান থেকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি এই সেন্টারেই দেশি-বিদেশী চিকিৎসকদের সমন্বয়ে করা হবে ক্যান্সারের নতুন নতুন ধরন নির্নয় সহ নানা গবেষনা বলে জানালেন ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার, রামপাল, বাগেরহাট এর পরিচালক রেজা সেলিম।
 
এদিকে বাগেরহাটের প্রত্যন্ত গ্রামে ক্যান্সারের চিকিৎসায় এমন হাসপাতাল পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের প্রত্যাশা এখান থেকেই স্বল্পমূল্যে মরনব্যাধি এ রোগের চিকিৎসা পাবে দক্ষিনাঞ্চলের অসহায়-দরিদ্র মানুষেরা।
 
এখানে আল্ট্রাসনো,বায়োপসি সহ ক্যান্সার সনাক্তের সকল সুবিধা থাকবে । পরবর্তীতে রেডিও থেরাপির ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বাগেরহাট ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার এর সভাপতি দেবাষীশ নাগ।
 
  জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান আমার কর্ম জীবনের মানব সেবার সব থেকে গুরুত্ব পূর্ন কাজ মনে করি । লোনা পানির কারনে নারীরা বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । এখানে সেবা নিশ্চিত হবে । সরকারের অনেক যায়গায় ভালো ভবন আছে কিন্তু কাংখিত সেবা মেলোনা। এখানে সেই কাংখিত সেবা নিশ্চিত হবে ।  
 
১০ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আ. মুয়ীদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসাবে এ ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন করেন। এসময় ডক্টর মোকলেস উর রহমান, ডক্টর মো. আয়ুব মিয়া, প্রফেসর ডক্টর সৈয়দা শাহীনা সোবহান, ডক্টর রিজওয়ান খায়ের, ফিরোজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক  আহমেদ কামরুল হাসানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
উদ্বোধন করা হলেও আগামী ৩ মাস হাসপাতালটিতে পরিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এরপর থেকে হাসপাতালটিতে সকল সেবা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কৃর্তপক্ষ।শুধুমাত্র খুলনা বিভাগ নয়, দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা এখান থেকে অল্প খরচে সেবা নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

বাগেরহাট প্রতিনিধি :

১১ ডিসেম্বর, ২০২৪,  11:41 PM

news image

দেশে মরনব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে ক্যান্সারের ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বশান্ত হতে হচ্ছে অনেক পরিবারকে। ঠিক সেই সময়ে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর পরিবারের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে বাগেরহাট ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার। যেখান থেকে মাত্র ১৫শ টাকায় মরনব্যাধি ক্যান্সার রোগের সনাক্ত সেবা পাবেন রোগীরা। বাগেরহাটের প্রত্যন্ত গ্রামে ক্যান্সারের চিকিৎসায় এমন হাসপাতাল পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।এখানে আল্ট্রাসনো,বায়োপসি সহ ক্যান্সার সনাক্তের সকল সুবিধা থাকবে । পরবর্তীতে রেডিও থেরাপির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
 
উপকূলীয় অঞ্চলে সিংহভাগ জনগোষ্ঠী মৎস্য আহরন এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে এই মৎস্য আহরন এর কাজের বড় একটা অংশে যুক্ত নারীরা।যারা লবনাক্ত পানিতে ঘন্টার পর ঘন্টা মৎস্য আহরন করে থাকে ফলে লোনা পানির কারনে তাদের জরায়ূ ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।পাশাপাশি লবনাক্ত পানি পান সহ শৌচকার্যে ব্যবহারেও বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে উপকূলীয় জনগোষ্ঠী।উপকুলীয় অঞ্চলে লবনাক্ততার কারনে ক্যান্সার ঝুকি প্রবনতা বেশী  থাকায় রিসার্স সেন্টার এর জন্য তাই এই এলাকাকে বেছে নেয়া হয়েছে। এখান থেকে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা প্রায় দেড় কোটি মানুষ পাবে মরনব্যাধি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি এই সেন্টারেই দেশি-বিদেশী চিকিৎসকদের সমন্বয়ে করা হবে ক্যান্সারের নতুন নতুন ধরন নির্নয় সহ নানা গবেষনা।
 
লোনা পানিতে মাছধরে জীবিকা নির্বাহকারী নারীদের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ক্যন্সার আক্রান্তের বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে । ২০১৪ সালে জমি অধিগ্রহনের মধ্যদিয়ে ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার যাত্রা শুরু হয় । সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহযোগীতায় আমাদের গ্রাম নামের উন্নয়ন সংস্থার তত্বাবধায়নে  দীর্ঘ ১০ বছর পরে ২০২৪ সালে ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে সেবা পেতে যাচ্ছে সাধারন মানুষ। 
 
 দেশের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ও তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে প্রত্যন্ত এই গ্রামের ২০ একর জমির উপর তৈরীর করা হয়েছে ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার। এখান থেকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি এই সেন্টারেই দেশি-বিদেশী চিকিৎসকদের সমন্বয়ে করা হবে ক্যান্সারের নতুন নতুন ধরন নির্নয় সহ নানা গবেষনা বলে জানালেন ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার, রামপাল, বাগেরহাট এর পরিচালক রেজা সেলিম।
 
এদিকে বাগেরহাটের প্রত্যন্ত গ্রামে ক্যান্সারের চিকিৎসায় এমন হাসপাতাল পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের প্রত্যাশা এখান থেকেই স্বল্পমূল্যে মরনব্যাধি এ রোগের চিকিৎসা পাবে দক্ষিনাঞ্চলের অসহায়-দরিদ্র মানুষেরা।
 
এখানে আল্ট্রাসনো,বায়োপসি সহ ক্যান্সার সনাক্তের সকল সুবিধা থাকবে । পরবর্তীতে রেডিও থেরাপির ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বাগেরহাট ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার এর সভাপতি দেবাষীশ নাগ।
 
  জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান আমার কর্ম জীবনের মানব সেবার সব থেকে গুরুত্ব পূর্ন কাজ মনে করি । লোনা পানির কারনে নারীরা বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । এখানে সেবা নিশ্চিত হবে । সরকারের অনেক যায়গায় ভালো ভবন আছে কিন্তু কাংখিত সেবা মেলোনা। এখানে সেই কাংখিত সেবা নিশ্চিত হবে ।  
 
১০ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আ. মুয়ীদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসাবে এ ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন করেন। এসময় ডক্টর মোকলেস উর রহমান, ডক্টর মো. আয়ুব মিয়া, প্রফেসর ডক্টর সৈয়দা শাহীনা সোবহান, ডক্টর রিজওয়ান খায়ের, ফিরোজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক  আহমেদ কামরুল হাসানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
উদ্বোধন করা হলেও আগামী ৩ মাস হাসপাতালটিতে পরিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এরপর থেকে হাসপাতালটিতে সকল সেবা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কৃর্তপক্ষ।শুধুমাত্র খুলনা বিভাগ নয়, দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা এখান থেকে অল্প খরচে সেবা নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা সবার।