ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
৩১ দফা বাস্তবায়নে নওগাঁয় রাতভর বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি কোম্পানীগঞ্জে এনটিআরসিএ কর্তৃক সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিটিএ'র সংবর্ধনা  উত্তর ফটিকছড়ি উপজেলায় অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন বাগেরহাটে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও  মানববন্ধন মাধবপুরে খাস জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দ্বারা  মাঠি উত্তোলন, প্রশাসন নিরব বাগেরহাটে মহিদুল নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যাঃ আটক ২  বেলকুচিতে ৪৮টি গরুসহ খামার পেলেন আত্মসমর্পন করা ৬৭ চরমপন্থী শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী টঙ্গী কলেজে লিফলেট বিতরণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধা বাগেরহাটের পচা দিঘী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার

নির্বাহী প্রকৌশলী-ঠিকাদার সিন্ডিকেট সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয়!

#
news image

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধায় ঘুষ কারবার ও পিসি বাণিজ্য রমরমা চলছে। ঠিকাদারদের সাথে মৌখিক চুক্তিতে তিন দফায় ঘুষ নেওয়া, মোটা অংকের টাকা নিয়ে ওভার ইস্টিমেট ও উচ্চদরদাতাকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে দপ্তরটির নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। সব মিলে শতকরা টেন পার্সেন্ট টাকা ওখানেই দিতে হয় বলে অভিযোগ ঠিকাদারদের। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা।
সম্প্রতি তিনটি টেন্ডার নোটিশের একটি প্যাকেজে ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফার্নিচার সামগ্রী সরবরাহে দুর্নীতির অভিযোগে ঠিকাদারদের বিডি রিলিজ করে ই-টেন্ডার করতে নির্দেশ দেন প্রধান প্রকৌশলী। অনুসন্ধানে অনলাইন টেন্ডার ডকুমেন্ট পর্যালোচনায় ঠিকাদারদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলার ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফার্নিচার আসবাবপত্র সরবরাহে ঠিকাদার নিয়োগে গত ১৪ জুলাই অনলাইনে দরপত্র আহবান করে। ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো, ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী আদর্শ গালর্স হাইস্কুল, টেন্ডার আইডি নম্বর  (১১২৩৩৮৭), গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া আদর্শ গালর্স হাইস্কুল (১১২৩৩৮৯), সাদুল্লাপুরের খোদ্দকোমরপুর বিএল গালর্স হাইস্কুল (১১২৩৩৯১), গোবিন্দগঞ্জ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (১১২৩৩৯২), সদর উপজেলার পশ্চিম কুপতলা হাইস্কুল (১১২৩৩৯৩) ও সদরের চাপাদহ গালর্স হাইস্কুল টেন্ডার আইডি নম্বর (১১২৩৩৯৪)। গত ২৮ জুলাই এসব দরপত্র ওপেন হয়। সেখানে এনিলেস হিসেবে ওই আইডিতে মেসার্স আর কে ভ্যারাইটিজ স্টোরকে ফাস্ট লোয়েষ্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
মেসার্স আর কে ভ্যারাইটিজ স্টোরের প্রোপ্রাইটর এম এ রশিদ খুশি অভিযোগ করেন, গত ২৮ জুলাই দরপত্র ওপেনিং হলে দেখতে পাই ওই আইডিতে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ফাষ্ট লোয়েষ্ট হিসেবে তালিকাবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলেও গত ১২ আগষ্ট আমাকে বাদ দিয়ে আমার চেয়ে উচ্চদরদাতা ফোর লোয়েষ্ট মেসার্স এসএম কন্সট্রাকশনের কাছে চাহিদামত ঘুষ নিয়ে তাকে কোয়ালিফাইড করে কাজ দেওয়ার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া বাকি পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য ১১২৩৩৯১, ১১২৩৩৯২, ১১২৩৩৯৩ ও ১১২৩৩৯৪ নম্বর টেন্ডার আইডিতে ফাস্ট লোয়েষ্ট হিসেবে মেসার্স আশরাফুল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসকে নির্বাচিত করা হলেও এখানেও ঘটেছে একই ঘটনা। 
মেসার্স আশরাফুল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস এর স্বত্তাধিকারী আশরাফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, যখন দরপত্রগুলো ওপেন করা হয়, তখন ওই সব আইডিতে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ফাষ্ট লোয়েষ্ট হিসেবে তালিকাবদ্ধ হয়। পরে গত ১২ আগষ্ট আমার ঠিকা প্রতিষ্ঠানের নাম বাদ দিয়ে থার্ড লোয়েষ্ট উচ্চদরদাতা খাদেমুল ইসলাম জুয়েলকে ১১২৩৩৯১ নম্বর আইডিতে, ১১২৩৩৯২ নম্বর আইডিতে ৬ নম্বরে থাকা সিরিয়ালের উচ্চদরদাতা জাহিদুল ইসলাম মজনুকে ১১২৩৩৯৩ নম্বর টেন্ডার আইডিতে ফোর লোয়েষ্ট মেসার্স এস.এ.কে এন্টাপ্রাইজকে এবং ৬ নম্বরের সিরিয়ালে থাকা উচ্চদরদাতা খাদেমুল ইসলাম জুয়েলকে ১১২৩৩৯৪ নম্বর আইডিতে কোয়ালিফাইড করে কাজ দেওয়ার তালিকা প্রকাশ করা হয়। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ এর একান্ত আস্থাভাজন, প্রভাবশালী ঠিকাদার, ফ্রেন্ডস ইটভাটা মালিক খাদেমুল ইসলাম জুয়েলকে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেটকোড গোপনে জানিয়ে দেওয়ার কারণে তিনি একাই ওই পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফার্নিচার আসবাবপত্র সরবরাহের ঠিকাদার  হিসেবে দায়িত্ব পান। 
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, সাঘাটা পাইলট বয়েজ হাইস্কুল (বারকোনা) টেন্ডার আইডি নম্বর (১১২৩৩৯৫), পলাশবাড়ীর বরিশাল হাইস্কুল (১১২৩৩৯৬), একই উপজেলার আমলাগাছি ডিইউ গালর্স হাইস্কুল (১১২৩৩৯৭), সাদুল্লাপুর উপজেলার কুঞ্জুমহিপুর বিইউ হাইস্কুল (১১২৩৩৯৮) ও শাহ আজগর আলী ডিগ্রী কলেজ টেন্ডার আইডি নম্বর (১১২৩৩৯৯)। গত ১৫ জুলাই এসব কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। আর ওপেনিং করা হয় গত ২৯ জুলাই। 
ঠিকাদার সোয়াইব হক্কানী সহ অনেকেই অভিযোগ করেন, সম্প্রতি একটি প্যাকেজে ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফার্নিচার সামগ্রী সরবরাহে দরপত্র আহবান করা হয়। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের চিহ্নিত দোসর কয়েকজন ঠিকাদারদের সাথে নিয়ে নির্বাহী প্রকৗশলী বেলাল আহমেদ শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে কাজগুলো ভাগাভাগি করে দিতেন। বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পিসি বাণিজ্য সহ দেওয়া হতো ওভার ইষ্টিমেট ও উচ্চদরদাতাকে ওয়ার্ক অর্ডার। গোটা অফিসের সব কর্মকর্তাই নেন তাদের অফিস খরচ। ফলে কর্মকর্তাদের পকেট ভারী হলেও সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, নতুন বাংলাদেশেও এই সিন্ডিকেটের কাছে আমরা সাধারণ ঠিকাদারেরা জিম্মি। 
জানতে চাইলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ গুলোর প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এসময় এই প্রতিবেদককে ম্যানেজের চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে নানাভাবে তদবীর করেন।

তানিন আফরিন,  গাইবান্ধা প্রতিনিধি :

১২ অক্টোবর, ২০২৫,  9:49 PM

news image

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধায় ঘুষ কারবার ও পিসি বাণিজ্য রমরমা চলছে। ঠিকাদারদের সাথে মৌখিক চুক্তিতে তিন দফায় ঘুষ নেওয়া, মোটা অংকের টাকা নিয়ে ওভার ইস্টিমেট ও উচ্চদরদাতাকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে দপ্তরটির নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। সব মিলে শতকরা টেন পার্সেন্ট টাকা ওখানেই দিতে হয় বলে অভিযোগ ঠিকাদারদের। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা।
সম্প্রতি তিনটি টেন্ডার নোটিশের একটি প্যাকেজে ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফার্নিচার সামগ্রী সরবরাহে দুর্নীতির অভিযোগে ঠিকাদারদের বিডি রিলিজ করে ই-টেন্ডার করতে নির্দেশ দেন প্রধান প্রকৌশলী। অনুসন্ধানে অনলাইন টেন্ডার ডকুমেন্ট পর্যালোচনায় ঠিকাদারদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলার ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফার্নিচার আসবাবপত্র সরবরাহে ঠিকাদার নিয়োগে গত ১৪ জুলাই অনলাইনে দরপত্র আহবান করে। ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো, ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী আদর্শ গালর্স হাইস্কুল, টেন্ডার আইডি নম্বর  (১১২৩৩৮৭), গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া আদর্শ গালর্স হাইস্কুল (১১২৩৩৮৯), সাদুল্লাপুরের খোদ্দকোমরপুর বিএল গালর্স হাইস্কুল (১১২৩৩৯১), গোবিন্দগঞ্জ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (১১২৩৩৯২), সদর উপজেলার পশ্চিম কুপতলা হাইস্কুল (১১২৩৩৯৩) ও সদরের চাপাদহ গালর্স হাইস্কুল টেন্ডার আইডি নম্বর (১১২৩৩৯৪)। গত ২৮ জুলাই এসব দরপত্র ওপেন হয়। সেখানে এনিলেস হিসেবে ওই আইডিতে মেসার্স আর কে ভ্যারাইটিজ স্টোরকে ফাস্ট লোয়েষ্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
মেসার্স আর কে ভ্যারাইটিজ স্টোরের প্রোপ্রাইটর এম এ রশিদ খুশি অভিযোগ করেন, গত ২৮ জুলাই দরপত্র ওপেনিং হলে দেখতে পাই ওই আইডিতে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ফাষ্ট লোয়েষ্ট হিসেবে তালিকাবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলেও গত ১২ আগষ্ট আমাকে বাদ দিয়ে আমার চেয়ে উচ্চদরদাতা ফোর লোয়েষ্ট মেসার্স এসএম কন্সট্রাকশনের কাছে চাহিদামত ঘুষ নিয়ে তাকে কোয়ালিফাইড করে কাজ দেওয়ার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া বাকি পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য ১১২৩৩৯১, ১১২৩৩৯২, ১১২৩৩৯৩ ও ১১২৩৩৯৪ নম্বর টেন্ডার আইডিতে ফাস্ট লোয়েষ্ট হিসেবে মেসার্স আশরাফুল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসকে নির্বাচিত করা হলেও এখানেও ঘটেছে একই ঘটনা। 
মেসার্স আশরাফুল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস এর স্বত্তাধিকারী আশরাফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, যখন দরপত্রগুলো ওপেন করা হয়, তখন ওই সব আইডিতে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ফাষ্ট লোয়েষ্ট হিসেবে তালিকাবদ্ধ হয়। পরে গত ১২ আগষ্ট আমার ঠিকা প্রতিষ্ঠানের নাম বাদ দিয়ে থার্ড লোয়েষ্ট উচ্চদরদাতা খাদেমুল ইসলাম জুয়েলকে ১১২৩৩৯১ নম্বর আইডিতে, ১১২৩৩৯২ নম্বর আইডিতে ৬ নম্বরে থাকা সিরিয়ালের উচ্চদরদাতা জাহিদুল ইসলাম মজনুকে ১১২৩৩৯৩ নম্বর টেন্ডার আইডিতে ফোর লোয়েষ্ট মেসার্স এস.এ.কে এন্টাপ্রাইজকে এবং ৬ নম্বরের সিরিয়ালে থাকা উচ্চদরদাতা খাদেমুল ইসলাম জুয়েলকে ১১২৩৩৯৪ নম্বর আইডিতে কোয়ালিফাইড করে কাজ দেওয়ার তালিকা প্রকাশ করা হয়। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ এর একান্ত আস্থাভাজন, প্রভাবশালী ঠিকাদার, ফ্রেন্ডস ইটভাটা মালিক খাদেমুল ইসলাম জুয়েলকে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেটকোড গোপনে জানিয়ে দেওয়ার কারণে তিনি একাই ওই পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফার্নিচার আসবাবপত্র সরবরাহের ঠিকাদার  হিসেবে দায়িত্ব পান। 
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, সাঘাটা পাইলট বয়েজ হাইস্কুল (বারকোনা) টেন্ডার আইডি নম্বর (১১২৩৩৯৫), পলাশবাড়ীর বরিশাল হাইস্কুল (১১২৩৩৯৬), একই উপজেলার আমলাগাছি ডিইউ গালর্স হাইস্কুল (১১২৩৩৯৭), সাদুল্লাপুর উপজেলার কুঞ্জুমহিপুর বিইউ হাইস্কুল (১১২৩৩৯৮) ও শাহ আজগর আলী ডিগ্রী কলেজ টেন্ডার আইডি নম্বর (১১২৩৩৯৯)। গত ১৫ জুলাই এসব কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। আর ওপেনিং করা হয় গত ২৯ জুলাই। 
ঠিকাদার সোয়াইব হক্কানী সহ অনেকেই অভিযোগ করেন, সম্প্রতি একটি প্যাকেজে ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফার্নিচার সামগ্রী সরবরাহে দরপত্র আহবান করা হয়। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের চিহ্নিত দোসর কয়েকজন ঠিকাদারদের সাথে নিয়ে নির্বাহী প্রকৗশলী বেলাল আহমেদ শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে কাজগুলো ভাগাভাগি করে দিতেন। বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পিসি বাণিজ্য সহ দেওয়া হতো ওভার ইষ্টিমেট ও উচ্চদরদাতাকে ওয়ার্ক অর্ডার। গোটা অফিসের সব কর্মকর্তাই নেন তাদের অফিস খরচ। ফলে কর্মকর্তাদের পকেট ভারী হলেও সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, নতুন বাংলাদেশেও এই সিন্ডিকেটের কাছে আমরা সাধারণ ঠিকাদারেরা জিম্মি। 
জানতে চাইলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ গুলোর প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এসময় এই প্রতিবেদককে ম্যানেজের চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে নানাভাবে তদবীর করেন।