ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
৩১ দফা বাস্তবায়নে নওগাঁয় রাতভর বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি কোম্পানীগঞ্জে এনটিআরসিএ কর্তৃক সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিটিএ'র সংবর্ধনা  উত্তর ফটিকছড়ি উপজেলায় অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন বাগেরহাটে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও  মানববন্ধন মাধবপুরে খাস জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দ্বারা  মাঠি উত্তোলন, প্রশাসন নিরব বাগেরহাটে মহিদুল নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যাঃ আটক ২  বেলকুচিতে ৪৮টি গরুসহ খামার পেলেন আত্মসমর্পন করা ৬৭ চরমপন্থী শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী টঙ্গী কলেজে লিফলেট বিতরণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধা বাগেরহাটের পচা দিঘী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার

গাজীপুরে ডিবি পরিচয়ে টাকা দাবি, টাকা না পেয়ে বৃদ্ধাকে গাঁজা মামলায় চালান

#
news image

গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার উত্তর খাইলকুর এলাকায় ডিবি পুলিশ ও সোর্স পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে হামলা,টাকা দাবি ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার (৩৫) জানান,গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় ১১টার দিকে এসআই সজল,এসআই মেহেদী হাসানসহ ডিবি দক্ষিন (উত্তর) (জিএমপি)-তে কর্মরত ৮–৯ জন সদস্য তাঁদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি বাবার বাড়িতে ছিলেন,তবে বাড়িতে তাঁর স্বামী,দুই সন্তান ও ৭০ বছর বয়সী শাশুড়ি উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়,অভিযুক্তরা নাজমার স্বামীর কাছে গাঁজার অপবাদ দিয়ে এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে এলোপাথারি মারধর করা হয় । দস্তা দস্তি মধ্যে এক পর্যায়ে পায়ে গুরুতর জখম হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ছয়টি সেলাই দেন। পরবর্তীতে বৃদ্ধা শাশুড়িকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং গাঁজার মামলায় চালান দেয়া হয়।

ভুক্তভোগীর দাবি,ঘটনার পর অভিযুক্তরা ফোনে তাঁর স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বোর্ডবাজার তৃপ্তি বা রাধুনি হোটেলের সামনে এসে এক লক্ষ টাকা দিয়ে বৃদ্ধাকে নিয়ে যেতে বলেন। টাকা না দেওয়ায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয় বলে দাবি করেন।

এছাড়া,২৩ সেপ্টেম্বর ভোরে বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে সোর্সরা তাঁদের বাসা থেকে ২টি এলইডি টিভি,একটি গ্যাস সিলিন্ডার,একটি গ্যাস চুলা ও ২টি মোবাইল ফোনসহ প্রায় এক লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। অভিযোগকারীর দাবি,চুরি হওয়া একটি মোবাইল ফোন এখনো এসআই সজলের কাছে রয়েছে।

ঘটনায় চুরির অভিযোগে গাছা থানায় অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন নাজমা আক্তার। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—১. মৃত আলাউদ্দিন এর পুত্র

ফরমা কানা শামীম (৪২)। ২. রাজু (২৬) পিতা: মো. মতিউর রহমান । ৩. সুজন (৩০) পিতা: সুন্দর আলী । ৪. আনোয়ার (৩৩),পিতা: অজ্ঞাত। ৫. হৃদয় (৩০),পিতা: অজ্ঞাত, ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে,অভিযুক্তরা ২২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টায় আলোচনার জন্য আসার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর যোগাযোগ করেনি।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন,“আমার স্বামীকে রক্তাক্ত করা হয়েছে,বৃদ্ধা শাশুড়িকে তুলে নিয়ে মিথ্যা গাঁজা মামলায় চালান দেয়া হয়েছে । উপরন্তু ঘর থেকেও মালামাল লুট হয়েছে। আমি অসহায় অবস্থায় আছি। এ ঘটনার ন্যায়বিচারের জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাই।”

স্থানীয়দের দাবি,ডিবি পরিচয়ে যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই সাধারণ মানুষের উপর এ ধরনের নির্যাতন চালান,তাহলে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা আরও বাড়বে।

অভিযোগের ব্যাপারে এস আই সজলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,টাকা বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আর চুরি বিষয় আমার জানা নেই।

গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি :

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  3:09 AM

news image

গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার উত্তর খাইলকুর এলাকায় ডিবি পুলিশ ও সোর্স পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে হামলা,টাকা দাবি ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার (৩৫) জানান,গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় ১১টার দিকে এসআই সজল,এসআই মেহেদী হাসানসহ ডিবি দক্ষিন (উত্তর) (জিএমপি)-তে কর্মরত ৮–৯ জন সদস্য তাঁদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি বাবার বাড়িতে ছিলেন,তবে বাড়িতে তাঁর স্বামী,দুই সন্তান ও ৭০ বছর বয়সী শাশুড়ি উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়,অভিযুক্তরা নাজমার স্বামীর কাছে গাঁজার অপবাদ দিয়ে এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে এলোপাথারি মারধর করা হয় । দস্তা দস্তি মধ্যে এক পর্যায়ে পায়ে গুরুতর জখম হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ছয়টি সেলাই দেন। পরবর্তীতে বৃদ্ধা শাশুড়িকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং গাঁজার মামলায় চালান দেয়া হয়।

ভুক্তভোগীর দাবি,ঘটনার পর অভিযুক্তরা ফোনে তাঁর স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বোর্ডবাজার তৃপ্তি বা রাধুনি হোটেলের সামনে এসে এক লক্ষ টাকা দিয়ে বৃদ্ধাকে নিয়ে যেতে বলেন। টাকা না দেওয়ায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয় বলে দাবি করেন।

এছাড়া,২৩ সেপ্টেম্বর ভোরে বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে সোর্সরা তাঁদের বাসা থেকে ২টি এলইডি টিভি,একটি গ্যাস সিলিন্ডার,একটি গ্যাস চুলা ও ২টি মোবাইল ফোনসহ প্রায় এক লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। অভিযোগকারীর দাবি,চুরি হওয়া একটি মোবাইল ফোন এখনো এসআই সজলের কাছে রয়েছে।

ঘটনায় চুরির অভিযোগে গাছা থানায় অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন নাজমা আক্তার। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—১. মৃত আলাউদ্দিন এর পুত্র

ফরমা কানা শামীম (৪২)। ২. রাজু (২৬) পিতা: মো. মতিউর রহমান । ৩. সুজন (৩০) পিতা: সুন্দর আলী । ৪. আনোয়ার (৩৩),পিতা: অজ্ঞাত। ৫. হৃদয় (৩০),পিতা: অজ্ঞাত, ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে,অভিযুক্তরা ২২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টায় আলোচনার জন্য আসার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর যোগাযোগ করেনি।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন,“আমার স্বামীকে রক্তাক্ত করা হয়েছে,বৃদ্ধা শাশুড়িকে তুলে নিয়ে মিথ্যা গাঁজা মামলায় চালান দেয়া হয়েছে । উপরন্তু ঘর থেকেও মালামাল লুট হয়েছে। আমি অসহায় অবস্থায় আছি। এ ঘটনার ন্যায়বিচারের জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাই।”

স্থানীয়দের দাবি,ডিবি পরিচয়ে যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই সাধারণ মানুষের উপর এ ধরনের নির্যাতন চালান,তাহলে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা আরও বাড়বে।

অভিযোগের ব্যাপারে এস আই সজলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,টাকা বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আর চুরি বিষয় আমার জানা নেই।